ৃ
ইদানিং ফেসবুকে কিছু ডায়ালগ প্রায় শোনা যাচ্ছে অনেকের মুখ থেকে (হাত দিয়ে কীবোর্ড কিংবা কি-প্যাডের মাধ্যমে বললে ভালো হয়) । যেমনঃ কেউ আমারে মাইরালা কিংবা শুধুই মাইরালা কিংবা পানিতে চুবাইয়া মাইরালা কিংবা হুতাইয়া জবই কইরালা কিংবা হুতাইয়া মাইরালা ইত্যাদি । আসলেই ? আপনি কি সত্যি মরতে এত আগ্রহী ? নাকি আপনি নিজেও বুঝেন না, যে আপনি অজান্তে মজা করতে করতে কি বললেন ? আসলে আপনার কথা শুনে কেউ যদি সত্যি সত্যি আপনাকে মেরে ফেলে, তবে সেটি কিন্তু হত্যা না, এটি আত্মহত্যা বলেই গণ্য হবে । কারণ আপনি নিজেই নিজের মরার ইচ্ছা করছেন । এক্ষেত্রে কেউ একজন শুধু আপনার ইচ্ছাকে পূরণ করছে, এই আর কি ।
এই তো কয়েকদিন আগেই ফেসবুকে যুক্ত হয় ফোটো কমেন্ট অপশনটি । তখন “কস কি মমিন ?” এই ডায়ালগটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল । কিন্তু যে বা যারা গড্ডালিকা প্রবাহে গাঁ ভাসিয়ে এই ডায়ালগটি দিত তারা আসলে মমিন বলতে বোকা কিংবা গদর্ভ কিংবা বোধহীন ব্যক্তিকেই বুঝাতো । কিন্তু আপনি মমিন (প্রকৃত উচ্চারণ মুমিন) শব্দের অর্থ জানেন কি ? মুমিন কিংবা মমিন শব্দের অর্থ আল্লাহ্র প্রকৃত বান্দা । যে আল্লাহ্র সকল হুকুম-আহকাম এবং ইবাদত নিয়মিত আকারে পরিপূর্ণ বিশ্বাসের সাথে করে । তাই যে বা যারা এই ডায়ালগ আবিস্কার করে, তারা আর যাই হোক প্রকৃত মুসলমান নয় । ঠিক তেমনি, মাইরালা বলার মাধ্যমে আপনি যে আত্মহত্যার ইচ্ছা পোষণ করছেন সেটিও ঠিক প্রকৃত মুসলমানসুলভ কাজ নয় । এখানেও পরিস্কার, ফেসবুকে প্রথম এই ডায়ালগটিও কেউ একজন বলা শুরু করেছিল । একবার ভাবুন, এটিও যদি মুসলমানসুলভ উক্তি না হয়, তাহলে কি, এমন কিছু মজার মাধ্যমেই মুসলমানরা এরকম কাজ বা উক্তি বলে গুনাহের কাজ করছে না ? আরেকটি উদাহারন দিই তাহলে । আপনার বাবা-মাকে কেউ যদি মজা করে গালাগালি দেই, তাহলে আপনি কি হেসে উড়িয়ে দেবেন । জানি দেবেন না ।
তবুও আপনি যদি এটিকে শুধু মজা বলে উড়িয়ে দেন, তাহলে ভুলে যাবেন না, মানুষ যত গুনাহের কাজে লিপ্ত থাকে তা সবই মজা (ফান) বলেই করে । তাহলে একজন মুসলমান হয়ে যেনেশুনে আপনি এসব কেন করবেন বা বলবেন ?
কথাগুলো মজা মনে না করে সিরিয়াসলি নিন এবং শুধুমাত্র একবার হলেও ভাবুন ।
(আইডিয়া সংকলিত)
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৩৭