পরীক্ষা শেষে হলাম তাই চার দেয়ালে রুদ্ধ।
কোচিং-বাড়ি এইতো রুটিন বাকি সব বন্ধ
চারিপাশে পাই যেন পরীক্ষা পরীক্ষা গন্ধ।
বাবার পকেট করে ফাঁকা এলাম শহর ঢাকায়
মনের মাঝে সংগোপনে একটি স্বপন আঁকাই।
‘ভর্তি হবো ভার্সিটিতে' করবো বিশ্বজয়
বীর আমি, সাহসে ভরা, মাথা নোয়ানোর নয়।
তবুও কেন বুকের মাঝে লাগে হঠাৎ ফাঁকা
কংক্রীটের এই শহরে যে আমি বড় একা।
মনে পড়ে বারবার মায়ের মধুর রান্না
কষ্টে খেয়ে উঠে পড়ি লুকিয়ে গোপন কান্না।
জ্বরের ঘোরে খুঁজে ফিরি আদরমাখা হাত
কেউ বলে না, ‘শুয়ে পড় খোকা, হয়েছে যে অনেক রাত’।
বাবার আদর, মায়ের আদর, এখন অনেক দূর
মনকে বোঝায়, আর ক’টা দিন, বাজবে খুশির সুর।
কোচিং পথে, হঠাৎ থমকে, মাঠের পাশে দাঁড়াই
মনটা আমার ফড়িং হয়ে একলা নেচে বেড়ায়।
ব্যাট হাতে বলকে আমি সীমানা করতাম পার
ওপাড়ার ছেলেদের মুখে নামত অন্ধকার।
এরই মাঝে পেলাম হঠাৎ ভর্তিযুদ্ধের গর্জন
যেভাবে হোক একটি আসন করতেই হবে অর্জন।
অযুত আসন নিযুত ছাত্র, স্বপ্ন টলমল
শত চেষ্টায়ও হারিয়ে ফেলি মনের মাঝের বল।
আজকে সিলেট, কাল খুলনা, পরশু ফেরা ঢাকা
এভাবেই যে ভর্তিযুদ্ধের সময়সূচি আঁকা।
রাতটা রাখা পথের জন্য, পরীক্ষার জন্য দিন
দুশ্চিন্তায় স্বপ্নপ্রদীপ হয়ে আসে ক্ষীণ।
আলোকের অভাবে স্বপ্ন বুঝি থাকবে আধারে ঘেরা
সোনালী স্বপ্ন পাবে না খুঁজে আপন স্বপ্নের ডেরা।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৩