" প্রিয় দেশবাসী,
আসসালামু আলাইকুম।
১৯৭১ সনের এই মাসে,আমাদের প্রিয় পাকিস্তান ভেঙ্গে,হিন্দুস্তানের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশ নামক ভুখন্ডের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আমাদের মনে অনেক কষ্ট নিয়ে, এই বাংলাদেশ কে মেনে নিচ্ছি। এর পিছনে আমাদের বিবিধ উদ্দেশ্য আছে। বাংলাদেশ টা যাতে কোনদিন মাথা উচু করে দাড়াতে না পারে,তার চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি।কেউ যাতে শান্তি না পায় - তার ব্যাবস্থায় আমরা নিয়োজিত আছি।
আমাদের কিছু কষ্ট।
বর্তমান সংবিধানে এদেশের সব নাগরিক সমান,এমনটা লেখা থাকলেও, হিন্দুস্থানের কিছু দালাল,কিছু অমুসলিমের কারনে,মাঝে মাঝেই-এই সংবিধান লংঘিত হচ্ছে। আমাদেরকে রাজাকার বলে- ২য় শ্রেনীর নাগরিক বানানো হয়েছে। ১৯৭১ এ যারা আমাদের পরাজিত করেছিল,তাদের নামের সাথে কত সুন্দর করে মহান মুক্তিযোদ্ধা বলা হয়। অথচ আমরা আমাদের নামের সাথে মহান রাজাকার ব্যবহার করতে পারি না । মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরাও নাকি সব কিছুতে সুবিধা পাবে। আমরা কেন পাবো না? আমাদের রাজাকারদের সন্তানরা কেন পাবে না ? কেন কেন কেন?
তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজ হতে আমরা আমাদের নামের পুর্বে মহান রাজাকার শব্দটা ব্যবহার করবো। আমাদের যে সমস্ত মহান রাজাকাররা ইতিমধ্যে শাহাদাত বরন করেছেন,তাহাদের কবরে নিম্নরূপ লেখা পাথর লাগানো হবে :
এখানে চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন
মহান রাজাকার : (.....নাম....)
আমাদের সফলতা
ইতমধ্যে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয়তা জাতির কাছে প্রমান করেছি:
১। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সাথে বৈঠক করেছেন।
২।দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সাথে আমরা ঐক্যবদ্ধ।
৩।জননেতা রাশেদ খান মেননের সাথেও আমরা কোলাকুলি করেছি।
৪।আমরা মন্ত্রী হয়ে, আমদের গাড়ি ও বাড়িতে বাংলাদেশের জাতিয় পতাকা উড়িয়েছি।
৫।১৯৭১ সনের যুদ্ধ ছিল যে শুধুই পাক-ভারত যুদ্ধ, তা একটা বড় দলকে মানতে বাধ্য করেছি। যখন এই বক্তব্য দেয়া হয়েছিল। উক্ত বড় দলের পক্ষ হতে কোন বাধা আসেনি। এটা আমাদের জন্য খুব বড় একটি সফলতা।
৬। প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা আমাদের লোক নিয়োজিত করতে পেরেছি।
আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা
১।যারা এই বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যত কে নিয়ে সত্যিকারভাবে চিন্তা করে- তাদের , মানসিক ও সামাজিক ভাবে হেয় করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদেরকে ইসলামের দুশমন , হিন্দুস্তানের দালাল,নাস্তিক ইত্যাদি বিশেষণ এ ভুষিত করার সর্বাত্বক চেষ্টা চালানো হবে।
২।যুদ্ধাপরাধী বিচারের দাবী যে ইসলামের শত্রুদের দাবী- তা প্রমান করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
পরিশেষে একটা হাদিস শরিফ
"তোমরা জেনে শুনে মিথ্যা বলোনা, আর সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকো না "
পবিত্র হাদিসের এইটুকু - আজ হতে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হলো।কারন- ১৯৭১ সনে আমাদের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন করে - এই হাদিসের আলোকে কেউ যেন উত্তর দিতে না পার।
খোদা হাফেজ । বাংলাদেশ (পাকিস্থান) জিন্দাবাদ। "
লেখকের কথা : আসুন আমরা দলমত ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে, রাজাকারদের প্রতিরোধ করি।ওদের সামাজিক ভাবে ব্য়কট করি।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:১২