বন্ধুরা,
এ আয়োজন আমাদের আশে পাশের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সাথে নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, আমাদের অমর একুশে উদযাপনের।
আগামী ২১' ফেব্রুয়ারী ২০১২ তে আমরা সবাই মিলে কিছু সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সাথে আমর একুশে উদযাপন করবো । আমাদের গর্বের, বেদনার, আনন্দের দিন ; আমাদের মায়ের ভাষার জন্য ভালবাসার দিন - একুশ। বর্ণিল উদযাপনের মধ্য দিয়ে একুশে সহ আমাদের গর্বের ইতিহাস , সংস্কৃতি , দেশপ্রেমের প্রতি সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুদের আগ্রহী করে তোলা আর সেই সাথে এইসব শিশুদের সাস্থ্য সচেতন আর বিদ্যালয়ে যাওয়ার আনন্দের সাথে পরিচয করিয়ে দিয়ে বিদ্যালয়মুখী করে তোলা এই আয়োজনের উদ্দেশ্য।
আয়োজনটি বরাবরের মত আমরা সবাই মিলে সফল করবো। শিশুদের সাথে সবাই মিলে আনন্দময় সময় কাটাবো।
........স্বেচ্ছাসেবক দরকার। হাত বাড়িয়ে দিন।
সকলের সহযোগীতা চাইছি।
অপরাহ্নের অনুষ্ঠান>>>>>>
-----------------------------
সময়ঃ দুপুর ২.০০ টা থেকে বিকেল ৫.৩০ টা
স্থানঃ পথকলি পাঠশালা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শাহবাগ, ঢাকা।
অনুষ্ঠানসূচি
------------
১. শিশুদের নখ কেটে দেয়া ও সঠিকভাবে হাত ধোয়ার পদ্ধতি শেখানো এবং সুস্বাস্থের জন্য হত ধোয়ার গুরুত্বের কথা বলা।
২. একুশের গল্প বলা ও শিশুদের ছবি আঁকার আয়োজন । শিশুদের প্যাস্টেল রং ও ছবি আঁকার কাগজ সরবরাহ করা হবে। শিশুরা ছবি আঁকবে। ছবি আঁকা হলে তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।
৩.উপহার বিতরন
ধন্যবাদ.......
এটি ছিল ফেইসবুকের একটি ইভেন্টের আমন্ত্রন লিপির কিছু অংশ।
গতদিন এমন একটি ভিন্ন ধরনের ইভেন্টের কথা জানতে পেরে খুব আগ্রহ জন্মাল । গিয়েই দেখি - এই ভাবনায় উপস্থিত হলাম ওখানে। আয়োজকদের তারুণ্য দেখে মুগ্ধ হলাম। আজ এই ভাষা দিবসে আমি যে সঠিক স্থানে এসেছি , তৃপ্তও হলাম এটা ভেবে।
পথকলি পাঠাশালা
বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে এটি পরিচালিত করে আসছেন। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা এখানের ছাত্র। আমরা যাদেরকে টোকাই বলি। রোজ ক্লাস হয় এখানে। শিক্ষক হলেন কয়েকজন ছা্ত্র এবং সদ্য চাকরি পাওয়া কয়েকজন । ক্লাসের পরে শিশুদের দুপুরে রান্না করে খাওয়ানো হয়। রোজ প্রায় ৫০০ টাকার মত খরচ হয়। টাকা আসে এদেরই পরিচালিত টিএসসির একটি আইচক্রীম এর দোকানের ( আইসবার্গ ? ) লাভ থেকে এবং নিজেদের ব্যক্তিগত চাঁদা ।
সবচেয়ে অবাক করা বিষয়, এই মুহুর্তে ওনরা কোন আর্থীক সহযোগীতা নিতে অনাগ্রহী ।
আপনরা কেউ কিছু ডোনেট করার কথা ভাবলে- শিশুদের জন্য কিছু হালকা খাবার ( চকলেট , ক্যান্ডি , স্নাকস ) বা অন্য কিছু উপহার হিসেবে দিতে পারেন।
পথকলি পাঠশালা দেখতে যেতে পারেন : তিন নেতার মাজারের পাশ দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ করেই হাতের ডানদিকে কিছুদূর অগ্রসর হলেই , সাইনবোর্ড দেখা যাবে।
আগ্রহী ছাত্ররা নিজকে এমন কাজে নিয়োজিত করতে পারেন, অন্তত ছুটির দুই দিন।
শিশুদের সাথে আজকের ২১ উদযাপন ।
এ একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধি শিশু
চলছে শহীদ মিনার আঁকার কাজ
নিজের সৃষ্টিকে নিয়ে
সবার গালে ভাষা দিবস
সবার জন্য রান্নার আয়োজন
এ শুধুই আগুন নয়। তারুণ্যের চেতনায় জমে থাকা সামান্য আগুনই আমাদের সবার জন্য ভালো খাবার ( উদাহারণ / প্রেরণা ) বয়ে আনতে পারে। আমদের তারুণ্য যেন এমনি ভাবে নিজে আগুন হয়ে অন্যকে পথ দেখায়।
তারুণ্যের জয় হোক .........
এই উদ্যেগ এর সাথে আমার সামান্যতম সংযোগ নেই। গতকাল আমি প্রথম গিয়েছি ওখানে। আমাদের তরুনরাও যে নির্মোহ থেকে কাজ করতে পারে,এটি তারই উদাহারন। শেয়ার করলাম সবার সাথে।