[লেখাটি শেষ করার পর হঠাৎ খেয়াল হলো লেখাটি বেশ বড় হয়ে গেছে,প্রায় ২ ঘন্টা লেগেছে লিখতে তাই একটাই অনুরোধ সম্পূর্ন লেখাটি পড়বেন আশা করি নতুন কিছু বিষয় জানতে পারবেন
আমরা এখানে কি করছি?আমাদের গন্তব্য কোথায়??
যেন একদিন তুমি ঘুম থেকে উঠলে,তারপরেই অনুষ্ঠানে স্বাগতম। কোন প্রশ্ন করবে না,শুধু তাল মিলিয়ে চলতে থাকো। যত পার উপার্জন কর,চেষ্টা কর যেন ফতুর না হও। টিভি অনুসরন কর,মেকআপ থেকে জামা কাপড় পর্যন্ত।
এর চেয়ে বেশি কিছু ভেবো না,যা দেখানো হয় তাই অনুসরন কর।
বিভ্রান্ত হয়ে পড়লে মদ্যপানে লেগে যাও।
এখনও মাথায় প্রশ্ন ঘুরছে?
রেডিওয়োর ভলিউমটা বাড়িয়ে দাও।ডুবে থাকো "নেশা,সেক্স,রক এ্যান্ড রোলে"।
আমি শুধু জানতে চাই,
এই চক্রাকারে ঘুরতে থাকা জীবনধারার বাইরে কি আর কিছুই নেই?
বৃদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া,একটি সুখি পরিবার রেখে যাওয়া,আর রেখে যাওয়া এক গাদা সম্পত্তি যার মালিক হবে অন্য কেউ?
কবরে যাওয়ার আগে আমি আসলেই জানতে চাই।কারন জিবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে আমি রাজি নই।রাজি নই বাজি ধরতে।
এই সামান্য কিছু প্রশ্নের উত্তর খুজে ফিরছি!!
আমরা এখানে কি করছি?আমাদের লক্ষ্য কি? আমরা এখানে আসলাম কিভাবে?কে আমাদেরকে এত নিঁখুত ভাবে তৈরি করল?মৃত্যুর পরে কি হয়? এই পৃথিবী কি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ?
এসব প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিতে চাই না কারন প্রয়োজন নেই তো উত্তর জানার।এই জিবনের তো কোনো উদ্দেশ্য নেই।আমাদের অস্তিত্ব তো শুধুই প্রাকৃতিক।
সেক্ষেত্রে আমাকে একটি প্রশ্ন করতে দাও,
তুমি কি নিজেই নিজের স্রষ্ঠা?নাকি কেউ তোমাকে তৈরি করেছে?
কারন তুমি এমন এক সৃষ্টি যা ত্রুটিমুক্ত,ক্ষমতা অসমান্তরাল,তুমি সর্বোচ্চ বুদ্ধিমত্তার অধিকারী।
আমি শুধু সাধারন যুক্তি ব্যাবহার করছি,
এমন কোন ক্যামেরা নেই যা মানুষের চোখের ধারে কাছেও আসতে পারে,না আছে এমন কম্পিউটার যা মানুষের মস্তিষ্কের সমান হতে পারবে।
পৃথিবীর সকল মানুষ মিলে একটা মাছিও তৈরি করতে পারবে না।
এত এত নিদর্শন,তবুও আমরা অস্বিকার করি।
বিঙ্গান বলতে চায়,এই সব কিছুই শূন্য থেকে এসেছে,
অথচ একটা সরল হিসাব ০+০+০≠১
তবে কোথা থেকে এই মহাবিশ্বের নিয়ম ও বৈচিত্র আসল?
সব কিছুরই মূল থাকে,আবিষ্কারক বা স্রষ্ঠা।
তুমি এই লেখাটি পড়ছো কারন কেউ একজন এই লেখাটি ব্লগে পোস্ট করেছে।
তাই আমরা বিগব্যাঙ্গ বিশ্বাস করতে পারি বা যিনি তা ঘটালেন তার উপর।
"আল্লাহ"
সবকিছু এবং সব প্রাণের (আত্না) সৃষ্টিকর্তা।
চিরন্জীব প্রভু সব কিছুর তত্ত্বাবধায়ক!
সৃষ্টির মতো নন,কল্পনার ঊর্ধ্বে।
না।
তিনি কোন মানুষ নন। তার কোন সহযোগী নেই। তিনি এক ও অবিনস্বর সত্ত্বা।
আমাদেরকে কখনোই একা ছেড়ে যাননি।
ঠিক সব প্রস্তুতকারকের মতো তিনিও আমাদেরকে গাইড বই দিয়েছেন।
কুরআন
এতে আছে স্রষ্ঠার যৌক্তিক বর্ননা,
এক ও অদ্বিতীয়,
সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী,
কাউকে জন্ম দেননি কেউ তাকে জন্ম দেয়নি।
একটি বই যার শূন্য ত্রুটি,বৈঙ্গানিক আর অলৌকিকত্ব!
আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে,
যেমন মানুষের ভ্রুনের নির্ভূল এবং পরিপূর্ন বর্ণনা।
পৃথিবীর জন্য পর্বতমালা কিলকস্বরুপ,যাতে পৃথিবী নড়ন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়,
"বিচ্ছিন্ন দুটি সমুদ্রের পানি কখনোই এক হবে না"
গ্রহগুলোর নির্দিষ্ট কক্ষপথে চলার তথ্য আর এই ঘূর্নায়মান পক্রিয়ার ফলে দিন এবং রাত হওয়া।
মহাবিশ্ব প্রস্তুতকরণের তথ্য...এবং প্রতিটি প্রাণীর উৎস পানি থেকে হওয়ার তথ্য।
অতিতের সকল শিক্ষনীয় ইতিহাস,বিশেষত ফেরাউনের লাশ রক্ষিত হওয়ার তথ্য,পৃথিবীর স্থলভাগের সর্বনিম্ন স্থানের তথ্য যেখানে পারস্য বাহিনী রোমানদের পরাজিত করেছিল।
পুরুষের বীর্য নির্গমন পথ মেরুদন্ড ও পাজরের মধ্যস্থল নির্ধারন তথ্য।
এখন পর্যন্ত একটি শব্দও পরিবর্তিত হয়নি।
উত্তর দাও কিভাবে এই সকল তথ্য জানা ছিল আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে?
এমন এক ব্যাক্তির উপর যিনি লিখতে বা পড়তে জানতেন না?
শুধু উচ্চারন করতেন যা ফেরেসতা বানী নিয়ে আসত।
যদি এখনও বিশ্বাস না হয়,
কুরআনের মতো বানী আবিষ্কার করে দেখাও।
মুহাম্মাদ (সাঃ) এর বইগুলো রুপকথার গল্প বলে নাকচ করে দেই যাতে আমরা আমাদের জিবন গড়ি লোভ,লালসা,ইচ্ছে দ্বারা?বলে বেড়াচ্ছি জিবন তো একটাই যত খুশি ফুর্তি কর।
আমরা বাচবো,মরে যাবো তারপরে মাটির সাথে মিশে যাব! তুমি খালি একবারই বাচবে।
ভুল!!!
গাছ-পালা মারা যাবার পর বৃষ্টি আসলে তা আবার জিবন ফিরে পায়!!
আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দেয় যে ঠিক একই ভাবে আমাদেরও পুনরুজ্জীবিত করবেন আঙ্গুলের ছাপ থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত অনুরুপ অবস্থায়।
যখন সর্বদ্রষ্টা শক্তিমান আমাদের এত কাছে থেকে দেখছেন তবে অবশ্যই আমাদের পরিক্ষা নেয়া হচ্ছে।
বিশ্বাস কর আমাদের পুনরুজ্জীবিত করা হবে এবং ফিরে যেতে হবে সৃষ্টিকর্তার কাছে,আমাদের প্রতিটি কাজের হিসাব নেয়া হবে।
যখন তিনি আমাদের আমলনামা দিয়ে বলবেন,"পড়,ভাল মন্দ ছোট বড় আর বাকি যা কৃতকর্ম করেছ"
তোমার হিসাব গ্রহনের জন্য তুমিই যথেষ্ঠ,এখন আমার সাথে রাগ করো না,তুমিই ভেবেছিলে আমার কাছে ফিরে আসতে হবে না,তোমাকে পুরো একটা জিবন দিয়েছিলাম আমাকে খোজার জন্য,কিন্তু তুমি ব্যাস্ত ছিলে ওসব কিছু নিয়ে যা ছিল ক্ষনিকের।
সুসংবাদ তাদের জন্য যারা বিশ্বাস করেছে আর যদি তুমি বিশ্বাস না করো তাহলে পড়।
সেই দিনটিকে তোমার প্রথম দিন হতে দিও না যেদিন জানবে জিবন অর্থ কি?
অশেষ ধন্যবাদ কষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১৬ ভোর ৫:০৬