হোসেইনের বিবাহ হইবে।দামড়া ছেমড়া লেখাপড়া শেষ করিয়াছে,মোটামুটি কাজ চালানোর মতুন বেতনের চাকরি পাইয়াছে,অর্ধডজন ভাই বোনদের মধ্যে তালিকায় সে নিম্নে আছেএবং বিবাহ বাকিদের তালিকায় এখন তার নাম প্রথমে আছে,বড়ো ভাই বোনগুলা আদর দিয়া তার মাথা খাইয়াছে,সুতরাং তাহাকে বিবাহ দিতে হইবে।
হঠাৎ করিয়া হোসেইনের বিবাহের তোড়জোড় পড়িয়াছে।হোসেইন নিজে কাউরে কিছু কয় নাই,হোসেইনের কক্ষে কোন জোড়া খাট নাই যে কাটিয়া অর্ধেক করিবার উদ্যোগ নিবে এবং পরিবারের কেউ জিজ্ঞাসা করিলে বলিবে,ডাবল খাট দিয়া কী করিব,সিঙ্গেল খাটই যথেষ্ঠ,তবু হোসেইনের বিবাহের প্রস্তাব উঠিল।
তত্বতালাশ করিয়া জানা গেল হোসেইনের পরিবারে এইবার হজ্বে যাইবার ইরাদা করা হইয়াছে।বিবাহযোগ্য পুত্র কন্যা রাখিয়া হজ্ব করা সহিহ হইবে না বলিয়া এক মাওলানা জানাইয়াছেন,তাই হজ্বকে সহিহ করিবার জন্য হোসেইনের বিবাহ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হইয়াছে।
হোসেইন বহু কিতাব ঘাটিয়া দেখাইলো যে হজ্বে যাইবার সাথে বালেগ পুত্রের বিবাহ দিবার কোন সম্পর্ক নাই।মুটামুটি খাইবার পরিবার ব্যবস্থা থাকিলে আর পথ খরচা থাকিলে হজ্বে যাওয়া যাইবে,ধার কর্জ থাকিলে সেইগুলা শোধ করিয়া দিতে হইবে আগে,কিন্তু পুত্র থাকিলে তাকে বিবাহ দিতে হইবে না।
হোসেইনের দাড়ি গোফ নাই,তাছাড়া সেই কোনকালে একবার বাজারের টাকা মারিয়া ধরা খাইয়াছিল ,সুতরাং ধর্মীয় বিষয়ে তার মতামত মাওলানার চাইতে বেশি বিশ্বাসযোগ্য হইলো না।
একরাত্রিতে তাহার মাতা তাহার কাছে আসিয়া বসিলেন।
আদর করিয়া মাথায় হাত বুলাইয়া বিবাহের কথা পাড়িলেন।
এই যুগের মানুষ,তাই নিশ্চিত করিয়া কইলেন,"তোর যদি কোন পছন্দের কেউ থাকে,তবে নির্ভয়ে নাম বলিয়া দে।উহাকেই পুত্রবধু হিসাবে বরণ করিয়া লইব।"
(আরেক কিস্তি চলিবে)