কুমিল্লায় একটা খাওয়া দাওয়ার বিরতি ছাড়া চকরিয়ায় পৌছানো পর্যন্ত ঘুমে আর আড্ডায় কেটেছে আমাদের সময়। শাহরিয়ার ভাইয়ের হাতে বানানো রেড ওয়াইনের রেশ নিয়েই সকালে ঘুম ভাঙলো চকরিয়ায়। নেমে সবাই নাস্তা শেষে চান্দের গাড়িতে রওনা হলাম আলিকদম। চান্দের গাড়ির ছাদে একেবারে সামনে আমি, উথাল পাথাল বাতাস, দুপাশে পাহারের সারি, আলো ছায়া, পাহারের মাথায় মেঘ, কখনো উঁচু আবার নেমে যাচ্ছি নিচুতে, সব মিলিয়ে দারুন কাটলো চান্দের গাড়ির সময়টা, শুধুমাত্র দুইবার আর্মি ক্যাম্পে রিপোর্ট করার জন্য অপেক্ষা ছাড়া।
আলিকদমে নৌকা ঠিক করে রাখা ছিলো আগেই, ইঞ্জিনের নৌকা। এ পাহাড়ি নদিতে হাতে চালানো নোকা নিয়ে খুব বেশি যাওয়ার আশা করা যায় না আসলে। আমরা খাবার কিনে নিলাম, সাথে প্রয়োজনীয় আরও অনেক কিছু, যার যা প্রয়োজন। আমাদের তাড়া ছিলো বেশ, তবুও এক এক করে আমরা প্রায় সবাই নেমে পড়লাম নদীতে। প্রচুর স্রোত, অসম্ভব টানের মাঝে আমরা সাঁতরালাম, হাঁটলাম, পানি ছিটিয়ে মজা করলাম। বার বার রওনা দেয়ার তাড়া দেয়ার পর আমরা উঠলাম, আর তারপর নৌকায় শুরু হলো মাতামুহুরী নদী পথে আমাদের আসল যাত্রা।
----------------------------------------------------------------------------------
ছবি অনেক বেশি আর লেখাটাও অনেক বড় বলে কয়েক পর্বে দিলাম।
পর্ব : দুই Click This Link
পর্ব: তিন Click This Link
পর্ব: চার (শেষ) : Click This Link