একটু কেয়ার...
যে ছেলেটা বিয়ের আগে কখনও বাজার করেনি,
দামাদামী করে আনে নি কখনও কোন কিছু, সে
ছেলেটাও বিয়ের পর একটা বাজারের ব্যাগ হাতে
নিয়ে বের হয়,
পঁচা সবজি, বাসি মাছ নিয়ে
ব্যাগ ভরে যখন ছেলেটা বাসায় নিয়ে আসে,
মেয়েটা তখন এসব দেখেও
একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে, এরপর থেকে
একটু দেখে এনো, হুম?
..
ঈদের সময় কয়েক মাস টাকা জমিয়ে
নতুন একটা দামী শাড়ি কিনে এনে
ছেলেটা যখন
হাতে ধরিয়ে দেয়, মেয়েটা তখন আনন্দে চিকচিক
চোখে বলে,
তোমায় তো আমি কিছুই দিতে পারলাম না,
ছেলেটা তখন মেয়েটাকে নিজের বুকে
জড়িয়ে বলে, ভাল তো বাসতে পারবে। রেঁধে
তো খাওয়াতে পারবে আমায়।
..
ছেলেটার অসুস্থতায় অস্থির হয়ে সারারাত
জেগে থাকে মেয়েটা, মাথায় হাত
বুলিয়ে বলে, একটু ঘুমাবার চেষ্টা কর না, প্লিজ, সুস্থ
হয়ে যাও দ্রুত, এভাবে ভাল
লাগে না তো।
..
একটা নতুন সম্পর্কে বাঁধা দুটি মানুষের মাঝে
বোঝাপড়া গড়ে উঠে এভাবেই। একটা
শরীরের প্রতি অন্য একটা শরীরের
চাহিদাই শুধু বিয়ে নয়। বিয়ে নয় শুধু দুটি মানুষের
নতুন করে একটা মানুষকে জানা, নতুন
করে বুঝতে পারা,
কেউ একজন সারাজীবন থাকবে তোমার পাশে,
বাবা,মা, ভাই, বোন ছাড়াও
রক্ত সম্পর্কের কেউ না হওয়া সত্যেও সে
মানুষের সাথে একটা রক্তের
সম্পর্ক গড়ে উঠবে। সে সম্পর্কে ফুটফুটে
বাচ্চা-কাচ্চা থাকবে। আব্বু বলবে,
আম্মু বলে ডাকবে।
এই ডাক গুলো পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর ডাক, এর
চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে। এই ডাক
গুলো শোনা হল যে মানুষ টার জন্য, সে
মানুষটাকে সম্মান করতে হয়, ভালবাসতে হয়।