(নিচের সতর্কীকরণ লেখাটি একটি অনলাইন সংকলন যা ২০১৭ সালের জন্য প্রযোজ্য ছিল আল্লাহ চাইলে এখনও উপাদেয় হতে পারে শুধুমাত্র বুঝার জন্য হলেও)
অচিরেই ফেসবুক/ অনলাইন ইসলামিষ্টরা বড় ধরনের বিপদে পরতে যাচ্ছে । এ বিপদ প্রাথমিক পর্যায়ে ফেসবুক/ অনলাইন ইসলামিষ্টদের জন্য জেল জরিমানা পর্যায়ে থাকলেও পরে মৃতু পর্যন্ত গড়াবে । তাই এখনও সময় থাকতে আসুন এমন পদ্ধতি অবলম্বন করি যাতে সাপও মরে লাঠিও ভাংগে না।
প্রথমেই বলি ফেসবুক ইসলামিষ্টদের ব্যাপারে, সাধারনত প্রায় সব ফেসবুক ইসলামিষ্টরাই ফেসবুকের মত আন্তর্জাতিক যোগাযোগ মাধ্যম পেয়ে অনেক খুশিতে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছেন এই আশায় যে এর মাধ্যমে একইসাথে অনেক মানুষকে সুপথে আনা যায়, এভাবে অনেকে অনলাইন ইসলামিক সেলিব্রেটিতেও পরিনিত হয়েছে, অনেকের আবার আত্ব্যবিশ্বাস আরো বাড়ছে এই ভেবে যে অন্যদের দাওয়াতী বানী শুনাতে গিয়ে অন্যরা না বুঝলেও নিজের ঈমান ঠিকই বৃদ্ধি হচ্ছে । এসব কাজ ভালই, এমনকি মুসলিমদের অন্যত্তম দায়িত্ব । কিন্তু কাজ ভাল হলেও সবাই এক ধরনের পাতানো ফাঁদে পা দিচ্ছে্ন না জেনেই । তাই আসুন ১মে ফাঁদ গুলো জেনে নেই পরে ইনশাহ আল্লাহ ফাঁদ থেকে বেরোনোর পথ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ফাঁদ সমূহ
১) ফেসবুক বা অনলাইনে বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্লগে ইচ্ছে করলেই যে কেউ ই সম্পূর্ন বিনামূল্যে সদস্য হতে পারে । ফলে বিশ্বের মুটামুটি সাক্ষ্বরজ্ঞান সম্পন্ন প্রায় সবাই এসব ফ্রি ওয়েব সাইটে সদস্য হবে । আর এসব যোগাযোগ মধ্যমগুলোতে মানুষ ঢুকে নিজেরা দুই ভাগে বিভক্ত হবে – ১ম ভাগ নারী-পুরূষে অবাধ মেলামেশাসহ বিভিন্ন অর্থ,যশ,খ্যাতি ইত্যাদি ব্যাপারে গা ভাসাবে, হোক তা বৈধ বা অবৈধ পন্থায়, সাধারণত এদের সংখ্যাই বেশী তাই এদেরকে বিশেষ নজরদারী করার দরকার নেই কারন এসবের মুল হোতারা এমন জনগোষ্টীই প্রত্যাশা করে কিন্তু আরেকটি ভাগ থাকবে যারা এসবের বিরুদ্ধে বলবে বা ধার্মীক গোষ্টী, এদের মাঝে আবার ইসলামিষ্টরাই থাকে ১ম সারিতে যেহেতু এদের সংখ্যা কম তাই এদেরকে খুব সহজেই নজরদারী করা হয় ।
২) এসব অনলাইনভিত্তিক উন্মুক্ত আলোচনা করার জন্য যেসব সামাজিক অয়েব সাইট তৈরী করা হয়েছে এসবের পেছনে গুরুতর কিছু কারন লুকিয়ে রয়েছে যা সর্বসাধারনের একেবারেই অজানা। ফেসবুক টাইপ এসব অয়েব তৈরী করার মূল কারণগুলোর মাঝে একটি বড় কারন হল- বিশ্বের প্রতিটা মানুষেরই ধ্যান ধারনা, মন-মানষিকতা, ভবিষ্যত পরিকল্পনা এসব খুবই পুংক্ষানুপুংক্ষভাবে পর্যবেক্ষন করা। আর এই পর্যবেক্ষন একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে চলবে(ব্যাক্তির চিন্তা-পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে পর্যবেক্ষনের সময় কম বেশি হতে পারে) ব্যাক্তির উপর নির্ভর করে পর্যবেক্ষন এর মাধ্যমে উপসংহারে পৌছানোর পর আপনি তাদের টার্গেটে তখনই পরবেন যখন তারা আপনাকে আসন্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড সেকুলার সিস্টেমের জন্য হুমকি মনে করবে । আর তাদের তথাকথিত বিশ্ব শান্তির হুমকি হিসেবে আপনাকে বিবেচনা করতে বেশ কিছুদিন সময় নিবে কারন মানুষই এমকমাত্র এমন প্রানী যে তার সিদ্ধান্ত বা মতবাদ কিছুদিন পর পর পাল্টাবে আর এজন্যই ফেসবুকের মত অয়েব সাইটের মাধ্যমে বিশ্বের মানুষের ব্যাক্তিগত প্রোফাইল তৈরী করে অনেকদিন যাবত পর্যবেক্ষন করা হয় যে বাক্তিটি আসলে ফাইন্যালী কি মতাদর্শে পৌছায় ? সাধারনত বেশী ধার্মীক হয়ে গেলে কেউ আর পরে অধার্মীক হয় না সুতারাং কোন ব্যাক্তি সেধরনের ধার্মীকতায় পৌছানোর পর পরই সে হয় ব্লাক লিষ্টেট ।
আর একবার আপনি ব্লাক লিষ্টে পরে গেলে আর রেহাই নেই, তবে ব্লাক লিষ্টেট হওয়ার সাথেই সাথেই যে আপনি জেল জরিমানা বা হত্যার চক্করে পরবেন তা কিন্তু নয় বরং প্রথমে আপনার পরিবেশ পরিস্থিতি এমন ভাবে খারাপ করে দেয়া হবে যে আপনি না বুঝলে দেখবেন যে কোনভাবেই আপনি খুব বেশী সফলতার মুখ দেখছেন না এমনকি বড় বড় সংক্রামক রোগও শুরু হতে পারে, মানষিকভাবেও অস্থির বা অতিরাগী হয়ে উঠতে পারেন এমনকি নামাজ এবং কুরান এর আয়াত তেলায়ত বা ধর্ম কর্মের উপর বিতৃষ্ণা আসতে পারে পক্ষান্তরে পাপকাজে মন বেশী উতসাহিত হতে পারে বিশেষ করে যৌন-মাদকাসক্তি এমনকি শক্তিহীন মাত্রারিক্ত আলসেমী বা তন্দ্রাকাতর এমনভাবে লাগবে যাতে কিছুতেই আপনি শরীর চর্চা করে স্বাভাবিক শক্তিশালী না থাকতে পারেন এছারাও চরম পর্যায়ে গেলে আপনি আশেপাশে বিভিন্ন সুর সার আওয়াজ এমনভাবে শুনতে পারেন যেন মনে হবে আপনাকে নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন পর নিন্দা বা সন্দেহাতিক খারাপ আলোচনা করছে আর অবশ্যই আপনি আপনার একান্ত আপনজনের কাছেও হয়ে উঠতে পারেন চরম বিরক্তিকর ব্যাক্তি। তবে ভুলেও কখনও এক লাইন বেশী বুঝে মানষিক রোগীর ডাক্তারের কাছে যাবেন না।
তবে যাই হোক ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা যদি আপনি প্রাথমিকভাবে লক্ষ্য করেন তবে বুঝবেন আপনি তাদের সেই টার্গেটে পরে গেছেন আর এই টার্গেটে পরে গেলে আল্লাহ ছারা আর কেউ-ই আপনাকে বাচাতে পারবে না। এসব সমস্যা অল্প কিছুদিন চলার পরে আপনাকে যদি জেল-জরিমানার আওয়াতায় না আনা হয় তবে অবশ্যই আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনাকে যেকোনভাবে হোক হত্যা করা হবে তা যেকোন রোগের মাধ্যমে বা হার্ট এট্যাকের মাধ্যমে বা কিলিং বাই স্যাটালাইট হতে পারেন । বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে যেতে পারেন।
http://www.surveillanceissues.com/
আর আপনি যদি কোন ইসলামিক দলের সদস্য হোন আর সেই সদস্যের মতই জীবন অতিবাহিত করেন তবে জেনে রাখুন আপনার দলের সাথে বা আপনাদের মত দলের সাথে বিশ্বের অন্যান্ন জায়গায় যে ব্যাবহার করা হচ্ছে কিছুদিনের মধ্যে আপনার সাথেও একি ব্যাবহার করা হবে।
৩) উপরে উল্লেখিত ব্যাপার আপনি যদি ভালভাবে বুঝতে সক্ষম না হন তবে সর্বশেষ নিম্নে উল্লেখিত পরীক্ষনের মাধ্যমে ভালভাবে যাচাই করতে পারবেন যে আসলেই আপনি ব্লাক লিস্টেট কিনা। এজন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হল, এই লেখাটি পড়ার পর পরই আপনি অন্তর থেকে এসব ব্যাপার বিশ্বাস করে ফেলুন এবং খুব তারাতারিই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলুন যে এখন থেকে আর অনলাইনে দাওয়াতই প্রধান মাধ্যম ভাবব না বরং কাল থেকেই বিভিন্নভাবে মানুষদের মাঝে ব্যাপকভাবে গনসংযোগ ঘটাব এবং মনে মনে দৃঢ় কল্পনা করে ফেলুন যে আমিই যেন ইসলামিক রাষ্ট্র কায়েম এর ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারি । যত তারাতারি সম্ভব উক্ত ধারনা মনে পোষন করে প্রথমে আপনি আপনার বিভিন্ন বন্ধু বা প্রিয়ভাজনদের সবার কাছে গিয়ে বলুন অমুক দিন একটা জমজমাট পার্টির ব্যাবস্থা করা হয়েছে সবাইকে পার্টির দাওয়াত দিন আর বলবেন সবাইকে পার্টি শুরু হবে সকাল থেকেই কিন্তু পার্টির শুরু করতে করতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল পর্যন্ত নিবেন যদিও খাবার দাবারের পর্ব দুপুরেই শেষ করে দিবেন আর পার্টিতে আলোচনা করার চেষ্টা করবেন ইসলামিক বিষয় অথবা অন্য যেকোন বিষয়ও হতে পারে মোট কথা আপনাকে এমনভাবে আচরন করতে হবে যেন আপনি বিশাল কিছু করতে যাচ্ছেন আর এর মাঝে আপনি বিভিন্ন সরকার বিরোধী ইসলামিক দল(জংগী দল ব্যাতীত যারা ইসলামিক রাষ্ট্র চায়) এদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন। মনে করুন পার্টি দিবেন ৩দিন পর আপনার বাসায় বা এমন একটি জায়গায় যেখান থেকে জানালা দিয়ে আপনি একই সাথে বাহিরের লোকজনের চলাফেরা লক্ষ্য করতে পারেন আবার সবার সাথে আলোচনাও চালিয়ে যেতে পারেন এজন্য উচুতল ভবনের কোন কক্ষ হলে বেশী ভাল হয়। যাইহোক পার্টি ৩দিন পর হলেও আপনার কাজ কাল থেকেই শুরু আর তা হল যখন কাউকে দাওয়াত দিতে যাবেন তখন থেকেই ৩য় চক্ষু দারা লক্ষ্য করতে থাকুন আপনাকে সিভিল ড্রেসে কেউ ফলো করছে এমন মনে হচ্ছে কিনা ? পার্টির দিন জানালা দিয়ে ৩য় চক্ষু দ্বারা লক্ষ্য করতে থাকুন আপনাদেরকে কোনভাবে ফলো করা হচ্ছে কিনা ? তবে এসব কাজে আপনার মূল দায়িত্ব যেহেতু গোয়েন্দাগীরি তাই পার্টির দিন সকল কাজের দায়িত্ব বিভিন্নজনের মাঝে ভাগ করে দিয়ে নিজে সম্পূর্ন ফ্রি থাকুন। আবার লক্ষ্য করুন যে এসব সিদ্ধান্ত নেবার সাথে সাথেই বা এর পূর্বেও আপনার ফোনে কেউ ফোন করে বলেছে কিনা যে- আপনার নাম কি? এটা কোন জায়গা? ইত্যাদি । যদি আপনি এসব পর্যবেক্ষন করে উপসংহার টানার সময় কোন সন্দেহ জনক কিছু ধরতে সক্ষম হন অথবা আপনি বিশ্বাস করেন যে বর্তমান যুগ দাজ্জালের যুগ এবং ইমাম মাহদী খুব শীঘ্রই আত্মপ্রকাশ করবে অথবা আপনি ইন্টারন্যাশনাল ইসলামি স্কলার যেমন- শায়খ ইমরান নজর হোসেন বা ডাঃ জাকির নায়েকের মত কারও বড় ধরনের ফ্যান হয়ে থাকেন আর ইসলামী শাষন ব্যাবস্থা ফিরে আনতে নিজেও কিছু করার ইচ্ছে মনে থেকে থাকে আর আপনি প্রায়ই মসজিদে জামাতে নামাজ পড়েন কিন্তু তাবলীগ জামাত করেন না আর অনলাইনে লেখালেখিসহ এরকম আচরন আপনি বেশ কয়েক বছর যাবতই করে আসছেন তবে জেনে রাখুন আপনি অটোমেটিক্যালী ব্লাক লিষ্টেট হয়েই আছেন তবে আপনাদের জন্য ফাঁদ থেকে বাচার কোন কৌশল কার্যকরী হবে না তবে ফিতনা বা জীবন বাঁচাতে শর্টকাট কিছু টিপস দিচ্ছি।
সবকিছুর নিয়ন্ত্রক যেহেতু আল্লাহ(সুবঃ)ই তাই একমাত্র তাঁর উপরই ভরসা রাখুন, অর্থ সহকারে ভালভাবে আইতাল কুরসি এবং সুরা কাহাফের ১ম দশ আয়াত মুখস্ত করে আমল করতে থাকুন আর সকাল সন্ধ্যায় বিপদ আপদ থেকে বাচার জন্য যেসব সুরা এবং দুয়া সহী হাদিস দ্বারা সমর্থিত সেগুলো ফরজ নামাজের পরে পড়ুন। ৫ ওয়াক্ত নামাজ কিছুতেই ত্যাগ করবেন না আর অনলাইনে লেখালেখিসহ দাওয়াতি কর্মকান্ড আরো বাড়িয়ে দিন আর প্রায়ই আল্লাহর কাছে দুয়া করুন গাজী হবার জন্য আর মনে মনে শহীদ হবার জন্য প্রস্তুতি নিন কেননা খুব শীঘ্রই বিশ্বব্যাপী ৩য় বিশ্বযুদ্ধকে এমনভাবে ছরিয়ে দেবার প্লান করা হয়েছে যে কেউ গর্তে লুকিয়েও বাঁচতে পারবে না, এমন প্লান অনেক পূর্বেই করা আছে আর বর্তমানে শুধু এর কার্যকরিতা বিশ্ববাসী দেখতে পারবে যে বিশ্বে শুধুমাত্র একমতাদর্শী লোকদের(ধর্মহীনলোক)জীবিত রাখা হবে পাশাপাশি বিশ্বের জনসংখ্যাও কমিয়ে আনা যাবে এতেকরে পৃথিবীকে আরও সুন্দর এবং বাসযোগ্য করে নতুনভাবে সাজানোও যাবে। ধার্মীকলোকদের বিনাশের যে প্লান করা হয়েছে সে অনুযায়ি দ্বিমুখী কার্যনীতি প্রনয়ন করা হচ্ছে উদাহরণস্বরুপ- পুরো বিশ্বকে এখন প্রধান দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা- গণতান্ত্রিক দেশ এবং অগণতান্ত্রিক দেশ । ১মত গণতান্ত্রিক দেশসমূহের জনগনের জন্য সীমাহীন স্বাধীনতার ব্যাবস্থা এমন ভাবে করা হচ্ছে যাতে অধার্মিক গোষ্ঠির প্রকাশ্য আমদ ফূর্তিতে কেউ বাধা দিতে না পারে আর এতে করে তাদের দেখাদেখি আধা ধার্মীক শ্রেনীরাও এসবে ১মে আকৃষ্ট ও পরে তাদেরই পক্ষ এমনভাবে অবলম্বন করবে যা পরে অবশিষ্ট ধার্মীকশ্রেনীদের বিনাশে আরও সহায়তা করবে । ২য়ত অগণতান্ত্রিকদেশ সমূহে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে, এজন্য প্রয়োজনে যুদ্ধও চাপিয়ে দেয়া হবে। আর গণতান্ত্রিক দেশসমূহের জনগোষ্টির শুধুমাত্র ধর্মীয় রসম রেওয়াজ যেমন- নামাজ-রোজা-ঈদ, পুজা-উপাসনা, ধর্মীয় কালচারে বিয়ে শাদী ইত্যাদি করার অধিকার থাকবে কিন্তু সমাজে ধর্ম মানার অধিকার থাকবে না আর অসচেতন নাগরিকদের ধোকার উপরে রাখা হবে যে – তোমাদের ধর্ম কর্মে তো আর রাষ্ট্র বাধা দিচ্ছে না । আর অগণতান্ত্রিক দেশের জনগনকে ধোকা দিয়ে বুঝানো হবে যে তোমাদের শাষকবর্গ হল বড় ধরনের স্বৈরাশাষক সুতারাং তাদের ক্ষমতা থেকে নামানো তোমাদের নাগরিক দায়িত্ব। তবে বাস্তবতায় দেখা যায় যে অগণতান্ত্রিক দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পরও শান্তি আসে নাই বরং গৃহযুদ্ধ এবং দুর্ভিক্ষ লেগেই আছে তবে যেসব দেশে পূর্ব থেকেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আছে সেসব দেশে এখনও কোন যুদ্ধ না লাগলেও পরবর্তিতে অবশ্যই লাগানো হবে এমনকি গৃহযুদ্ধ হলেও আর এসব দেশে যুদ্ধ বাধানোর পর যারা গনতান্ত্রিক দেশের নাগরিক তাদের জন্য একটা বড় ধরনের দুঃসংবাদ হল- ধার্মীক বা অধার্মীক সকলেই এই যুদ্ধের কবলে পরবে এমনকি বৃদ্ধ,নারী-শিশু কেউই রেহাই পাবে না এবং এই যুদ্ধের প্রধান উদ্দেশ্য হল ভিন্ন মতাদর্শের সবাইকে শেষ করে দেয়া আর এই উদ্দেশ্য পূর্ন না হওয়া পর্যন্ত গণতান্ত্রিক দেশসমূহে যুদ্ধ চলতেই থাকবে আর প্রয়োজনে তা বছরের পর বছরের পর্যন্ত চলতে থাকবে
সুতারাং অগণতান্ত্রিক দেশে চলবে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ আর গণতান্ত্রিক দেশে চলবে ভিন্নমতাদর্শী বিনাশের যুদ্ধ অতএব সময় থাকতে সেভাবেই প্রস্তুতি নিন। এজন্য নিচে লিংক দেয়া হল, এর মাধ্যমে বিস্তারিত আরো জানতে পারবেন গ্রুপের ১ম দিকে এনাউন্সমেন্ট এ যে ৫টি আর্টিক্যাল আছে তা পড়ে এমনকি যুদ্ধবিরোধী শান্তিকামীদের সাথেও যোগ দিতে পারবেন।
https://www.facebook.com/groups/1382919568694923/
ফাঁদ থেকে বাঁচার উপায়
১) উপরে উল্লেখিত পরীক্ষনের মাধ্যমে যদি নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনি এখনও ব্লাক লিষ্টেড নন এবং নিজে ধার্মীক শ্রেনীর হলেও অনলাইনে দাওয়াতের কাজ কিছুদিন হলে শুরু করেছেন মাত্র তবেই আল্লাহ চাইলে আপনি আপাদত ফাঁদ থেকে বাঁচতে পারবেন। এজন্য আপনাকে যা যা করতে হবে তা হল- সাধারনত দাওয়াত দেবার জন্য বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন পন্থাকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। ১ম ভাগ হল- সরাসরি মৌখিকভাবে দাওয়াত , ২য় ভাগ হল বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে দাওয়াত । সাধারনত মিডিয়ার মাঝে অনলাইনে ফেসবুক বা ব্লগের মত অয়েবসাইটের মাধ্যমে যে কেউই খুবই অল্প খরচে এবং অল্প সময় ব্যয় করে একসংগে অনেক মানুষকে দাওয়াত দিতে পারে এমনকি অন্যদেশের বা অন্য ভাষার লোকদেরও, আর তাই ইসলামিষ্টদের এই পন্থায় দাওয়াত দেয়া এক ধরনের নেশায় পরিনত হয়েছে। কিন্তু সরাসরি দাওয়াত দিলে এক সংগে বেশী মানুষকে দাওয়াত দেয়া যায় না আর হুজুর সম্প্রদায় ছারা সাধারন মানুষের কথা কেউ শুনতেও চায় না। কিন্তু মনে রাখতে হবে হেদায়েতের মালিক একমাত্র আল্লাহ সুবঃ আর অন্য কেউ মানল কি মানল না সেটার চাইতে নিজে কতটুকু মানলাম সেটার জবাবদিহীই করতে হবে পরকালে, তাই নিজেকে ব্লাক লিষ্টেড মনে না হলে অনলাইনে আর পূর্বের মতন দাওয়াত দিয়ে জেনেশুনে ব্লাক লিষ্টদের দলে না পরাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এজন্য যা যা করতে হবে তা নিচে উল্লেখ করা হল।
২) কিছুদিন পর হতেই সম্ভবত ফেসবুকের মত জনপ্রিয় যোগাযোগ সাইটগুলোতে ন্যাশনাল আইডি এবং রিয়েল ছবিসহ ভেরিফাইড আইডি গুলোই শুধু নিরাপদে চালু থাকবে আর পুরাতন আইডি হতে বা আপনার রিয়েল আইডি হতে অন্যকোন সাইট বা ব্লগে আর নিজের মাধ্যমে কোন ধর্মীয় পোষ্ট লেখা বা শেয়ার করা হতে সম্পূর্ন বিরত থাকুন এমনকি দাওয়াতের উদ্দেশ্যে অন্যকোন ফেক আইডি খোলাও ঠিক হবে না। আর এখন থেকে অন্যকে দাওয়াত দেবার চাইতে নিজেই আগে সচেতন থাকুন আর দাওয়াত দিলেও এমনভাবে দিতে হবে যেন সাপও মরে লাঠিও না ভাংগে।
উদাহরনস্বরুপ ফেসবুকের একটি আইডি হতে আপনি পূর্বে শুধু দাওয়াতী প্রচারনা চালাতেন এমন আইডি তারাতারি ডিলিট করুন আর এর পূর্বে প্রয়োজনীয় ফ্রেন্ডদের প্রোফাইল নেম, গ্রুপ, পেজগুলো লিষ্ট করে লিখে ফেলুন এবং অন্য আইডি খুলে সেখানে নতুন করে এড দিন। নতুন আইডি হতে আপনার প্রধান কাজ হবে যারা যারা নির্ভয়ে এখনও ইসলামি সচেতনতামুলক পোষ্ট দিয়ে যাচ্ছে এমন ফ্রেন্ডদের এবং এমন পেজ বা এমন গ্রুপের পোষ্টগুলো শুধু পড়া আর তা অন্যদের মাঝেও প্রচার হওয়া খুবই জরূরী মনে হলে পূর্বের মতন আর শেয়ার না করে শুধুমাত্র লাইক দিন অথবা খুবই বুদ্ধিমানের কাজ হবে যদি আপনি লাইকও না দিয়ে উলটো অনুভুতি প্রকাশ করেন যেমন- পোষ্ট পছন্দ হলেও আপনি Wow! or Angry এর যেকোন একটি দিলেন, ফলে এসব ইসলামি পোষ্টে আপনার সত্যিকারের অনুভুতিটাও গোপন থাকল পাশাপাশি শেয়ার বা লাইক না দিলেও উক্ত পোষ্টটি অন্য ফ্রেন্ডদের মাঝেও ছরিয়ে গেল। পোষ্টদাতা যদি আপনাকে মেনশন করে বলে যে এমন মনভাব কেন পোষন করলেন ? তখন কমেন্টে শুধু বলবেন -সরি ! আর কোনরকম তর্ক বা মন্তব্য কমেন্টে করবেন না। আর কেউ ইসলাম ধর্ম এর বিরুদ্ধে বা ইসলামের নামে ভুল কিছু পোষ্ট করে তবে কখনই পন্ডিত সেজে তারসাথে কমেন্টে বা মেসেজে বিতর্ক বা ভুল শুধরিয়ে দেয়ার জন্য কিছুই বলবেন না, বরং আল্লাহর উপর ছেরে দিয়ে ধৈর্য্য ধরা শিখুন।
নিজে কখনও ইসলামি বা রাজনৈতিক পোষ্ট তো দেয়া যাবেই না আবার খারাপ অশ্লীল পোষ্ট দিয়ে পাপের রাস্তাও বাড়ানো যাবে না তাই পারলে সাধারন ভাল পোষ্ট দিন কিন্তু ধর্মের গন্ধ পাওয়া যাবে না এমনভাবে বুদ্ধি খাটিয়ে লিখুন। আর ফ্রেন্ডলিষ্টে যেন শুধুই ইসলামিষ্ট ফ্রেন্ডরাই না থাকে বরং বিপরীত মতবাদেরও ফ্রেন্ডদের যুক্ত করুন তাদের পোষ্ট শেয়ার বা লাইক না করলেও মন্তব্য করে খারাপ পোষ্ট ভাইরাল হবার সুযোগ দেয়া যাবে না। ঠিক একইভাবে ইসলামিক পেজ, গ্রুপ ইত্যাদির ক্ষেত্রেও এমনভাবে ভারসম্য রক্ষা করুন যাতে অন্নান্য পেজ এবং গ্রুপে এড এবং একটিভ থাকতে পারেন। ফেক আইডির মাধ্যমেও যদি আপনি অনলাইনে দাওয়াতী প্রচারনা চালাতে যান তবুও ধরা খেতে পারেন আর ফেসবুক ছারাও অন্নান্য অয়েব সাইট বা এমনকি গুগল সার্স করার ক্ষেত্রেও উপরোক্ত পদ্ধতিতে ভারসম্য রক্ষা করুন ব্লাক লিষ্টেড হওয়া থেকে বাঁচতে । আর এভাবে অনলাইন দুনিয়ায় চলাকে ভীরু না বলে বরং কৌশল অবলম্বনকারী বলে ।
৩) বর্তমানে এই অবাধ তথ্য প্রযুক্তির যুগে এখন সবাই খুব সহযেই নিজের পছন্দমত জ্ঞান অর্জন করতে পারে ইসলাম ধর্ম তো বটেই এমনকি হিন্দু ধর্ম সম্পর্কেও অথচ সাধারন হিন্দুদের ধর্ম পড়ার কোন অধিকার ছিল না । তাই বর্তমানে আমরা এমন এক সময়ে অবস্থান করছি যে, এই সময়ে যে ব্যাক্তি যেমন সে ব্যাক্তি সেই ধরনেরই জ্ঞান সহজেই খুজে বের করে করে নিজস্ব মতাদর্শকে আরও জোড়ালভাবে নিজের মনে গেঁথে নিচ্ছে, এক্ষেত্রে অন্যমতাদর্শের কেউই কোনরুপ বাধা বা জোড় করেও কাউকেই এই ধরনের স্বাধীনতায় কোনরুপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারছে না।
তাছারা এক ধর্মের অনুসারি হবার পরও এমনকি ইসলাম প্রতিষ্ঠার মত একই উদ্দেশ্য থাকা সত্তেও পরস্পরের সাথে শত্রুতা আরো বেরেছে শুধুমাত্র নিজেদের দলভিত্তিক জ্ঞান বেশী অর্জনের কারনে। তাই বর্তমান জামানার ফেতনা হতে কিভাবে রক্ষা পেতে হবে তা নবী সাঃ বলে গেছেন যেমন- সহী হাদিসে উল্লেখ আছে যে সকল দলকে পরিত্যাগ করে প্রয়োজনে সারাজীবন এক গাছের তলায় শিকর খেয়ে থাকতে হবে নয়ত সমাজে পরিবার পরিজনের সাথে থাকলে বেশীরভাগ সময় ভিতরে অবস্থান করতে হবে খুব প্রয়োজন ছারা বাইরে যাওয়া যাবে না সমাজের চিন্তা না করে নিজের চিন্তাই আগে করতে হবে, চলন্ত ব্যাক্তির চাইতে দ্বাড়িয়ে থাকা ও বসা ব্যাক্তি, বসা ব্যাক্তির চেয়ে শুয়ে থাকা ব্যাক্তি এবং শুয়ে থাকা ব্যাক্তির চেয়ে ঘুমন্ত ব্যাক্তি সবচেয়ে কম ফিতনায় পতিত হবে, আর কুরান হাদিস নিয়ে নিজের যতটুকু জ্ঞানে ধরে তাই মানার চেষ্টা করতে হবে।
সুতারাং অনলাইনের বাইরেও যদি মানুষকে বাঁচানোর আশায় যত্র তত্র দাওয়াত দিতে যান তবুও ফিতনায় পরবেন , তবে আপনার অধিনস্ত কেউ যেমন- স্ত্রী-সন্তান বা ছোট ভাই-বোন এদেরকে বা এমন কাউকে দাওয়াত দিতে পারেন যার সম্পর্কে আপনার ধারনা যে সে অবশ্যই আপনার মতবাদ গ্রহন করবে আর গ্রহন না করলেও অন্তত্য আপনাকে বিপদে ফেলবে না। তবে প্রাপ্ত বয়স্ক এবং অন্য মতাদর্শের ইসলামিক ব্যাক্তিদের চাইতে যদি ৭ থেকে ১০-১২ বয়সের কারও সাথে যদি আপনার ভাল সম্পর্ক থাকে তাদের বুঝানো সবচেয়ে বেশী উত্তম হবে ইনশাহ আল্লাহ। আর সমাজের আবহমান ফিতনায় গাঁ না ভাসালেও সবার সাথেই মিলেমিশে থাকুন আর এমন আচরন সাধারনত করবেন না যাতে অন্যদের পিকুলিয়ার সব সন্দেহে পরতে হয়, তবে এইভাবেই ইনশাহ আল্লাহ খুব বেশীদিন চলতে হবে না তাই উপরোক্ত পন্থাগুলো হল কুরান সুন্নাহ অনুযায়ি টেম্পুরারি সলুউশন। আর আপনি যদি ব্লাক লিষ্টেড হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই আরও উত্তম অবস্থানে রয়েছেন বুঝতে হবে, এক্ষেত্রে আপনাকে আরও বেশী বেশী গনসংযোগের চেষ্টায় অনলাইনে এবং রিয়েল লাইফেও বেশী বেশী সময় দিতে হবে। সবশেষে মহান আল্লাহ সুবঃ এর প্রশংসা করে এই দুয়া করে শেষ করছি যে - তিনি যেন আমাদের সঠিক পথ প্রদর্শন করেন যে পথে নবী সাঃ এবং সাহাবী রাঃ গন ছিলেন ।
-আল্লাহুম্মা আমিন
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০০