পর্ব এক : সামুর ব্লগারগনের সাথে প্রথম ফটোওয়াক।
কখনো ফটোওয়াকে যাইনি। প্রায়ই দেখতাম ব্লগারগন ফটোওয়াক করেন। এরপর দারুন সব ছবি ব্লগ দেন। নিজের অল্পদামি ক্যামেরা নিয়ে ঝানু ব্লগারগনের সাথে ফটো তোলার চিন্তা মাথায়ই আসেনা। তাই ভাবলাম ফটো ওয়াকে ব্লগারগন কি করেন তার ফটো তুলবো। রাষ্ট্রপ্রধান আহুত ফটোওয়াকে গেলাম প্রথম বোটানিকাল গার্ডেনে। ঢুকতে গিয়ে হোচট খেলাম। ৪৯ বছর পর্যন্ত যে জায়গা কে বোটানিকাল গার্ডেন বলেছি , আসলে তা বোটানিক গার্ডেন। এতদিন ভুল বলেছি
এই ফটো ওয়াকে ছিলেন ব্লগার কালপুরুষ দা, অর্ফিয়াস ভাই, মনসুর, গুরুজী, রাষ্ট্র প্রধান,ছোট মির্জা , জাহিদুল হাসান , বাল্যবন্ধু , বৃষ্টিবালক ,গুহা মানব ও আমি জিসান শা ইকরাম। এর মাঝে অর্ফিয়াস ভাই, জাহিদুল হাসান , বাল্যবন্ধু , বৃষ্টিবালক , গুহা মানব এর সাথে প্রথম পরিচয়। অর্ফিয়াস ভাই সবার সাথে দেখা করেই চলে গিয়েছিলেন।
আসুন শুরু করি।
একমাত্র কালপুরুষ দা ছিলেন সিনিয়র। আর সব আমার বয়সের অর্ধেক বয়সী। হঠাৎ কালপুরুষ দা বললেন উনি চলে যাবেন। আমার কিছুটা মন খারাপ হলো। ভাইগ্নাদের সাথে কতটুকু আর ফ্রি হওয়া যায় ? অনুরোধ করলাম কারপুরুষদাকে।
যেও না সাথী উ উ উ উ উ .....
আমার গানকে উপেক্ষা করে দাদা চলে গেলেন
ফটো ওয়াকেও ব্লগারদের উচ্ছাস ছিল বেশ
কিসের ছবি যে এরা তুলতাছে , দুরে দাড়িয়ে আমি বুঝতেই পারলাম না
মনসুরের ফটো তোলা
গুরুজী পোকার ফটো তুলছে
কালপুরুষদা কিসের ছবি তুললেন, তা জানলামই না
জাহিদুল হাসান এসেছিল পরিবারের সবাইকে নিয়ে। ওনার বউ কেন যে একা একা কোন আড্ডায় যেতে দিতে চান না, তা বুঝতে কোন অসুবিধা হয়না
এত কিছুর ছবি তোলার থাকতে বাল্যবন্ধু কিসের ছবি তুলছে ?
ব্লগার যখন গাছে
ফটোওয়াকের শেষ পর্যায়, কিছুটা বিশ্রাম
শেষদিকে যোগ দিল ছোট মির্জা
ফেরার পথে আমি বল্লাম " ভাইগ্নারা ছাগু আইছে " সাথে সাথে পজিশন। ভাইগ্নাদের রিফ্লেক্স এ্যাকশন দারুন
সারাদিনের না খাওয়া সামুর ব্লগার, ক্লান্ত
২য় ও ৩য় পর্ব শুরুর আগে, একটা ছোট্ট ব্রেক কিছু ছবি দেখুন এই ফাকে
শাপলা পুকুরের শাপলা খুজুন
ছবি দেখার জন্য মাথা গরম ঠান্ডা করতে ইচ্ছে হলে পুকুরে লাফ দিন একটা। কারন আরো ছবি আসতাছে
============================================
পর্ব দুই : একটি ছোট আড্ডা
দেশের বাইরে ছিলাম প্রায় একমাস। প্রিয় ব্লগারগনের সাথে দেখা অনেকদিন পর। ব্লগার রুদ্র প্রতাপ আমার অনেক প্রিয় একজন ব্লগার। তেমন পরিচয় নেই। বই মেলা আড্ডায় ব্যস্ততার কারনে আসতে পারেন নি। কিন্তু এবার আর এই মফস্বলের বুইড়া ব্লগারের ডাক উপেক্ষা করতে পারেন নি। উনি কিন্তু একা আসেন নি
এই ছোট্ট কিন্তু আন্তরিকতায় পরিপুর্ন আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন: ব্লগার রুদ্র প্রতাপ, নাহোল, সাইরাস হেলাল,গুরুজী,রাজ সোহান,রাষ্ট্র প্রধান, শিপু ভাই,বাল্যবন্ধু ও আমি জিসান শা ইকরাম
এমন প্রান খোলা খোলা হাসি হাসতে পারেন কতজনে ?
আড্ডার গলাগলি
আনন্দ আর হাসি
শিপু ভাইয়ের চিত্র পরিচালকের ভঙ্গি
বাল্যবন্ধু যখন ছবি তোলক
হায় হায় , গুরুজী এটা কিসের সাজা ভোগ করছে ?
ডোন ডিস্টাপ রাজসোহান এর মহড়া
দা ব্লগার্স
============================================
পর্ব তিন : কৃষ্ণচূড়া আড্ডা
প্রিয় সামুতে থাকি অনেকটা সময়। এখানকার যারা সক্রিয় ব্লগার তাদের অধিকাংশকে না চিনলেও সামুর ব্লগার হিসেবে জানি। আমাকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ট্যাগিং এর পরেও ভাবি- এখানকার ব্লগার গন আমার আত্মীয়। একই ভবনে বিভিন্ন ফ্লাটে থাকা মানুষ আমরা। মত পার্থক্যতো কিছুটা থাকবেই
তাই ব্লগার আইরিন সুলতানা আপা যখন কৃষ্ণচূড়া আড্ডার ডাক দিলেন, আর যখন জানলাম যে ওখানে বিভিন্ন ব্লগের ব্লগারগন আসবেন, তখন কেমন যেন এক অনাত্মীয় পরিবেশের গন্ধ পেলাম। তারপরেও গেলাম কৃষ্ণচূড়া আড্ডায়। অধিকাংশই সামুর ব্লগার প্রিয় অনেক ব্লগারের সাথেই প্রথম পরিচয়। সামান্য সময়ের মধ্যেই সংকোচ দুরিভুত
কৃষ্ণচূড়া আড্ডায় ছিলেন ব্লগার কালপুরুষ, কৌশিক , আইরিন সুলতানা, সবাক ,বৃত্ত বন্ধি , রেজোওয়ানা , নাহোল , সাইরাস হেলাল, রাজ সোহান , রাষ্ট্র প্রধান , বাল্যবন্ধু , জাহিদুল হাসান , আসকওয়ানমি , হানি , রিয়া সরকার , সত্যবাদি মনোবট , িনদাল , আমি জিসান শা ইকরাম সহ আরো অনেক অনেক ব্লগার । ( নাম গুলোর আপডেট দেব)
সংসদ ভবন সংলগ্ন লেক-সেতুর মনোরম পরিবেশে হয়েছিল বেশ বড় সড় আড্ডাটি। কৃষ্ণচূড়া ছিল সব কৃষ্ণচূড়া গাছেই
আড্ডা আরম্ভ হবার আগেই ব্লগারগনের প্রস্তুতি
ফটো সেশন
অপেক্ষা , কিসের জন্য ?
প্রস্তুতি
কৌশিক দা নিশ্চয়ই অনেক গুরুত্বপুর্ন কথা বলছেন কিন্তু আমরা কেউ শুনতে পেলাম না
এলোমেলো কথাবার্তা
গোল হয়ে মাটির উপরেই বসলাম সবাই। বিভিন্ন এ্যাংগেল থেকে তোলা ছবি।
লাইফ ব্লগিং
আড্ডার আয়োজক প্রিয় ব্লগার আইরিন সুলতানা। তিনি ছিলেন অত্যন্ত উদার। যে যা খেতে চেয়েছেন, তাই কিনে খাইয়েছেন। সাদা ল্যাপটপ, সাদা ড্রেস। ম্যাচিং করা সব
রাজ সোহান সবসময়ই এটা করে থাকে এর ল্যাপটপ আর টি শার্ট সাদা নীল ম্যাচিং করা
দিনের আলো চলে গেলেও আন্তরিকতা চলে যায় নি