পুরো মুসলিম উম্মাহর জন্য খলিফা বা ইমাম থাকা সর্বদাই ফরয আর এই ধরনের খলিফা নিয়োগ আর নিম্ন পর্যায়ের আমির/কর্তা নিয়োগের মাঝে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। সহী ইসলামী নিয়ম হল মুসলিমদের খলিফা বা প্রধান নেতা নির্ধারিত হয় পুর্ববর্তি খলিফা বা নবী কর্তৃক যেটাও কিনা আল্লাহ সুবহানা কর্তৃকই নির্ধারন। তবে পৃথিবী হতে মুসলিমদের সত্যিকারের খিলাফত/ইমামত একদমই না থাকলে নবুয়ত যেমন সরাসরি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারন হয় ঠিক তেমনি খিলাফতও মহান আল্লাহ সুবঃ কর্তৃকই নবুয়তের আদলেই নির্ধারন হবে যা কিনা মুসনাদে আহমদের সহী হাদিসেও উল্লেখ আছে। আর এই ধরনের নবুয়াতের আদলে খিলাফাহ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত একমাত্র ইমাম মাহদী এর খিলাফতকেই নির্দেশ করে তাই এরপূর্বে যত চেষ্টাই করা হোক না কেন কিছুতেই বিশ্বে সত্যিকারের হক্বানী খিলাফত আনা সম্ভব না তবে ইসলামবিরোধীদের দ্বারা ফিতনার উদ্দেশ্যে কিছু ধোকাবাজমূলক খিলাফত/ইমামত/ইমারত থাকবে অজ্ঞ মুসলিমদের পথভ্রষ্ট করতে ও নিজেদের মাঝে দাংগা লাগাতে যেমন-শীয়াদের জন্য ইরানের খোমেনীর ইমামত, সুন্নীদের জন্য তুরস্কের এরোদোগানের শাষন, আই এস জংগীদের খিলাফত, আমেরিকার আপন হাতে গড়া আফগানিস্তানে অনইসলামী সূরাভিত্তিক ইমারত এবং হামাস হিজবুল্লাহ ইসলামি রেজিস্ট্যান্স এর আড়ালে সুফিয়ানী টাইপ চরম গণসমর্থন ওয়ালা খিলাফত ইত্যাদি। তবে ফিরকায়ে নাজিয়াহ বা পরিপূর্ন হক্কপথে থাকতে হলে ঐসব দল হতে দূরে থাকার জন্য সহী হাদিসে হুজাইফা রাঃ বর্ননা সহ প্রয়োজনে একাই থাকা এমনকি বেশিরভাগ সময় ঘুমের মধ্যে থাকাকেই বেশি উত্তম বলা হয়েছে। আর মুসলিম একের বেশি হলে অবশ্যই যেখানে আর যে অবস্থাতেই থাকা হোক না কেন সর্বদাই একজন কর্তা /আমির/নেতা নির্ধারন করেই থাকতে হবে এমনকি একটি মুসলিম পরিবারের ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য অর্থাৎ ১০/১২ বছররে সাবালক কিশোরও একটি পরিবারের কর্তা হতে পারবে কিন্তু কখনই একজন নারী পরিবারের কর্তৃত্ব করতে পারবে না যদিও সে উম্মুল মুমেনিন আয়েশা রাঃ এর মত কেউ হোক না কেন আর সংসারের কর্তা বা আমির যদি অনেকটাই তুলানামূলক কম জ্ঞানী হয় আর মা বোনের মাঝে কেউ যদি হাফেজা আলেমা ডক্টরেটধারীও কেউ হয় এমনকি মা ফাতেমা রাঃ এর মত যোগ্য কেউ হয় তবে সে কম জ্ঞানী কিশোর কর্তাকে জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করতে পারবে কিন্তু কর্তৃত্ব কখনই করতে পারবে না ঠিক যেভাবে নামাজের ইমামতি একজন নারী করতে পারে না।
ইমাম/সংসার কর্তা/ গোত্র প্রধান/আমির নির্ধারনের ক্ষেত্রে আমাদের নবী সাঃ কুরানের জ্ঞান তথা ঐশী এলেম এবং বয়স তথা অভিজ্ঞতাকেও প্রাধান্য দিতে বলেছেন। মুসলিমদের প্রধান নেতা সরাসরি আল্লাহ কর্তৃক পূর্ববর্তী ইমামের দ্বারা বা নবুয়তের আদলে নির্ধারন হয়ে থাকে এখানে ভোটাভুটির কোন সুযোগ নেই তবে সকল মুসলিমকে তার কাছে আনুগত্যের শপথ বাআত করতে হয় আর পরে নিম্ন ক্ষেত্রে যত ইমাম/ নেতা/ গভর্নর আছে সকলকেই সেই প্রধান খলিফা/নেতা একাই নির্ধারন করবে এক্ষেত্রে কারও কিছু করার নেই খলিফা ভাল হলে আল্লাহর রহমত আর খারাপ হলে ধৈর্য্য ধরতে হবে এরবেশি কিছু করার বিধান নেই যতদিন পর্যন্ত সে নামাজ পড়ছে তবে তার ভুলগুলো না মানার হুকুম আছে কিন্তু জবরদস্তি করে মানালে আল্লাহ মাফ করবেন আর যেগুলো সঠিক নির্দেশনা দিবে সেগুলোকে অবশ্যই মানতে হবে এমনকি এতে অনেক সওয়াব ও কল্যানও রয়েছে। কখনই একই সাথে দুইজন বা একাধিক নেতা আমির থাকা যাবে না যদি থাকে তবে সকলকেই একজন আমিরের আন্ডারে আসতেই হবে, অপরপক্ষ না আসতে চাইলে প্রয়োজনে কতল করতে হবে, এক নেতা অন্য নেতার আন্ডারে ইসলামের স্বার্থে চলে আসলে খুবই ভাল যদি দুজনেই যোগ্য মনে করে তবে হালাল লটারী করে হলেও শুধুমাত্র একজনকেই আমির রাখতে হবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বা আগত যুদ্ধের সময়ও শুধুমাত্র কোন এক অঞ্চলের ক্ষেত্রে হলেও একজন আমিরেরই অনুগত্য করতে হবে তবেই আশা রাখা যায় ইনশাহ আল্লাহ বিশ্বনেতা/মুসলিমদের নেতা আবারও একজন হক্কানীই হবে ইনশাহ আল্লাহ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৪০