---/// ১ম ভাগ ---
একদিন এক নাস্তিক(ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না এমন) যুবক এক বৃদ্ধ ধার্মিক আস্তিকের(ঈশ্বরে বিশ্বাস করে) নিকট গেল এবং তাকে ঐ যুবক কয়েকটি প্রশ্ন করল। ১ম প্রশ্ন করল- ঈশ্বর যদি সত্যি থাকে তবে আমাকে স্বচোক্ষে দেখান, ২য়টি হল আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি না ভাগ্য আসলে কি ধরনের জিনিস খায় না মাথায় দেয় এটা আমাকে বুঝান দয়া করে , ৩য়ত জিনরা যদি আগুনের তৈরী হয় তবে ঈশ্বর খারাপ জিনদের সেই আগুন দিয়েই কিভাবে নরকের মধ্যে শাস্তি দিবেন আমার বুঝে আসে না। দয়া করে এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর আমাকে ভালভাবে বুঝিয়ে দিন।
বৃদ্ধ ধার্মিক ব্যাক্তিটি প্রশ্ন তিনটি শোনার পর কিছুক্ষন চুপচাপ থেকে কি যেন ভাবলেন তারপর হটাত নাস্তিক যুবকটির গালে একটি কশে চর বসালেন, এতে যুবকটি হকচকিয়ে গেল এবং ভীষন অবাক দৃষ্টিতে বৃদ্ধটির দিকে তাকিয়ে থাকল তখন আস্তিক বৃদ্ধটি বলল- চর মারাতে তুমি হয়ত বেশ অবাক হয়েছ, কিন্তু কি করব বল, তোমার এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর এই একটি চরের মধ্যেই লুকায়িত আছে।
নাস্তিকঃ কিভাবে?
আস্তিক বৃদ্ধঃ তার আগে বল, আমি যে তোমাকে চর মারলাম এতে কি তুমি ব্যাথা পেয়েছ?
নাস্তিকঃ হ্যা পেয়েছি ।
আস্তিক বৃদ্ধঃ তুমি যে ব্যাথা পেয়েছ, এই ব্যাথা আমাকে একটু দেখাও তো?
নাস্তিকঃ কি বলেন , ব্যাথা কি কখনো দেখানো যায়?
আস্তিক বৃদ্ধঃ যেহেতু ব্যাথা কখনো দেখানো যায় না তাই অবশ্যই ব্যাথা বলতে কোনকিছুই থাকতে পারে না ।
নাস্তিকঃ নাহ তা কি করে হয় ,ব্যাথা না দেখা গেলেও অস্তিত্ব্য অবশ্যি আছে, সেটা আমি এখনও অনুভব করছি।
আস্তিক বৃদ্ধঃ ব্যাথাকে যেমন দেখা সম্ভব না ঠিক তেমনি ঈশ্বরকেও দেখা সম্ভব না এই ইহলোকে তবে অন্তর থেকে তাঁর প্রে করার মাধ্যমে অনুভব করা যায় । তোমার ২য় প্রশ্নের উত্তরও এই ঘটনার মধ্যেই আছে ?
নাস্তিকঃ সেটা আবার কিভাবে?
আস্তিক বৃদ্ধঃ তুমি তো প্রশ্ন করার আগে কিছুতেই জানতে না যে তোমার কপালে চর খাওয়া লেখা আছে উত্তর নেবার পুর্বে, এটাই হল ভাগ্য ।শুধু তাই না তোমার ৩য় প্রশ্নের উত্তরও এই চর দেয়ার মধ্যে রয়ে গেছে?
নাস্তিকঃ ও মা তাই নাকি, বলুন দেখি কিভাবে?
আস্তিক বৃদ্ধঃ আচ্ছা বলতো তোমার গাল কিসের তৈরী ?
নাস্তিকঃ কিসের আবার রক্তের, মাংসের ও চামরার তৈরী ।
আস্তিক বৃদ্ধঃ আর আমার এই হাতটা কিসের তৈরী ?
নাস্তিকঃ একই রকম জিনিসের ।
আস্তিক বৃদ্ধঃ তাহলে একই রকম জিনিস দিয়ে তৈরী আমার হাত ও তোমার গাল । তারপরও আমার হাত দিয়ে তোমার গালে চর মারায় যদি তুমি ব্যাথা ও কষ্ট অনুভব করে থাক তবে ঈশ্বর কেন আগুনের তৈরী জিনদের আগুন দিয়েই নরকের মধ্যে শাস্তি দিতে পারবেন না ?
নাস্তিকঃ ওহ আচ্ছা, ঠিক আছে এটা বুঝলাম কিন্তু চর না মেরে এটা বুঝিয়ে বলা যেত না?
আস্তিক বৃদ্ধঃ তুমিই বলেছিলে প্রশ্ন গুলোর উত্তর ভালভাবে বুঝিয়ে দিতে, তাই ভাবলাম প্র্যাক্টিক্যালি বুঝিয়ে দেই, জানিনা বুঝাতে পেরেছি কিনা তবে চর মারাতে তুমি কষ্ট পেয়েছ বলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী ।
এরপর যুবকটি সেখান থেকে প্রস্থান করল। সেখানে আরও দুজন লোক পার্শ্বেই বসা ছিল তারা ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ করেছিল, তারা নিজেদের মধ্যে বৃদ্ধ ধার্মিক এর ব্যাপারে বলাবলি করতে লাগল- কি সাংঘাতিক জ্ঞানী লোক রে বাবা ! তিন প্রশ্নের জবাব দিলেন এক থাপ্পরে ???
এদিকে ঐ যুবকটি হেটে হেটে যাচ্ছিল আর মনে মনে ভাবছিল- এই বুইরা ব্যাডার কাচে আর জীবনেও প্রশ্ন নিয়া আসা যাইব না , হালার বুইরা উত্তর তো দিবই লগে মাইরডাও আমার ফ্রি খাওন লাগবো আবার শেষে কইব আমি ক্ষমাপ্রার্থী ।
বিঃদ্রঃ চরের মইধ্যেও ভাইটামিন আছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫৬