ইদানীং বিকাল হলেই ব্যালকনীতে গিয়ে দাঁড়ানো হয়,
দুপুরে শুকাতে দেওয়া শুকনো জামায়
মুখ চেপে বিষন্নতা খুঁজি!
আধো ভেজা-
শার্টের কলার ভাজ করে উল্টায়ে দিই।
উদ্ভট বেহিসাবী দিন,
গুনে গুনে আর পার হয় না।
ওপাশে দু একটা পরিযায়ী পাখির স্লোগান।
রাস্তায় হেটে যায় অগনিত পথিক।
এরই মাঝে খাকি রঙের পোশাকে হেটে যায় মহল্লার ডাকপিয়ন।
আমি অপেক্ষাতুর চোখে চেয়ে থাকি তার যাওয়ার পথে!
অথচ আমার তো অপেক্ষায় থাকার কথা না।
আমার তো কোন চিঠি তো আসার কথা না!
তাহলে এই অপেক্ষা কেন!
টোরাকাটা মন-
ঝুপ করে নেমে পড়া সন্ধ্যার আধারে ডুবে যায়।
ক্ষনকাল পরে তক্ষকের চিৎকারে বড্ড বিরক্তি লাগে।
উঠানে ঘাসের ডগা শিশিরের ভালবাসায় সিক্ত!
ঠিক এই মুহুর্তে-
অগনিত বর্ণমালা একত্রে শব্দ হয়ে মিছিল করে হৃদয়ের দোরকোঠায়।
চোখের পলকে রাত্রি নামে।
উলের সোয়েটারে জড়িয়ে থাকে রাত্রিকালীন ওম।
শব্দের মিছিল থামাতে কবিতা লিখে ফেলি দু-লাইন-
"আমার তো কারও জন্য অপেক্ষায় থাকার কথা না....সুখী মানুষেরা কারও অপেক্ষার মূল্য দেয়? "