সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ভারতীয় বিএসএফ এর বর্বরতায় আমরা সবাই বিচলিত হয়েছি। বিভিন্ন ভাবে আমারা এর ক্ষোভ প্রকাশ করছি। প্রতিবাদী পোষ্ট আসছে একটার পর একটা। ভারতীয় পণ্য বর্জন , ভারতীয় দূতাবাসের সামনে মানববন্ধন ইত্যাদি কর্মসূচি আসছে। প্রতিটা কর্মসূচীর সাথে অবশ্যই আন্তরিক সমর্থন প্রকাশ করছি। কারা এসবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সে প্রশ্ন এই মুহুর্তে যাব না । দেশের প্রতি প্রকৃত ভালবাসা যাদের আছে , তাঁরা ভবিষ্যতে এটি অবশ্যই বুঝতে পারবেন।
আমাদের কিছু বাস্তবতার কথাও ভাবা উচিৎ। ভারত আমাদের বৃহৎ প্রতিবেশী। আমরা আমাদের দেশে পণ্য বর্জন করে ভারতকে কতটুকু চাপে ফেলতে পারবো ? ভারত বিরোধী আন্দোলনে আমরা ভারতকে কতটুকু নাড়া দিতে পারবো ? আমাদের দেশে এই আন্দোলন সফল হোক এটা অবশ্যই চাই। আমরা আমাদের দেশ প্রেমকে আমাদের অস্তিত্বের সাথে বিলীন করে দিতে চাই। সবার আগে আমাদের বাংলাদেশের স্বার্থ। আমরা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছি। ১৯৭১ সনে একটি জাঁদরেল সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তীর ধনুক নিয়েও ঝাপিয়ে পরেছি। আমরা এই বাংলা মায়ের জন্য বুকের তাজা রক্ত দিতে অবশ্যই প্রস্তুত।
দেশের অভ্যন্তরে এই ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন চলুক। এটা সফল হোক তা অবশ্যই কামনা করি।
ভারতকে চাপে ফেলা যায় যেভাবে :
বহির্বিশ্বে ভারতের সবচেয়ে বড় ইমেজ , " বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারত ।" ভারতকে চাপে রাখা যাবে একমাত্র বিশ্বে ভারতের গণতান্ত্রিক ইমেজটা ধূলিস্যাত করার মাধ্যমে। বিএসএফ এর মানবতা বিরোধী বর্বরতার বিরুদ্ধে বিদেশে ভারতের দূতাবাসের সামনে মানববন্ধন করলে তা খুব কার্যকরী হবে। বিদেশে এটা করা সহজ। টিভি , পেপার কাভারেজ বেশী পাবে। আমাদের দেশে পুলিশ এটা করতে দিবে না। বিশ্ব তেমন ভাবে জানবেই না , কি হচ্ছে , বা কতটুকু হচ্ছে।
আমদের দেশে একহাজার মানুষের কারাবরণে ভারতের কিছু আসবে যাবে না। কিন্তু ইংল্যান্ড , আমেরিকা , কানাডাতে একজনের কারাবরণে , ভারতের অনেক টনক নড়বে । এটা বাস্তবতা ।
বিদেশে অবস্থানরত সামুতে ব্লগিং করেন যে সব ব্লগার , তাঁরা এ বিষয়ে অগ্রণী ভুমিকা রাখতে পারেন। লন্ডন , নিউইয়র্ক , টরেন্টোতে বাংলাদেশের মানুষ অনেক। শুরু করুন না ভারতকে নাড়া দেয়ার প্রক্রিয়া ।