এক সময় পাটকে বলা হতো সোনালী আঁশ। এখন গার্মেন্টস কর্মিদের বলা হয় সোনালী কন্যা। এই সোনালী কন্যাদের শ্রমে ঘামে উপার্জিত হয় হাজার হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে কোভিড-১৯কে মহামারি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে সরকার ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণার পর ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী এক ঘোষণায় বলেছেন পোশাক শিল্প বা গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ রাখার ব্যাপারে সরকারের কোন নির্দেশনা নেই, পোশাক শিল্প মালিকরা চাইলেই কারখানা খোলা রাখতে পারবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ২৫ এপ্রিল থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ‘সব নিট গার্মেন্টস’ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় বিকেএমইএ। এই সংগঠন থেকে বলা হয়েছিল সরকারের ‘দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করে পরে কারখানা বন্ধের বিষয়ে আরও বিশদ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বিকেএমইএ'র পক্ষ থেকে আবার বলা হয়েছে মালিক পক্ষ চাইলে কারখানা চালু রাখা যাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে, টেলিভিশনের খবরে দেখলাম নেত্রকোনা -ময়মনসিংহ থেকে গার্মেন্টস শ্রমিকরা ঢাকা অভিমুকে শুক্রবার সকাল থেকেই রওনা দিয়েছে পায়ে হেঁটে কারন এখনো পর্যন্ত যানবাহন চলাচল শুরু হয় নি।এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও ছড়িয়ে পড়েছে সোনালী কন্যারা কর্মস্থলে যোগদিতে পায়ে হেঁটে রওনা হয়েছেন। এসব সোনালী কন্যারা হয়ত কাজে যোগদিলে উৎপাদন বাড়বে, কিন্তু এরা যদি সংক্রামিত হয়, তাহলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকবে?
সিদ্ধান্ত হীনতা পরিহার করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন প্রণোদনা হয়তো আর বাড়াতে হতে পারে যা সরকার বাহাদুরের জন্য তেমন কিছুই নয়, নইলে ভবিষ্যতে পাট শিল্পের মত মুখ থুবড়ে পড়বে দেশের অন্যতম এই রফতানি খাতটি। আর প্রণোদনা দিলেই তা কিন্তু দান নয়, পোশাক শিল্প মালিকরা তা ২% হারে ইন্টারেস্ট সহ ফিরিয়ে দেবে পাক্কা।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:১২