সজলঃ কিরে কই তুই?
অপূর্বঃ স্টুডেন্ট পড়াচ্ছি।
সজলঃ জানিস কিছু. ??
অপুর্বঃ হ্যাঁ.. জানি।
সজলঃ শ্রাবন্তীর নাকি হলুদ সন্ধ্যা চলতেছে.!!
অপুর্বঃ হ্যাঁ ! তুই কোথায়?
সজলঃ আমি ক্যাম্পাসের পাশেই। পলাশীতে দাড়ায় আছি।
অপুর্বঃ একটা কাজ করতে পারবি..??
সজলঃ বল
অপুর্বঃ শ্রাবন্তীদের বাড়িয়ে গিয়ে দেখবি শ্রাবন্তী কি হাসিমুখে নাকি কান্না করতেছে?
সজলঃ তুই আর কত পেরা নিবি! অামি যাচ্ছি।
অপুর্বঃ সবকিছু দেখার পর অামাকে ফোন দিস।
সজলঃ ওকে দোস্ত।
:
কিছুক্ষন পরে.....
:
সজলঃ দোস্ত, শ্রাবন্তীকে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। হাতে টুকটুকে লাল মেহেদী, লাল চুড়ি আর কপালে লাল টিপ। বান্ধবীদের সাথে হাসাহাসি করতেসে।
.
অপূর্বঃ দেখেছিস! ওর হাসিটা কত্ত সুন্দর.. তাই না রে!
সজলঃ হ্যাঁ।
অপুর্বঃ দোয়া করি সারাজীবন যেন এর চাইতে অারো বেশি অানন্দে থাকতে পারে ও
সজলঃ দোস্ত তুই...!!
অপুর্বঃ দোস্ত অবাক হওয়ার কিছু নাই।
শ্রাবন্তীর সাথে শুভ্রর পরিচয় অারো অনেক অাগ থেকে। দুই পরিবারের সিদ্ধান্ত আর শ্রাবন্তীর মতামত নিয়েই বিয়েটা হচ্ছে।
.
সজলঃ তাহলে তুই? কিসের জন্য, কার জন্য এত্তো কিছু, এত্তো অায়োজন..??
অপুর্বঃ দুর পাগলা..!! রবী ঠাকুর কি বলসে মনে নাই?? - - ".. তাহাকে যেতে দাও.."
অামি যদি ওকে অাপন করে পেতামই তাহলে অামি ওকে সবসময় হাসি-খুশিতে রাখতে চেষ্টা করতাম। ভিন্নতা হলো অামার যায়গায় আজ শুভ্র। তাতে কি..! শ্রাবন্তী তো খুশি। এটাই অামার চাওয়া ছিলো।
.
সজলঃ নিজেকে সামলে নিস দোস্ত
অপূর্বঃ তুই তো শ্রাবন্তীদের ওখানে। অারেকটা কাজ করতে পারবি..??
সজলঃ হ্যাঁ পারবো। বল কি করতে হবে?
অপূর্বঃ শ্রাবন্তীর হলুদ সন্ধ্যার হাসিমাখা অনেকগুলো ছবি তুলে নিয়ে আসিস। কত্তদিন হয়ে গেলো ওর হাসিমাখা মুখটা দেখি না।
সজলঃ তুই আর বদলালি না। সেই লুনাটিক অপুর্বই থাইকা গেলি।
.
অপুর্বঃ ওকে আমার পক্ষ থেকে কংগ্রাচুলেশনস দিস। আর বলিস তারাতারি কয়েকটা ছাও ফুটাতে। ওর না টুইনসের খুব শখ।
আর সন্ধ্যায় ব্রীজের উপর আসিস। অনেকদিন দু' চারটা সিগ্রেট হয় না। আজ কেন যেনো খুব মন চাচ্ছে।
সজলঃ আচ্ছা দোস্ত। খেয়াল রাখিস নিজের।
অপুর্বঃ চিন্তা করিস না। যেটা করতে বলেছি সেটা করিস। অামি রাখছি
:
মোরাল অফ দা স্টোরিঃ ভালোবাসার মানুষকে সবসময় হাসি মুখে দেখার মধ্যে যে সুখটা অনুভব হয় সেটাই প্রকৃত সুখ। হোকনা সেটা অামি কিংবা অন্য কেউ।