ঈদ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব । এক বছরে দুইটি ঈদ হয় । একটি ঈদ-উল-ফিতর আরেকটি ঈদ-উল-আযহা । মানে একটি রোজার ঈদ আরেকটি কুরবানির ঈদ । এই কুরবানির ঈদের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য পশু এবং পশুত্বকে কুরবানি দেয়া । কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখবেনঃ (হয়তো আজকে এই কথাগুলো বলার সময় শেষ কিন্তু এটিই তো পৃথিবীর শেষ কুরবানির ঈদ নয়)
- কুরবানির এই ঈদে পরিপূর্ণ ইসলামিক ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখুন ।
- প্রযুক্তির সাথে সাথে এই ঈদকে কলুষিত করবেন না । যেমনঃ কথায় কথায় সেলফি তোলা, আপনার পশুকে নিয়ে গান তৈরি, যে কোন প্রতিযোগিতায় নাম লেখানো ইত্যাদি ইত্যাদি ।
- কুরবানির সামর্থবান হলেই ঈদে পশু কুরবানি দিন ।
- কখনো পার্থিব প্রতিযোগিতায় নামবেন না । যেমনঃ বেশি দামে পশু কিনা, সবার আগে পশু কিনা, একের অধিক অতিরিক্ত পশু কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি । আপনার প্রতিযোগিতা হওয়া উচিৎ যে কিভাবে সবার আগে এবং সবচেয়ে বেশি সওয়াব আল্লাহ্র কাহ থেকে আদায় করতে পারেন ।
- পশু কুরবানি দেবার সময় সহিহ ইসলামের নিয়ম-কানুন মেনে চলুন এবং সম্ভব হলে নিজে নিজে কুরবানি করবেন, কসাই বা হুজুর দিয়ে নয় ।
- কাউকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর সময় অবশ্যই ঈদ মোবারক বলুন । হাম্বা মোবারক, ম্যা ম্যা মোবারক বা অন্য কিছু নয় । এতে আপনি ইসলামকে অসম্মান করে থাকবেন ।
- ঈদে ইসলামের নিয়মকানুন অনুযায়ী পশুর মাংস বিলি করবেন । মন রাখবেন কুরবানির অর্থ হল ত্যাগ ।
- কুরবানির ঈদের ব্যস্ততায় ফরয ইবাদতের কথা মোটেও ভুলবেন না ।
- ঈদে বন্ধু-বান্ধবের তুলনায় পরিবারকে একটু বেশি সময় দিন ।
- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিশেষ এই যে পশু কুরবানির আগে ও পরে পরিবেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন ।
এই হল, এই ঈদের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা । এই ঈদ কাটুক অনেক অনেক আনন্দ ও সফলতায় এই আশা রেখে আজ সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক ।
বিঃদ্রঃ আশা করি, পরের দুইদিন আপনাদের করা দাওয়াত (দাওয়াত আশা করছি) মিস করবো না ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫২