সেই রাতে অন্ধকার ছিলো না কোন,তীব্র আলোর ঝলকানিতে উদ্ভাসিত ছিল চরাচর, বিপুল বিশ্ব। আর জোৎসার সেই কোমল আলোয় আমি দেখলাম এক অনাবৃত নারী, কোমর দুলিয়ে হাটছে।টানটান উচু স্তন আর সুডৌল নিতম্বের ছন্দময় দোলা এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারনা করেছিল।এক অমোঘ আকর্ষন আমাকে প্রলুব্ধ করলো।আমি সব ছেড়েছুড়ে, মদ,জুয়া আর টেলিভিশনের নর্তকীদের অর্ধনগ্ন শরীর অথবা ব্রা উপচে পড়া বুক, ঐ নারীর পিছু নিলাম।সে ছিল পুরোপুরি আদুল বা পরিস্ফুট।
অনেক পথ আমি তার পিছু পিছু এলাম, বসন্তের মৃদু আবেশী বাতাস বইছিল, তাতে ভেসে আসছিল একটা গন্ধ, মিষ্টি ঘ্রান। মেয়েদের শরীরের গন্ধ এতো মাতাল করা হতে পারে তা ছিল আমার ভাবনার অতীত। আমি আরো উন্মত্ততা বোধ করলাম। ছুটতে লাগলাম ঐ রহস্যময়ী অদ্ভুত অনাবৃত রমণীর পেছনে।
হঠাৎই লক্ষ করলাম পুবের আকাশটা লালচে হয়ে উঠছে আর এরপরই সেই আশ্চর্য নারী হারিয়ে গেল কোথাও।আমি দ্রুত পা চালালাম, একটা উচু ঢিবি -সাদা গোলাপের বাগান-শাপলা আর কচুরিপানা ভর্তি ছোট সবুজ পুকুর পেড়িয়ে গ্রামের সরু ইট বিছানো রাস্তাটায় এসে উঠলাম। অবাক হয়ে দেখলাম রাস্তার উপর অজস্র গোলাপের পাপড়ি স্তুপ হয়ে আছে। আর সেই নারী, রহস্যময়ী, ঐশ্বরিক নারী সেখানে শুয়ে আছে, তার পুরো শরীর লাল গোলাপে আবৃত।আমি তাকে ছুতেই টের পেলাম হিমশীতল অথচ মোলায়েম ত্বক, প্রানহীন আর লোহিত রক্তের উৎকট গন্ধ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪০