পর্ব-১
নাস্তিকঃ-বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার ফলে ধর্মগুলি মূলত কোনঠাসা হয়ে পড়ছে।তাই বিজ্ঞান দিয়েই মুমিন-মোল্লা-হুজুরগন, আজকাল ধর্মের ব্যাখ্যা দিতে আসে !
আস্তিকঃ-ইদানিং বিজ্ঞান দিয়ে মুমিন-মোল্লা-হুজুরগন, আজকাল ধর্মের ব্যাখ্যা দিতে আসে কারন বিজ্ঞান আজকে অনেক উন্নত হওয়ায় অনেক সত্য বাহির হয়ে পড়ছে। ডারউইনবাদের মতন গাজাখুরী কাহিনী গানিতিকভাবে ভুল প্রমান হচ্ছে।তাছারা বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার ফলে মানুষ অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক যন্ত্রও আবিস্কার করেছে ফলে এসবের দ্বারা পরীক্ষনগুলো অতীতের তুলনায় আরো শুদ্ধ হচ্ছে আর তথ্যগুলোও সঠিক হচ্ছে তাই এখন ইসলাম ধর্মের সাথে সাইন্সের বিরোধ কমে আসছে এমনকি ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমানের ক্ষেত্রে হিন্দু ধর্ম পর্যন্ত বিজ্ঞানের উদাহরন টানছে এর মানে এই নয় যে বিজ্ঞানকে তারা ধর্মের চেয়ে বড় মনে করে বরং বিজ্ঞান ধীরে ধীরে উন্নতি করে এখন এমন পর্যায়ে পৌচেছে যে এখন বিজ্ঞানের উদাহরন টানা যায় বিশেষ করে যারা বিজ্ঞান বলতেই অন্ধ তাদের ক্ষেত্রে।
জৈনক নাস্তিকের প্রশ্নঃ- মানুষ গ্যাস ছারলে পাছা না ধুয়ে, হাত মুখ ধুয়ে, মানে অজু করে লাভ কি?
উত্তরঃ- মানুষ যখন গ্যাস ছারে তখন অসংখ্য খারাপ ব্যাকটেরিয়া বের হয় । পাখিরা যেমন গাছের ডালেই বসতে পছন্দ করে ঠিক একইভাবে বেশীরভাগ খারাপ ব্যাকটেরিয়া মানুষের হাত, পা, মুখ এমনকি নাকের যে লোম থাকে সেখানে বসে। ওযু করলে মানুষের এসব মৌলিক জিনিস ধোয়া হয় ফলে পবিত্র হয় ফলে রহমতের ফেরেশতাদেরও কষ্ট হয় না মুমিনের সাথে থাকতে অন্যথায় গাস ছারার সাথে সাথে তারা দূরে চলে যায়।এখন মনে হতে পারে শুধুই অযু না করে গোছল করে গুপ্তাংগ সহ পরিস্কার করলে তো আরও ভাল । হ্যা ! তাহলে গোছলের দ্বারা তা হত পরিপূর্ন পবিত্র কিন্তু অযু হল মৌলিক বা বেসিক পবিত্রতা। আর গ্যাস ছারলে শুধুমাত্র তার বেসিক পবিত্রতা অর্জন করলেই হবে আর এতেই সে সুস্থও থাকবে । আল্লাহ মানুষকে অতিরিক্ত কষ্ট করা হতে রেহাই দিয়েছেন। অর্থাৎ কেউ গ্যাস ছারলে জীবানু ঐ জায়গায় বিরাজ না করে বেশি বিরাজ করে যেসব জায়গায় সেসব অংগই ধোয়া ইসলাম শিখিয়েছে। অনেকে ভাবতে পারেন গরমকালেও বগল থেকে ঘামের দুর্গন্ধ বের হয় তবে এক্ষেত্রে যেসব ব্যাকটেরিয়া থাকে সেসব ব্যাকটেরিয়ার চেয়ে মানুষের গ্যাসের ব্যাকটেরিয়া বেশী ক্ষতিকর যদি মৌলিক অংগগুলো না ধোওয়া হয় বা অযু না করা হয়।
নাস্তিকঃ- ঈশ্বর আল্লা গড ভগবান বইলা আদৌ কিছু যে আছে, ক্যামতে বুঝলেন? থাকলে তাগো একটারেও ক্যান এতদিনে কোন মানুষের নজরে পড়লো না?
আস্তিকঃ-- চোখের নজরে না পড়লেই তার অস্তিত্ব নেই তা আপনি এই বিজ্ঞানের যুগে কিভাবে বলতে পারেন। ঈশ্বর থাকার সমস্ত প্রমান আছে কিন্তু না থাকার কোনই প্রমান আপনি দিতে পারবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২৩