---/ ৫ম পর্ব --- ১২) এক পাক্ষিক এবং উভয়পাক্ষিকভাবে বাংগালীর আরও অনেক অপরাধ প্রবণতা রয়েছে যেগুলোর অধিকাংশই এমন যে উপরে উল্লেখিত অপরাধ প্রবণতার মত যদি বিস্তারিত না বলা হয় তবে অনেকেই বুঝতে পারবে না আবার কিছু অপরাধ প্রবণতা এমন যে শুধু সচেতন মহলই বুঝতে সক্ষম তাই সেগুলোকেই প্রথমে ক্রমান্বয়ে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হচ্ছে যেমন-
ক) খুব আশ্চর্য্যের হলেও এটাই সত্যি যে একমাত্র বাংগালী জাতির অধিকাংশের মাঝেই কেন জানি সৎ এবং সততার প্রতি ঝোঁক কম অর্থাৎ সত্য-সঠিক, এক নম্বর জিনিস এবং লিগ্যাল পন্থার প্রতি বড়ই অনীহা অথচ অসৎ, দুর্নীতি এবং দু-নম্বরী ব্যাপারগুলোতেই ঝোঁক বেশি অর্থাৎ ইলিগ্যাল পন্থার প্রতিই আস্থা বেশি। আর এই ধরনের স্বভাব দিনের পর দিন প্রবল আকারে বেঁড়ে চলছে।
বিঃদ্রঃ নিজের ব্যাক্তিত্ব ও বৈশিষ্টের সাথে পুরো বাংগালী জাতির স্বভাব মিলালে এখানকার সব আলোচনাই মাথার উপর দিয়ে যাবার সম্ভাবনা কেননা নিজ নিজ স্বভাব অনুযায়ি প্রত্যেকেরই স্বতন্ত্র ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির চশমা থাকে আর সেই ব্যাক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির চশমা দিয়ে সকলকেই দেখলে নিজের মতই নির্দোষ এবং ভাল স্বভাবের মনে হতে পারে। তাই এখানে যেসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তা কখনই একক বা স্বল্প সংখ্যক মানুষের তথ্য নয় বরং সকল তথ্যই এমনি ক্লাসিফাইড এবং সুদীর্ঘ সময়ের জরিপ যে তা সকলেই যাচাই বাছাই করতে পারে। তাই কোন তথ্য নিজের পছন্দ বা মনমত না হলে অথবা নিজের ব্যাক্তিগত স্বল্প পরিসরে দৃষ্টান্ত না মিললেই যে তা ভুল এমন ভাবার কোন কারন নেই।
খ) “শক্তের ভক্ত নরমের জম” এই প্রবাদটি কিভাবে বাংগালী জাতির সাথেই বেশি মিলে তা বুঝতে হলে দেখতে হবে কোন এলাকায় দূর্বল চোর ধরা পরলে তার সাথে কি আচরণ করে বাংগালী আবার একই এলাকায় ডাকাত বা সশস্ত্র ছিনতাইকারীর দল হানা দিলে বাংগালীরা কিভাবে আক্রান্তদের রেখে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে থাকে। শুধু তাই নয় দূর্বলের প্রতি সবলের অত্যাচারে বা ক্ষমতাহীনদের উপর ক্ষমতাশালীদের নিপীড়নে বাংগালী জাতি রয়েছে এক নম্বরে।
গ) অসহায়, দুঃখী, দরিদ্র, ক্ষমতাহীন এমনকি নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষকে নিম্নচোখে দেখা এবং প্রকাশ্যে ঘৃণা করার স্বভাব পূর্ব হতেই বাংগালীর রক্তে প্রবাহিত ফলে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে নিচু শ্রেনীরা উপায় না দেখে অসৎ পথে বড় হবার চেষ্টা করে যার সামগ্রিক প্রভাব সকলের উপরেই পরে। এই বাংগালীরাই আবার ধনী, ক্ষমতাশালী, উঁচু ও প্রভাবশালীদেরকে অসৎ হলেও অন্তর দিয়ে ভালবাসে এমনকি তারা কোন ভুল করলে বা ভুল বললেও তাকে ঠিক ঠিক! বলে সঠিক আখ্যা দেবার মত চামচামী স্বভাব বাংগালীর হাড়ে হাড়ে বিদ্যমান।
এছারাও আরও কিছু অপরাধ প্রবনতা দৈনন্দদিন জীবনে প্রায় সকল বাংগালীরই রয়েছে যেমনঃ-
১৩) এখন পর্যন্ত যেসব অপরাধ প্রবনতার আলোচনা করা হয়েছে তার প্রায় বেশিরভাগই পৃথিবীর অন্নান্য জাতির মাঝেও বিদ্যমান, কিন্তু কেন এসব অপরাধ প্রবণতাগুলো শুধুমাত্র বাংগালীদের মাঝেই বেশি তার কারন ভালভাবে বুঝতে হলে পুরো আলোচনাই শুনতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হল অন্নান্য জাতির মাঝে সাধারনত যেসব অপরাধ লক্ষ্য করা যায় তার প্রায় পুরোটাই বাংগালীদের মাঝে দেখা যায় কিন্তু আরো অনেক অপরাধ এমন আছে যে তা শুধুমাত্র বাংগালীদের মাঝেই বেশি সুতারাং বাংগালীরাই যে অপরাধ প্রবণতায় সবার আগে রয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এবারে এমন কিছু অপরাধ ও বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে যা কিনা একটি নির্দিষ্ট জাতি ছারাও বাংগালীসহ প্রায় সকল মানব জাতির মাঝেই রয়েছে।
গুরুত্বপূর্ন ব্যাপারগুলো উল্লেখের পূর্বে প্রথমেই সেই জাতি সম্পর্কে জানা উচিৎ। পৃথিবীর বুকে jewis বা ইহুদী জাতি হল সবচেয়ে সংখ্যালঘু জাতি আর এই জাতি আবার প্রধান দুইভাগে বিভক্ত, ১ম ভাগে রয়েছে সত্যিকারের ধার্মিক ইহুদীগন ২য়ভাগে রয়েছে নাস্তিক এবং ইহুদী জাতীয়তাবাদী ধোঁকাবাজ জাতি। বর্তমানে ইহুদীদের মাঝে ২য় প্রকারের জাতির সংখাই বেশি। হাজার হাজার বছর পূর্বে ইহুদী জাতিই ছিল সবচেয়ে শ্রেষ্ট জাতি কিন্তু ইয়াকুব আঃ বা ইসরাইলের কয়েকজন স্ত্রীর মাঝে একজন স্ত্রী ছিল খুবই হিংসাপরায়ণ এবং ভীষন কুট-মনমানিসকতা সম্পন্ন আর তার গর্ভেই জন্মগ্রহন করে ইয়াহুদা নামের আরেক হিংসাপরায়ণ সন্তানের। সেই ইয়াহুদার ঔরসেই অনেক সন্তান সন্ততির জন্ম হয় বলে তার বংশ অন্নান্য বনী ইসরাইলের বংশের চাইতে বড় বা সংখ্যাগুরু ছিল আর সেকারনেই বেশিরভাগ বনী ইসরাইলই নিজেদের ইহুদী বলে পরিচয় দিত কারন ইয়াহুদার বংশের সংখ্যা বেশি হওয়ায় অন্নান্য বনি ইসরাইলদের সাথে বৈবাহিক সূত্রে ব্যাপক মিশ্রন ঘটে আর একারনেই অধিকাংশ বনি ইসরাইলরা নিজেদেরকে ইহুদি পরিচয় দিত এবং আজও তাই দেয়। সেই ইয়াহুদাই নিজের আপন ভাই ইউসুফ আঃ কে কুপের মাঝে ফেলে হত্যা চেষ্টার জন্য দায়ী। শুধু তাই না এই ইয়াহুদার বংশ বা ইহুদী বংশই ছিল চরম অবাধ্য ও ভীষন হিংসাপরায়ণ আর প্রধানত এদেরকেই সঠিক পথে আনতে বনী ইসরাইলের সবচেয়ে উত্তম ব্লাড লাইন হতে ঈশ্বর যুগে যুগে অসংখ্য নবীর মাধ্যমে তাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করতেন। কিন্তু অল্প কিছু ইহুদী ছাড়া বেশিরভাগই বিরোধীতা করত তবে মুসা আঃ কে অনেকেই মানতে বাধ্য হলেও পরবর্তীতে দাউদ আঃ এর পর হতে নবীদের না মানার কারনে ইহুদিদেরকে ঈশ্বর বিভিন্নভাবে সায়েস্তা করতেন আর এভাবে ইহুদী জাতির অবাধ্যতা ধীরে ধীরে বাড়ছিল তাই ঈশ্বরের গজবও তাদের উপর বাড়ছিল, এভাবে চলতে চলতে ঈশ্বর সর্বশেষ ঈসা আঃ বা যীশুর দ্বারা হেদায়েতের চেষ্টা করেন কিন্তু পুর্ব অভ্যাস অনুযায়ি তাঁকেও ইহুদীরা হত্যার চেষ্টা করে এবং তাদের কাছে মনে হয় যে তারা তা সম্পন্নও করে ফেলেছে। আসলে ইহুদীরা তাদের ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ি শেষযুগে তাদের মাঝে একজন নবী আসার অপেক্ষায় ছিল যার মাধ্যমে ইহুদী জাতি আবারও বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে সেই নবী মুহাম্মদ সাঃ হলেও তারা তাঁকে এবং ঈসা মাসিহ এর ২য় বার আগমনের মাঝে জগাখিচুড়ী পাকিয়ে ফেলে এবং ঈসা আঃ এর ১ম আগমনের সময়ই ধর্মগ্রন্থের শাব্দিক অর্থে ভুল বুঝে ঈসা আঃ সেই মাসিহ কিছুতেই নয় এমন ধারনায় চরম শত্রুতায় মেতে উঠে, যদিও তাদের মাসিহের অপেক্ষার মুলে ছিল দুনিয়াবী লোভ তাই লোভী ইহুদিরা ঈসা আঃ কে কিছুতেই চিনতে পারল না উল্টো মরিয়ম আঃ কে সহ ঈসা আঃ কে অপবাদ দিল এমনকি সর্বশেষে ঈসা আঃ কে শুলে চরানোর চক্রান্তে মেতে উঠল যাইহোক তখন ইহুদীরা ঈসা আঃ কে ঘিরে কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল ১ম ছোট দল ছিল বনী ইসরাইলের কিছু অংশ যারা ঈসা আঃ কে পরিপূর্ন বিশ্বাস করত এবং মানত ২য় বৃহৎ ইহুদীর দলই তাঁকে প্রত্যাক্ষান করে শত্রুতায় মেতে উঠল যদিও ঈসা আঃ বলেছিলেন যে তিনিই সেই মাসিহা কিন্তু তারা ঈসা আঃ এর ২য় আগমনের সময়কার পরিস্থিতি এবং শেষ নবী মুহাম্মদ সাঃ কেও মাসিহার গুনে গুনান্বিত করে গোজামিল আকারে ঈসা আঃ কে মাসিহ হিসেবে চিনতে চাওয়ায় ভুল বুঝে তাঁকে অবিশ্বাস করল ধর্মগ্রন্থের শাব্দিক অর্থ করায় এবং ভুলভাবে নিজেদের মন পছন্দ অনুযায়ি ব্যাখ্যা করায়। এরপর ঈসা আঃ আসমানে চলে যাবার পর তারা আরও কয়েক ভাগে বিভিক্ত হল যা কিনা সর্বশেষে প্রধান ৭২ মতবাদে রুপ নেয়। ঈসা আঃ আসমানে যাবার পর সত্যিকারের ১ দল সঠিক পথে থাকলেও আরেক বৃহত্তর দল যিশুকে ঈশ্বর পুত্র ভেবে পথভ্রষ্ট হল আর বেশিরভাগ ইহুদিই তাঁকে অভিশপ্ত মনে করত ফলে সেই ইহুদী জাতির উপর ঈশ্বরের অভিশাপ আরও বর্ষিত হল যার কারনে পরবর্তীতে বিভিন্ন অত্যাচারী রাজা বাদশাহ এবং অন্নান্য জাতির দ্বারা ইহুদী জাতি সর্বদাই অত্যাচারীত হতে লাগল আর এভাবেই ঈশ্বর ইহুদিদেরকে দুনিয়ার বুকে সবচাইতে মজলুম ও অভিশপ্ত জাতিতে পরিনত করলেন। যদিও তখনও কিছু কিছু বনী ইসরাইলী ভাল ছিল তাই ঈশ্বর কর্তৃক পরিপূর্ন অভিশাপ তাদের উপর পরেনি কিন্তু যখন প্রায় ৬০০ বছর পরে শেষ নবীর আগমন ঘটল যার অপেক্ষায় তারা দিন গুনছিল তিনি সরাসরি তাদের বংশে জন্ম গ্রহন না করে ইনডাইরেক্টলী তাদেরই আরেকটি ব্লাড লাইন বনী ইসমাইল বংশে জন্ম গ্রহন করলে তারা হিংসায় ফেটে পরে এবং শুরুর দিকে অহংকার বশ্বত নবী মুহাম্মদ সঃ কে ইহুদীরা শুধুমাত্র উম্মীদের নবী হিসেবে স্বীকৃতি দিত কিন্তু শেষ নবী এবং বিশ্ব নবী অর্থাৎ বনী ইসরাইলেরও নবী হিসেবে মানত না। ইহুদীদের এমন আচরণের মূল কারন ছিল দুটি-১মত শেষ নবী ইব্রাহিম বংশের হলেও সরাসরি বনী ইসরাইল হতে না আসা ২য়ত- ধর্মগ্রন্থের শাব্দিক অর্থের ভুল বুঝা এবং ভুল ব্যাখ্যার স্বিকার হয়ে শেষ নবীর সাথে ঈসা মাসিহের সর্বশেষ আগমনের অবস্থা ও গুনের সাথে তালগোল পাকিয়ে ফেলা।
যাইহোক ইত্যাদি আরও বিভিন্ন কারনে ইহুদীরা ১মে ঈসা আঃ কে না চিনে তাঁর এবং তাঁর অনুসারিদের সাথে শত্রুতা করে ঈশ্বরের অভিশাপে নিপতিত হয় এবং সর্বেশেষ নবীকেও প্রত্যাখ্যান করে পুরোপুরি ঈশ্বরের গজবে পরে বিশ্বের মাঝে সবচেয়ে অভিশপ্ত জাতিতে রুপান্তরিত হয় অনেকটা ইবলিস শয়তান যেমন ১মদিকে ঈশ্বরের নিকটবর্তী হওয়ার পরেও হিংসা বশ্বত আদম আঃ কে প্রত্যাখ্যান করে অভিশপ্ত হয় ঠিক একইভাবে বেশিরভাগ ইহুদি জাতিরাও বার বার ঈশ্বর কর্তৃক প্রেরীত বান্দাগনকে অস্বীকার করার পাশাপাশি হত্যা করে ইবলিসের মতই অভিশপ্ত হয়ে যায় আর এজন্যই বোধহয় শয়তানও তাদের বন্ধুর ভেবে আপন করে নেয়, ঠিক এর পর হতেই বেশিরভাগ ইহুদীরা শয়তানের মতই চলতে থাকে। ইহুদীদের একমাত্র নিজের জাতি ছাড়া আর অন্য সকল জাতির কারও প্রতি তাদের সত্যিকারের দয়া-মায়া ভালবাসার কোনটাই ছিল না বরং ইহুদী ছাড়া বিশ্বের সকল মানুষকেই তারা শত্রু মনে করত আর নিজেরা ঈশ্বরের অভিশাপ প্রাপ্ত হলেও তারাই একমাত্র ঈশ্বরের বেশি আপন এবং নৈকট্যপ্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ জাতি এমন ভাবত তাছারা খ্রিষ্টানসহ অন্নান্য ধর্মে যে কেউই ঢুকতে পারলেও ইহুদী ধর্মে কেউ ঢুকতে পারত না কারন জন্মগতভাবে ইহুদী না হলে তাদের ধর্ম কেউ মানতে পারে না তাই অন্য মানুষদেরকে ধর্মের দাওয়াত না দেওয়ায় তাদের মনের উদারতাও হ্রাস পায় আর এভাবেই তাদের মন আরও সংকীর্ন হয়ে পরে । যাইহোক ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে ইহুদীরা অন্য সকলের সাথেই কূটকৌশলে চলত আর অন্য জাতির সাথে চিটারী-বাটপারি যেন তাদের ধর্মীয় রীতিনীতি হয়ে গিয়েছিল যারকারনে তাদের এসব কূটচাল যখনই অন্যরা বুঝতে পারত তখনই তাদেরকে যারপরনাই শায়েস্তা করা হত কখনও রাষ্ট্রীয়ভাবে আবার কখনও সামাজিকভাবে দলবদ্ধ হয়ে আর এধরনের পরিস্থিতি ইহুদিদের পূর্ব পরিচিত ছিল তাই তারা খুব কৌশলের সাথে চলত অন্য সকলের সাথে মুখে মুখে খুবই ভাল ভাব দেখাত । যেখানেই বেশ কিছু ইহুদী বাস করত সেখানেই তারা নিজেদের মাঝে খুবই ঐক্য ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখত আর অন্যরা যাতে তাদের জন্য হুমকি না হয়ে উঠতে পারে সেজন্য সেখানকার অন্য কাউকেই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দিত না আর অন্যরা যাতে কিছুতেই সামাজিক ভাবে দলবদ্ধ হয়ে না থাকতে পারে সর্বদাই তারা সে চেষ্টাই করত এজন্যই সেখানকার ইহুদীদের প্রধান কাজই হত অন্য সবার মাঝের ঐক্য ভ্রাতৃত্ব নষ্ট করার পাশাপাশি সকলকেই তাদের নিজেদের উপর নির্ভরশীল করে রাখা, এজন্য তারা সকলের সাথে অর্থনৈতিক, সামাজিক আরও বিভিন্নভাবে দায়বদ্ধ করে রাখত বিশেষ করে তারা সকলের সাথে ব্যাবসা সহ বিভিন্নভাবে আর্থিক লেনদেন করত এমনকি অন্যদের চিকিৎসার জন্য তারা ঝাড়-ফুক করাসহ কালো জাদুর মাধ্যমেও মানুষের রোগ-বালাই দূর করত। ইহুদী সম্প্রদায় নিজেরা নিজেরা ঐক্যে থাকলেও অন্যদের মাঝে ঐক্য- ভ্রাতৃত্ব নষ্ট করে কিভাবে বিচ্ছিন্ন ও দূর্বল করা যায় এটাই যেন ইহুদীদের প্রধান দায়িত্ব হয়েছিল এজন্য তারা অন্যদের মাঝে বিভিন্ন চক্রান্তের মাধ্যমে সর্বদাই ঝগড়া-ফাসাদ, হত্যা এমনকি গোত্রে গোত্রে যুদ্ধ পর্যন্ত বাধিয়ে দিত আর তারা এসব কুকর্ম কখনই প্রকাশ্যে করত না অর্থাৎ তাদের প্রায় সকল কুর্মেরই কোন প্রমান তো থাকতই না এমনকি এসবের দায়ভারও অন্যের ঘাড়ে চাপাত, ইহুদীদের বেশিরভাগ রীতি-নিতিই এমন ছিল যে তারা সর্বদাই পেছন থেকে সবকিছু চালনা করবে আর লোক সম্মুখে হাইলাইট করবে অন্য কাউকে যদিও সত্যিকারের লাভ তাদের পাল্লাতেই ফেলবে যাইহোক এইভাবে ইহুদীরা ছোট সমাজে ভালই প্রভাবশালী হয়ে থাকলেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ইহুদীদের সাথে অন্নান্য ইহুদীদের তেমন যোগাযোগ ছিল না বলে তারা বিশ্বের বুকে তখনও গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠেনি কিন্তু মুসলিমদের সাথে শত্রুতার যের ধরে ইহুদীরা বিশ্বে ধীরে ধীরে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন শুরু করে তাই ইহুদীদের বিশ্ব শাষনের সাথে মুসলিমদের উত্থান ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে বলে মুসলিমদের ইতিহাসও কিছুটা জানতেই হবে তাছারা আসল গোমর ফাঁস সম্ভব হবে না।
শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ আগমনের সময় ইহুদি জাতি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিচ্ছিন্নভাবে ছরিয়ে ছিটিয়ে ছিল যার কিছু অংশ ছিল মদীনায়, মদীনার ইহুদীরাও তাদের চিরাচরিত স্বভাব অনুযায়ি মদীনার সাধারন মানুষের সাথে কুটচালের মাধ্যমে নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি গড়ে তুলেছিল আর এজন্য অবশ্যই আম জনতার মাঝে তাদের বিভিন্ন ফিতনা সৃষ্টি করতে হয়েছিল বিশেষ করে গোত্রপ্রীতি, জাতীয়তাবাদ, অতীত শত্রুতার জের ইত্যাদি বিষয়কে তারা উস্কে দিয়ে সর্বদাই গোত্রে গোত্রে ঝগড়া-ফাসাদ, হত্যা, যুদ্ধ ইত্যাদি বাধিয়ে রাখত। মদীনার ইহুদীরাও শুধুমাত্র নিজেদের মাঝে ঐক্য ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখলেও অন্য সকল গোত্রের মাঝে বিভেদের মাধ্যমে দুর্বল করে নিজেদের উপর নির্ভরশীল করে রাখত আর্থ-সামাজিক আরও বিভিন্ন দিক দিয়ে। সর্বশেষে মদীনার সমাজে তাদের প্রভাব এই পর্যন্ত পৌছে গেল যে তারা এবার মদীনায় এক ধরনের সরকার ব্যাবস্থার উদ্ভবের পরিকল্পনা করল, উক্ত ব্যাবস্থায় সত্যিকারের সরকারি ক্ষমতা ইহুদীদের হাতেই থাকবে আর সেই সরকার মদীনার সমাজে ইহুদীদের চাহিদাই পুরন করবে কিন্তু মদীনার সকলেই জানবে যে সেই সরকার বা রাজা সর্বসাধারনের উন্নতি করে আম মানুষের উপকার করছে, অথচ এটা হত একধরনের ধোঁকাবাজ পুতুল সরকার যাকে পেছন থেকে পরিচালনা করত ইহুদীরা অর্থাৎ সেই আমলে মদীনার ইহুদীরা হতে চেয়েছিল এমন শ্যাডো গভার্মেন্ট বা ছায়া সরকার যেমন সরকার ব্যাবস্থা আমরা বর্তমানে বিশ্বব্যাপী দেখছি কখনও গণতন্ত্র বা সমাজতন্ত্রের নামে আবার কখনও ইরান ও তুরস্কে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের নামে আবার কখনও আরব বিশ্বে রাজতন্ত্র বা আফগানিস্তানে ইসলামতন্ত্রের নামেও। আসলে বর্তমানের সকল রাষ্ট্রই কিন্তু চলে এসব ছায়া সরকারের ইশারায় যা কিনা সর্ব সাধারণ একেবারেই জানে না আর এসব শ্যাডো গভার্মেন্টের ব্যাক্তিবর্গরা কখনই সাধারণ মানুষের সামনে হাইলাইটও হয় না বরং তারা বিভিন্ন দেশে তাদের এজেন্ট হিসেবে বিভিন্ন দল গঠন করে মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলে তারপর তাদেরকে গদিতে বসিয়ে হাতের পুতুল বানিয়ে নিশ্চিন্তে সারাবিশ্ব শাষন ও শোষন করে এতে করে সকলেই ভাবতে বাধ্য হয় যে আমাদের দেশের লোকই তো আমাদের শাষন করছে উদাহরণস্বরুপ- বাংলায় বৃটিশরা নবাব সিরাজ-উদ দৌলাকে হটিয়ে নিজেদের বিশ্বস্ত এজেন্ট মীর জাফরকে পুতুল সরকার হিসেবে বসিয়ে রাজ্য পরিচালনা করা অবস্থায় তখকার সময়ে যেসব অসচেতন জনগণ ভাবত যে পূর্বের সিরাজ-উদ দৌলার মতই মীর জাফরও আমাদের স্বাধীন নবাব, ঠিক বর্তমানেও সকল অসচেতন জনগণই ভাবে আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক এবং আমাদের সরকারও স্বাধীন কিন্তু যারা একটু সচেতন তারাও কিন্তু ঠিকই জানে জাতিসংঘকে বর্তমান বিশ্বের সকল রাষ্ট্রই একমাত্র সকল ক্ষমতার মালিক মেনেই দেশ পরিচালনা করতে বাধ্য আর জাতিসংঘ পরিচালনা করে ইহুদীরাই। অতীতেও বেশিরভাগ মানুষই ভাবত যে বৃটিশরা বিশ্ব শাষন করছে, আরেকটু সচেতন মানুষগুলোও ভাবতে পারে যে বর্তমানে হয়ত খ্রিষ্টানরাই বিশ্ব শাষন করছে কিন্তু এসব ধারনাই ভুল কেননা ইহুদীরাই অতীতে বৃটিশদের মাধ্যমে বিশ্ব দখল করেছিল কিন্তু হাইলাইট করত বৃটিশদের কিন্তু যারা বৃটেন এ থাকেন তারা ভালভাবেই জানে যে বৃটেনের মানুষ গুলো কেমন সহয-সরল, বিশ্বাসই হতে চাইবে না যে এদের মত সাধা-সিধা মানুষগুলো কিভাবে সারাবিশ্বে ডিভাইড এন্ড রুলড এর মত কুচক্র করে বিশ্ব শাষন করেছে বরং তাদেরকে সহয সরলের পাশাপাশি সৎ ও নীতিবানই মনে হবে, তাহলে কারা হিন্দুস্থানকে ভাগ করে ইন্ডিয়া পাকিস্তান বানিয়ে একে ওপরের শত্রু রাষ্ট্র বানিয়ে দিল? কারা আরব বিশ্বকে টুকরো টুকরো করে ছোট ছোট দূর্বল রাষ্ট্র তৈরী করল? যারা এটা করেছে তারাই কিন্তু বৃহত্তর কোরিয়াকে ভাগ করে উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া বানিয়ে দুই দেশের মাঝে সর্বদাই ফিতনার সৃষ্টি করছে, এরাই চীনের সাথে জাপান ও তাইওয়ানের যুদ্ধ লাগানোর জন্য দায়ি, এরাই রাশিয়াকে বিভক্ত করেছিল আবার এরাই কিন্তু রাশিয়া-আমেরিকার মাঝে সর্বদাই শীতল যুদ্ধ বাধিয়ে রাখে এমনকি মুসলিমদের খিলাফত রাষ্ট তুরস্ক , খ্রিষ্টানদের রাষ্ট্রীয় শক্তি রাশিয়া এবং ১ম শ্রেনীর ধার্মীক ইহুদীদের রাষ্ট্রীয় শক্তি জার্মানকে দূর্বল করাসহ আরও অনেক ধোঁকাবাজির উদ্দেশ্যে ১ম বিশ্বযুদ্ধ বাঁধানোর জন্য এরাই দায়ি ঠিক একইভাবে এরাই তাদের এজেন্ডা বিশ্বব্যাপী বাস্তবায়নে ২য় বিশ্বযুদ্ধ ঘটায় জাতিসংঘ গঠনসহ আরও অনেক খারাপ উদ্দেশ্যে যেমন- ১ম শ্রেনীর ধার্মীক ইহুদীদের জার্মান হতে ফিলিস্তিনে এনে সর্বদাই মুসলিমদের সাথে ফিতনা লাগিয়ে রাখা যাতে মুসলিম জাতি আর ধার্মীক ইহুদী জাতি একে অপরকে জাত শত্রু ভেবে সর্বদা শত্রুতা করতেই ব্যাস্ত থাকে। আর পেছন থেকে এই ধরনের কলকাঠি নাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী এই ধরনের ফিতনা সৃষ্টি কোন খ্রিষ্টান জাতির কাজ নয় বরং এরা হল সেই ২য় প্রকারের ফিতনাবাজ ইহুদী জাতি যাদের বেশিরভাগই নাস্তিক এবং বিশ্বের মাঝে এরাই সবচেয়ে ধনী এবং ক্ষমতাবান। তারাই রাজা ৮ম হেনরির রাজত্বকালে ১৫৩৭ সালে রাজার পক্ষ নিয়ে পোপদের সাথে গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে রাষ্ট্রীয় জীবন হতে চিরতরে ধর্মকে নির্বাসনে পাঠায় এবং শুরু করে মানব রচিত আইনের। এরপরই এরা সারা বিশ্ব শাষন শুরু করে বৃটিশদের দ্বারা কিন্তু সাদা চামরার মানুষের শাষন অনেকেই ভিতর হতে মানতে পারছিল না বলে দেশে বিদ্রোহ লেগেই থাকত আর প্রাণ হারাত অনেক বৃটিশ সেনার তাই ওরা এবার আরও ধোকামূলক পরিকল্পনা গ্রহণ করে যেমন- তারা বিশ্বব্যাপী চার্চের আদলে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্মান করে সেখানে ইংরেজি শিক্ষা দিতে থাকে যাতে সকলে তাদের ধর্মীয় শিক্ষা ছেরে তাদের মতবাদী হয়ে যায় এবং তাদেরকে ভালবেসে তাদেরই এজেন্টে পরিনিত হয়, যখন একদল এমন এজেন্ট তৈরী হয়ে যায় তখন তাদেরকে দিয়ে সশস্ত্র সংগ্রামহীন এক ধরনের বানোয়াট মৌখিক সংগ্রাম, বিক্ষোভ ও বিপ্লবের সূচনা করায় এবং এরপর সেখানে থেকে তাদেরই খাঁছ এজেন্টকে নেতা বানিয়ে মিথ্যে স্বাধীনতা দিয়ে বিভিন্ন দেশে সিক্রেট সোসাইটি ও শ্যাডো গভার্মেন্টের মাধ্যমে সেসব দেশকে চিরজীবনের জন্য শাষন ও শোষন করতে থাকে আর তাদের পুতুল সরকার গদিতে বসায় আর এই সরকার যেহেতু পরবর্তীতে তাদেরই দেয়া নির্বাচন নামক ধোকার মাধ্যমে আবার পরিবর্তন করা যায় তাই জনগনও অপেক্ষা করতে বাধ্য হয় কিন্তু জনগন জানতও না যে পরবর্তীতে আবার যাকে নির্বাচন করা হবে সেও তাদেরই এজেন্ট এবং পুতুল সরকার। এই সিস্টেমে সবচেয়ে বেশি কাজ হয় এবং স্বশরীরে বৃটিশ সেনাদের সেসব দেশ হতে প্রত্যাহার করায় সকলে ধোকায় পরে যে সত্যিই দেশ স্বাধীন হয়েছে, আর এভাবেই সারাবিশ্বকে নিজেদের দাস বানিয়ে ২য় শ্রেনীর ইহুদীরা পেছন হতে সারাবিশ্ব শাষন করে যাচ্ছে অথচ তা খুব অল্প মানুষই অবগত আছে, তারা শিক্ষাব্যাবস্থা পরিপুর্ন নিয়ন্ত্রন করায় সত্য ইতিহাসগুলোও পরিবর্তন করে দিচ্ছে। আর এরকমভাবে সত্যকে গোপন করে আম মানুষকে ধোকায় ফেলে পেছন থেকে সরকার পরিচালনার নীতি মদীনা হতেই ইহুদীরা শুরু করতে চেয়েছিল কিন্তু তারা সেখানে ব্যার্থ হয় এবং পরে মুসলিমদের সর্বদিক দিয়ে পরাজিত করে তাদের সেই পুরনো ধোকাবাজী সরকারী ব্যাবস্থা আজ বিশ্বব্যাপী চালানো হচ্ছে।
এইভাবে জনগনকে ধোঁকায় ফেলে পুতুল সরকারকে সকলের সামনে হাইলাইট করে ডিপ স্টেটে ইহুদীরা থেকে নিজেদের ইচ্ছামতই সবকিছু করার এই ধরনের সরকারি পদ্ধতিটা কি ইতিহাসে শুধুমাত্র তখনকার সময়ের মদীনার ইহুদীদের মাথায় প্রথম এসেছিল কিনা প্রশ্ন থেকে যায়। যাইহোক তখনকার সময় ইহুদীদের পরিকল্পনা অনুযায়ি সেই পুতুল সরকার হিসেবে মদীনার এমন একজনকে সিলেক্ট করা হয় যে ছিল ইহুদের খুবই প্রিয় এবং বিশ্বস্ত আজ্ঞাবহ আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই। যেহেতু ইহুদীরা তাকেই মদীনার প্রেসিডেন্ট বানাবে তাই আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইকে মদীনার সকলের মাঝে জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছিল আর মদীনার প্রায় সকল মানুষগুলোও এই সরকার ব্যাবস্থাকে নিজেদের জন্য ফলদায়ক ভেবে সাপোর্ট করছিল। যখন আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এর রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া প্রায় পাকাপক্তই হয়ে গেছে ঠিক ঐ সময়েই মক্কা হতে মুহাম্মদ সঃ হিজরত করে মদীনায় চলে আসেন আর তখনই সেই নবীকে নিয়ে সকলেই এমন খুশি আর ব্যাস্ত হয়ে পরে যে সে সময় মদীনায় নতুন সরকার গঠনের যে তোরজোর চলছিল তা অনেকটাই স্তিমিত হয়ে যায় ফলে ইহুদীসহ আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এর দলেরা সরকার গঠনে বিলম্বিত করতে বাধ্য হয়। দিন যতই বাড়ছিল ততোই নবী সঃ এর জনপ্রিয়তা বাড়তেই থাকে এমনকি বেশ কয়েকজন গণ্যমান্য বনী ইসরাঈলীও মুসলিম হয়ে যায় আর সাধারন মানুষ তো মুসলিম হয়েই চলছিল, শুরুর দিকে ইহুদী পন্ডিতবর্গই মুহাম্মদ সঃ কে তাদের ধর্মগ্রন্থ তওরাত অনুযায়ি নবী হিসেবে স্বীকৃতি দিত কিন্তু যখন নবী সঃ নিজেকে শেষ নবী বলেন আর ইহুদীসহ সকলকেই তাঁর অনুসারি হবার কথা বলেন তখন ইহুদীরা ভীষন ক্ষিপ্ত হয় এছারাও ইহুদীদের মাঝে কেউ কেউ মুসলিম হয়ে সেই সময়কার ইহুদীদের কুচরিত্র- কুকর্ম আর মদীনায় তাদের কুটচাল আর পরিকল্পনার কথা যখন নবী সঃ সহ মুসলিমদের জানিয়ে দেয় তখন ইহুদীরা যেন মুসলিমদের এক প্রকার শত্রুই হয়ে যায় আর সে সময়ে মদীনার ইহুদীরা তিন ভাগ হয়ে পরে ১ম ভাগের অল্পকিছু ইহুদীগন মুসলিম হয়ে যায় আর ২য়ভাগের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি এরা তখন প্রচার শুরু করে যে মুহাম্মদ সঃ আসলে শুধু আরব উম্মীদের নবী কিন্তু বনী-ইসরাইলসহ সমস্ত মানব সম্প্রদায়ের জন্য শেষ নবী নয় বরং শেষ নবী বনী-ইসরাইল বংশেই জন্মগ্রহন করবেন, ৩য়ভাগের ইহুদীর সংখ্যা ছিল কম তবে এদের বেশিরভাগই ছিল ইহুদীদের উঁচু পর্যায়ের প্রভাবশালী এবং বেশিরভাগই বয়ঃবৃদ্ধ আর বেশিরভাগ কুটচাল আর শয়তানী বুদ্ধি এরাই বের করত এমনকি মদীনার সকল ইহুদীদের পরিচালনাও এরাই করত সুতারাং এরা যখন দেখল একদিকে নতুন নবী আগমনে তাদের প্লান অনুযায়ি মদীনায় সরকার গঠন বিলম্ব হয়ে যাচ্ছে আরেকদিকে এই নবী আবার ইহুদীসহ সকলকেই ধর্মান্তরিত তো করছেই এমনকি তাদের গোপন পরিকল্পনাও ফাস করা শুরু করেছে তখন এরা শয়তানের মত এতই ক্ষিপ্ত ক্রোধী হয়ে পরল যে এদের মনে বিন্দু পরিমান আল্লাহভীতিও আর রইল না তখন এদের মনে নবীর সাথে শত্রুতা ভিন্ন আর কোন পথই যেন রইল না তাই তারা এবার প্রচার চালানো শুরু করল যে এই নবী আসলে নবীই নয় বরং নিজেকে শেষ নবী বলে ভন্ডামী করছে। ৩য় ভাগের ইহুদীদের এই প্রচারনা তেমন একটা সুবিধা করতে পারল না বিধায় অনেক ইহুদীরাও এটা মানছিল না কারন শুরুর দিকে তারাই বলেছে যে তিনিই নবী এখন আবার বলছে নবী না, তবে শেষ নবী বনী ইসরাইল ব্যাতীত অন্য বংশে আসতে পারে না এটি সকল ইহুদীই বাপ-দাদার আমল হতেই বিশ্বাস করে আসছিল বিধায় বেশিরভাগ ইহুদীদের মাঝে শুধুমাত্র উম্মীদের নবী এই জনপ্রিয়তাই বেশি পাওয়া শুরু করে কিন্তু তারপরও ৩য়ভাগ ইহুদীদের মত আরও অনেক শয়তান টাইপ ইহুদিরা নবী সঃ কে ভন্ড বিশ্বাস করতে শুরু করল। যাইহোক নবী সঃ মদীনায় আসার পর ৩য় ভাগের ইহুদীরা যখন দেখল আব্দুল্লাহ উবাইকে মদীনার রাজা বনানোর পরিকল্পনায় সম্পূর্নই ভাটা পরেছে কারন কুরাইশ বংশের নবী এখানে আসার পর সকলেই মনে মনে তাকেই রাজা মানছে আর এভাবে চলতে থাকলে সকলে মক্কার নবীকেই রাজার আসনে বসাবে আর তাদের পরিকল্পনা চিরকালের জন্য নস্যাৎ হয়ে যাবে তাই ৩য় ভাগের নেতৃত্বস্থানীয় ইহুদীরা তাদের সকল চেলাপান্ডাদের নিয়ে গোপনে আরও কিছু পরিকল্পনা করল যেমন- ১মত সেই নবী ও তার ধর্ম ভুয়া প্রমান করার জন্য তাদের অনুগত ইহুদীরা ১মে মুখে মুখে মুসলিম হবে এবং এর কয়েকদিন পরেই আবার প্রকাশ্যে ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম এবং তাদের ধর্মের বিভিন্ন নিন্দা সকলের মাঝে প্রচার করবে যেন আর কেউ মুসলিম না হয়। ২য়ত আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইকেই যেহেতু তারা মদীনার মানুষের মাঝে ভবিষ্যৎ রাজা হিসেবে পরিচিত করিয়েছে তাই তাকে বেশিরভাগ মানুষের কাছে অবশ্যই জনপ্রিয় রাখতে হবে সুতারাং ইহুদীদের মতন আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই যদি মুসলিমদের সরাসরি বিরোধীতা করে অথবা কিছু ইহুদীদের মতন ১মে মুসলিম হয়ে পরে প্রকাশ্যে ধর্ম ত্যাগ করার চক্রান্ত করে তবে তার মদীনার সাধারন জনগনের কাছে জনপ্রিয়তা হারিয়ে উল্টো আরও ঘৃণার পাত্র হয়ে যাবার সম্ভাবনাই বেশি, তখন কিন্তু তাকে আর কিছুতেই মদীনার রাজা বানানো সম্ভব হবে না সুতারাং ইহুদীদের প্লান অনুসারে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ও তার দলবল নবী সঃ এর কাছে ১মত মুসলিম হয়ে সাধারন মানুষের কাছে নিজের জনপ্রিয়তা আরও বাড়াবে কিন্তু তলে তলে সে মুনাফেকী করতে থাকবে আর ইহুদীদের সাথে গোপন যোগাযোগ রক্ষা করবে যাতে মুসলিমদের ধ্বংস করে মদীনাতে একমাত্র সেই হতে পারে অধিকাংশের জনপ্রিয় রাজা। এর মাঝেই হটাৎ করে মক্কার কুরাইশদের সাথে নবী সাঃ এর বদর প্রান্তরে যুদ্ধ হয়ে যায় এতে মাত্র ৩১৩ জনকে নিয়ে নবী সাঃ মক্কার ১০০০ সুসজ্জিত বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেন, উক্ত যুদ্ধ ঘটার পূর্বেই আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই তার দলবল সহ কেটে পরে কিন্তু যুদ্ধে বিজয়ী হবার পর পরই মুসলিমরা মদীনার মানুষের কাছ থেকে ট্যাক্স নেয়ার মাধ্যমে মদীনায় ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠিত করে ফেলে আর এতে ইহুদীরা সহ আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ক্রোধে ফেটে পরে এবং আরও চক্রান্ত শুরু করে আর এজন্যই আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মুসলিমদের সাথে মুনাফেকী করে যায়।
বেশিরভাগ ইহুদীরা মুসলিমদের চিরতরে ধ্বংস করার ঘৃণ্য চক্রান্তে মেতে উঠে এজন্য তারা মক্কার কুরাইশ নেতাদের সাথে গোপনে কুটচাল করাসহ সকল মুশরেকদের পাশাপাশি এমনকি খ্রীষ্টানদেরকেও নবীর শত্রু বানানো শুরু করে যার ফলশ্রুতিতে বেশ কয়েকটি বড় বড় যুদ্ধ সংঘঠিত হয় যেমন- ওহুদের যুদ্ধ , মুতার যুদ্ধ , হোনায়েনের যুদ্ধ, তাবুকের যুদ্ধ। মদীনার ইহুদীরা অন্য এলাকার ইহুদেরকেও ইসলাম ধর্ম বিনাশ করতে যুদ্ধে প্রলুব্ধ করে ফলে খায়বরের যুদ্ধে ইহুদীদেরকে পরাজিত হতে হয়, এভাবে মদীনার এবং আশপাশের সকল ইহুদী মিলে মুসলিমদের সাথে শত্রুতা করতে থাকে যদিও মদীনার অভ্যন্তরে তখনও কিছু শান্তিপ্রিয় ইহুদীরা মুসলিমদের সাথে চুক্তি মেনে ভালভাবেই বসবাস করছিল কিন্তু ইহুদীরা যে এক ধরনের ধোকাবাজ সরকারী ব্যাবস্থার উদ্ভব করতে যাচ্ছিল সেটি সম্পূর্ন ধূলিসাৎ হওয়ায় এবং নবী সাঃ বনী ইসরাইল বংশে না জন্মেও কেন বিশ্ব নবী হল, এসব কারনে ইহুদীরা হিংসায় ফেটে পরে আর বাহিরের শত্রুদের সাথে হাত মিলিয়ে যুদ্ধাপরাধ শুরু করে যার ফলশ্রুতিতে ইহুদীদের দুটি গোত্রকে মুসলিমরা মদীনা হতে বহিস্কার করতে বাধ্য হয় তারা দূর থেকে আরও চক্রান্ত শুরু করে এমনকি মক্কার কুরাইশসহ আরও অনেক ইসলামবিরোধীদের একত্র করে সম্মিলিতভাবে মুসলিমদেরকে চিরতরে বিনাশ করতে ১০ হাজার সৈন্য নিয়ে মদীনা অবরোধ করে ইতিহাসে যাকে বলা হয় খন্দকের যুদ্ধ, সবচেয়ে ভয়ানক ব্যাপার হল এই জীবন মরণ যুদ্ধেও মদীনার অভ্যন্তরে মুসলিমদের সাথে চুক্তিবদ্ধ থাকা ইহুদীদের সর্বশেষ গোত্র বনু কুরাইজা চরম বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে যুদ্ধ অপরাধ করে তাই বাধ্য হয়ে ইহুদীদেরই একজনের পরামর্শে তাদেরই ধর্মগ্রন্থ তাওরাত অনুযায়ি যুদ্ধ অপরাধীদের সাস্তি দেয়া হয় ফলে কয়েকশত যুদ্ধ সমর্থ ইহুদীকে প্রাণদন্ড দেয়া হয় এবং কিছু ইহুদিদের সিরিয়াতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এটাই ছিল ইহুদের উপর মুসলিমদের সর্বেশেষ সংস্কার অভিযান কিন্তু এত ইহুদীকে একসংগে মৃত্যুদন্ড দেয়ায় বিশেষ করে মদীনা হতে বাধ্য হয়ে ইহুদী শুন্য করায় পরবর্তিতে এই ঘটনাগুলোই হয়ে যায় মুসলিমদের সাথে ইহুদীদের চিরশত্রুতার প্রধান বীজ যা কিনা সর্বদাই ইহুদীরাই মনে পুষে রেখে মুসলিমদের সাথে সর্বদাই শত্রুতায় মেতে থাকে প্রকাশ্যে ও গোপনে। এরপর হতেই শুরু হয় ইহুদীদের গোপন মিশন, এই মিশন অনুযায়ি তারা মুসলিমদের মাঝে মুসলিম সেজে এবং মুসলিমদের মাঝে যারা আরও বিশ্বাসঘাতক রয়েছে তাদের সংগে গোপনে হাত মিলিয়ে মুসলিমদের ঐক্যে ফাটল সৃষ্টিসহ কিভাবে মুসলিমদের নিজেদের মাঝেই যুদ্ধ-বিগ্রহ লাগিয়ে দিয়ে ধ্বংস করা যায় সর্বদাই সে চেষ্টা করত কিন্তু তাদের এত চক্রান্তের পরও নবী সাঃ জীবিত অবস্থাতেই পুরো আরব বিশ্বে ইসলাম কায়েম করেন এবং এরপর আবু বকর রাঃ এবং পরে উমর রাঃ খলিফা হয়ে অর্ধেক বিশ্বে ইসলাম কায়েম করে ফেলেন। এতে ইহুদীরা আরও রেগে যায় এবং এরপর হতে তারা বেশিরভাগ চক্রান্তই করত মুসলিমদের খলিফা ও খিলাফতকে ঘিরে আর বিশেষ করে মুসলিমদের মাঝে বিভিন্ন মতবাদ, মাজহাব ও ধর্মগ্রন্থ নিয়ে ফিতনা সৃষ্টি করাও তাদের মুল উদ্দেশ্য ছিল। তাই তারা আপদত বিশ্বের কোন দেশে তাদের পরিচালিত ধোকাবাজ সরকার গঠনের বদলে মুসলিমদের সরকার ব্যাবস্থাকে আগে ধ্বংসের পরিকল্পনা গ্রহন করে এজন্য খলিফাদের মাঝে বিভিন্ন ফিতনা লাগানো সহ তারা চেষ্টা করত স্বয়ং মুসলিমদের খলিফাকেও তাদের এজেন্ট বানানোর কিন্তু ১ম ৫ জন খলিফার মাঝে ১ম দুই জনের ক্ষেত্রে পরিপূর্ন ব্যার্থ হয় এমনকি পরবর্তী ৩ জনের মাঝে খলিফা হত্যার মত কাজ সম্পন্ন করাসহ অনেক ফিতনা লাগাতে সমর্থ হলেও খলিফাদের নিজেদের এজেন্ট কিছুতেই তারা বানাতে পারেনি কিন্তু উমাইয়াদের শাষন আমলে অনেককেই তারা এজেন্ট বানিয়ে ফেলে এমনকি পরবর্তীতে আব্বাসী ও উসমানীয়দের শেষের দিককার খলিফাকে তারা ঠিকই নিজেরদের পরিপূর্ন এজেন্ট বানায়। এই ধরনের এজেন্ট সৃষ্টি করতে গিয়ে তারা তাদেরই মাঝের সুন্দরী ইহুদী মেয়েকে সতীসাদ্ধী মুসলিম সাজিয়ে খলিফাদের সাথে বিয়ে দিত, পরবর্তীতে ঐ ইহুদী মহিলা তার গর্ভের ছেলেকে নিজেদের প্লান অনুযায়ি যোগ্য করে তুলে খলিফাকে অনেক বুঝিয়ে সেই সন্তানকেই পরবর্তীতে মুসলিমদের খলিফা বানাত, ইতিহাসে এই ধরনের মুসলিম নামধারী কিন্তু তলে তলে ইহুদীদের বংশ এবং এজেন্টরুপি খলিফারাই মুসলিম বিশ্বের অনেক ক্ষতি করে এসেছে কিন্তু পরবর্তীতে আবার ভাল কোন খলিফার মাধ্যমে সেই ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়েও এসেছে কিন্তু যুগ যুগ ধরে মুসলিমদের ধর্মীয় শিক্ষার মাঝে বিকৃতি ঘটিয়ে মুসলিমদের ঈমান দূর্বল করে সর্বশেষ উসমানীয় খলিফা ইহুদীদের খাঁছ এজেন্ট মুস্তাফা কামাল আতা তুর্কের মাধ্যমে ইসলামী খিলাফত ব্যবস্থা চিরতরে ধ্বংস করে দেয় এমনকি এই ফরয খিলাফত ব্যাবস্থা যাতে মুসলিমরা আর ফিরিয়ে না আনতে পারে তার জন্য আরও অনেক প্লান করতে থাকে এবিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে এই লিংকে যান Click This Link
যখনই ইহুদীরা ইসলামী খিলাফত বা ইসলামী রাষ্ট্রীয় ব্যাবস্থা চিরতরে ধ্বংস করে ফেলে তখনই তারা সারা বিশ্বে তাদের সেই অতীতের প্লানের মত ধোকাবাজী পুতুল সরকার গঠন করে এবং বিশ্বের সকল দেশকে তাদের আন্ডারে আনতে জাতিসংঘের উদ্ভব করে ২য় বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে, অথচ এরপূর্বে তাদের প্রধান ক্ষমতা শুধুমাত্র বৃটিশ, ফ্রান্স, আমেরিকা আর সোভিয়েত ইউনিয়নের মাধ্যমেই দেখাতে পারত কিন্তু এখন ২য় শ্রেনীর ইহুদীরাই পেছন থেকে সারাবিশ্ব শাষন করছে বেশিরভাগ খ্রিষ্টানদের ঘাড়ের উপর চেপে বসে। এই ২য় শ্রেনীর ইহুদীরা মধ্যযুগেরও পূর্ব হতে ফ্রি মেসনের মত গুপ্ত সংঘটনের মাধ্যমে শাষনকার্যসহ বিভিন্ন প্লান বাস্তবায়ন করত কিন্তু এখন তারা ঐরকম অসংখ্য গুপ্ত সংঘটন তৈরী করে সারা বিশ্ব নিয়ন্ত্রন করে, এইসব সংঘটনের বেশিরভাগ নাম ও কার্যক্রমও আপাত দৃষ্টিতে ভাল মনে হয় কিন্তু তলে তলে আসলে এগুলো সবগুলোই শয়তানী সংঘটন যা খুব উপর লেভেলে না গেলে বুঝা যায় না যেমন- ইলুমিনীতি একটি গুপ্ত সংঘটন যার অর্থ খুবই ভাল ইলুমিনেট “আলোকিত করা” কিন্তু আসলে এই সংঘটনের উপরে শ্রেনীরা সকলেই শয়তানের পুজো করে থাকে। যাইহোক জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করার পর হতে আজ পর্যন্ত তারা বিভিন্ন গুপ্ত সংঘটনের মাধ্যমে সারা বিশ্বকে দু-হাতে নাচিয়ে যাচ্ছে, যেখানে যা খুশি তারা তাই করে যাচ্ছে ।
এখন দেখতে হবে সারাবিশ্ব ২য় শ্রেনীর ইহুদীরা পেছন থেকে নিয়ন্ত্রন করায় বিশ্বে আজ কি পরিস্থিতি বিরাজ করছে? ১মত দেখা যায় এরা বিশ্বের মানুষসহ , পশু-পাখি, জলজ প্রানী, উদ্ভিদ , জল- বায়ুসহ সমস্ত প্রাকৃতিক জিনিসগুলোও নিয়ন্ত্রন করা শুরু করেছে ফলে পৃথিবী আজ বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে ফলে মানুষের পাশাপাশি অন্যদের মাঝেও চরম বিশৃংখলা বিরাজ করছে। তারা বিশ্বের প্রায় সকল মানুষকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে নিজেদের দাসে রুপান্তরিত করেছে আর অল্পসংখ্যক তাদের যারা এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে তাদেরকে বিত্তশালী বানিয়ে সীমাহীন ভোগ-বিলাসে মত্ত রাখছে আর তাদের দেখে নিচু শ্রেনীরাও তাদের মতই হতে চেষ্টা করতে গিয়ে বাধ্য হয়ে আরও দাসে পরিনত হচ্ছে, সারাবিশ্বের সকল সেনাবাহিনীকে তারা এক ফরমেটে এনে নিজেদের রক্ষাকারী দাস বানিয়ে রেখেছে এমনকি সকল আর্মির একই ড্রেসকোড রেখেছে, এখন তারা ইচ্ছে করলেই যেকোন দেশের প্রয়োজনে সকল সেনাবাহিনীই জাতিসংঘের শান্তিমিশনের নামে তাদের গোলামী করতে গিয়ে জীবন দিতে বাধ্য। নারী ও পুরূষকে পরস্পরের সহযোগীর পরিবর্তে প্রতিযোগী বানিয়েছে ফলে ব্যাক্তিকেন্দ্রীক পরিবারেও শান্তির পরিবর্তে এমন কলহ বিরাজ করে যে সেখান থেকে সন্তানগুলো বড় হয় চরম অনাদরে আর পরবর্তিতে এরাই আবার সমাজে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের জন্য দায়ী, নারীদেরকে শিক্ষা এবং মিডিয়ার মাধ্যমে ব্রেইন ওয়াশ করে ঘরের বাইরে এনে এমনি সস্তা পণ্য করে তুলেছে যে এখন বেশিরভাগ পুরুষই আর নারীদেরকে অতীতের মত ফুলটাইম জীবনসংগী হিসেবে চায় না শুধুমাত্র কন্টাক্ট মেরিজের মত পার্ট টাইম সংগী হিসেবে চায় আর সবচেয়ে বেশি চায় শুধুমাত্র যৌন সংগী হিসেবে, ফ্রি-কালচার সর্বত্র এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে যে এখন আর ফ্রী-যৌন কর্মের মাঝেও পূর্বের ন্যায় কেউ স্বাদ পায় না কারন এইডস সহ বিভিন্ন মরনঘাতি যৌন রোগ এমনভাবে ছরিয়ে পরেছে যে স্বয়ং স্বামী-স্ত্রীর মাঝেও প্রটেকশন ব্যাবহারে বাধ্য হয়ে সত্যিকারের যৌনসুখ হতে বঞ্চিত হতে হয়, তার উপর মিথ্যে ধনী হবার লোভে বা গরীব হবার ভয়ে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যাবহার করেও স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবনকে ব্যাহত করেছে। নারীদেরকে পুরুষের প্রতি অনাস্থা জাগিয়ে তুলে তাদেরকে নিজ পায়ে দাঁড় করানোর নামে অল্প পারিশ্রমিকে চাকরী দিয়ে নিজেদের দাসী বানিয়ে নিজেদের সার্থসিদ্ধির পাশাপাশি পারিবারিক ভারসাম্য নষ্ট করেছে ফলে মানুষের মৌলিক চাহিদা নারী-পুরুষের ভালবাসা বিনষ্ট হয়েছে আর এসব কারনেই মানুষগুলো স্বাভাবিক ভালবাসার ক্ষতিপূরন করতে গিয়ে মাদক-নারী ইত্যাদির মত অসমাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে তাদেরই আরেক ফাঁদে পা দিতে বাধ্য হয়। সবচেয়ে বড় কথা হল এতকিছুর পরও মানুষ আর ইচ্ছে করলেও স্বাভাবিক ভাবে সত্যিকারের স্বাধীনতার সাথে বাঁচতে পারবে না কারণ তারা মানুষের মৌলিক চাহিদা খাদ্য এবং পানি গুলো এমন ভাবে বিষাক্ত করে ফেলেছে তাদের বানিজ্যিক লাভের জন্য যে বায়ুর পাশাপাশি বর্তমানে সূমদ্রের পানি পর্যন্ত বিষাক্ত হয়ে গেছে এতকিছুর পরও তাদের বিশেষ প্লান- এজেন্ডা-২১ বা ৩০ এর জন্য প্রতিটা মানুষই আজ তাদের পরিপূর্ন কন্ট্রোলে থাকতে বাধ্য, তারা ইচ্ছে করলেই যে কাউকেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মেরে ফেলতে পারে দূর থেকে এজন্য প্রতিটা মানুষকে স্বইচ্ছায় ভ্যাক্সিন এর মাধ্যমে মাইক্রোচীপ নেয়ার জন্য করোনার মত মহামারীর নাটক করতে হয়েছিল, এই ভ্যাক্সিন নেয়ার পর মানুষ আর চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রেও স্বাধীন থাকবে না, তাছারা অহেতুক জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের উদ্দেশ্যে বয়স্ক লোকদের মেরে ফেলার মত ঘৃণ্য চক্রান্ত তো আছেই, এরা তাদের কাছে পৃথিবীর বোঝা হলেও এরাই কিন্তু আমাদেরকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছে এবং মায়া-মমতা দিয়ে বড় করে তুলেছে সেই বাবা-মা সহ দাদা-দাদী, নানা-নানীদের অকারনে হত্যা কোন সুস্থ মানুষ মেনে নিতে পারে না। এইরকম ভাবে ইহুদীদের প্লান এজেন্ডা-২১ সহ আরও অনেক প্লানই করা আছে যা সাধারন মানুষের অজানা এগুলো নিচে আরও ভালভাবে দলীলসহকারে বিস্তারিত জানিয়ে দেয়া হবে এখন শুধু এইটুকু বলা হচ্ছে যে এই ইহুদারা পৃথিবীতে এমনই অন্যায় অবিচার আর ফিতনায় ভরে তুলবে যে শুধু মানুষ নয় স্বয়ং প্রকৃতিও তাদের বিনাশ চাইবে যেমন- মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থে ভবিষ্যৎ বানী করা আছে যে শেষ পর্যন্ত গাছ এমনকি পাথর পর্যন্ত পলাতক ইহুদীদেরকে ধরিয়ে দিবে হত্যা করার জন্য। শুধু তাই না এই ২য় শ্রেনীর ইহুদীরা বেশিরভাগই নাস্তিক হওয়ায় তারা সকল ধর্মকে ২০৩০ হতে ২০৫০ সালের মধ্যে দুনিয়া হতে চিরতরে মুছে দিতে অসংখ্য প্লান বাস্তবায়ন করেছে যেমন- তারা মুখে মুখে অসাম্প্রদায়িকতার বুলি তুলে ভিতরে ভিতরে এক ধর্মের সাথে অন্য ধর্মের যুদ্ধ লাগিয়ে নিজেরা নিজেরাই যাতে ধ্বংস হয় সেই ফাঁদ পেতে রেখেছে এক্ষেত্রে তারা মুসলিমদের প্রধান টার্গেট করেছে এবং ১মেই অন্য সকল ধর্মকে দিয়ে ইসলাম বিনাশ করবে এরপর অন্য ধর্মগুলোর মাঝেও নিজেদের মাঝে যুদ্ধ বাধিয়ে বিনাশ করবে যাতে অন্যসকলেই ভাবতে বাধ্য হয় যে ধর্ম মানেই অশান্তি-যুদ্ধ বিগ্রহ, তারচাইতে অধর্মই ভাল। শুধু তাই না প্রতিটা ধর্মের মাঝেও প্রধান দুটি ভাগে বিভক্ত করে পরস্পর যুদ্ধাবস্থায় রেখেছে যাতে তারা নিজেরা নিজেরাই ১মে যুদ্ধ করে দূর্বল হয়ে যায় উদাহরণস্বরুপ- তুরস্ক, আফগানিস্তান, সৌদী আরবে সুন্নীদের যুদ্ধে সাহায্য করছে আমেরিকা- ন্যাটো ও ইউরোপের মাধ্যমে আবার ইরান, সিরিয়া ও ইয়েমেনে শীয়াদের যুদ্ধে সাহায্য করছে রাশিয়া- চীন ও উত্তর কোরিয়ার মাধ্যমে। এভাবেই তারা সকল ধর্মকে বিনাশ করতে ১মেই ইসলাম ধর্মকে টার্গেট করেছে কেননা ইসলাম ধর্মেই তাদের এসব কর্মকান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত বলা আছে। তাই ১মে ইসলাম এবং পরে সকল ধর্মকে সমূলে উৎখাত করা হলে এই পৃথিবীতে মানবতা বলতে আর কিছু থাকবে কিনা তা খুব সহযেই বুদ্ধিমান শ্রেনীরা বুঝতে সক্ষম হবেন কেননা যাদের অন্তরে ঈশ্বর ভীতি নেই তারা কোন রিস্ক না থাকলে একান্ত গোপনে ঠিকই অমানবিক কোন খারাপ কর্মে লিপ্ত হবে ফলে ধীরে ধীরে সেই সমাজ ধ্বংসের দিকে যেতে বাধ্য। তাই নূন্যত্তম যাদের মনে ধর্মের ভয় আছে বা সত্যিকারের মানবতাবোধ রয়েছে তাদেরকে অবশ্যই নিজের জীবন দিয়ে হলেও ইহুদীদের সৃষ্ট এই ফেরাউনী পিরামিড সিস্টেমের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে এখন থেকেই তাছারা আর কোন বিকল্প পথ নেই, এতে জীবন চলে গেলেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভাল একটা পৃথিবী উপহার দেয়ার সম্ভাবনার পাশাপাশি বিশ্বাসীদের পরকালে উত্তম প্রতিদান মিলবেই। এখন দেখতে হবে এই ২য় শ্রেনীর ধোকাবাজ ইহুদী জাতির পাশাপাশি বাংগালী জাতিও কিভাবে হুমকির মাঝে রয়েছে? ১ম দিকে ইহুদীরা বৃটিশদের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য সহ খিলাফতের আন্ডারে থাকা মুসলিমদের পুরোপুরি পরাজিত করতে পারেনি কারন বেশ কয়েকবার পরাজিত হলেও পরবর্তীতে তারা আবারও জয়ী হয়েছে কিন্তু বাংগালী এমনি অভিশপ্ত জাতি যে বৃটিশরা সর্বপ্রথম পলাশীর যুদ্ধে নবাবকে হারানোর পর হতেই পুরো ইন্ডিয়ার পরাজয়ের সূচনা হয় এরপর থেকেই এসব দেশের সম্পদ ও জনবলের মাধ্যমে বৃটিশরা এত বেশি সম্পদশালী ও শক্তিধর হয়ে উঠে যে তারা সারা বিশ্ব হাতের মুঠোয় নিয়ে নেয়, এর মূলেও কিন্তু ছিল ১ম দিকে বাংগালী জাতির চরম শঠতা এবং নিমক হারামী স্বভাব। বর্তমানেও যারা কিনা এসব সত্য উপেক্ষা করে উল্টো আরও দেশের পুতুল সরকারের তাবেদারী করবে তারাও কিন্তু অতীতের মীরজাফরেরই বংশধর মোটকথা বর্তমানে সেই ধোকাবাজ ইহুদী জাতি হল বিশ্ব সরকার আর তাবেদার বাংগালীরা হল তাদের নিচুস্তরের রক্ষক সুতারাং এদের উভয়ের সাথেই যুদ্ধ করতে হবে নয়ত “বাঁচাও দেশ বাঁচাও বিশ্ব মানবতা… মুছে যাক সকল প্রকার সাম্প্রদায়িকতার বন্ধন” এটি শুধু মুখের বুলি হয়েই পরে থাকবে ।
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫