২।
( ছবি কৃতজ্ঞতা- দৈনিক প্রথম আলো )
আপামর জনগণের ঘামে ভেজা অর্থে লালিত পালিত সেনাবাহিনী আর পুলিশের কতিপয় নরপিশাচের ক্ষমতার অপব্যবহার আর লোভের কারণে ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল শীতলক্ষার পানি লাল হয় ৭ জন জলজ্যান্ত মানুষের রক্তে। ভয়াবহতা, নৃশংসতা আর অমানবিকতার এমন দৃষ্টান্তে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিল বাংলার প্রতিটি বিবেকবান হৃদয়।৭ টি পরিবারের স্বজন হারানোর বেদনায় আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়েছিল সেদিন। স্বজনদের গগনবিদারী চিৎকারে শীতলক্ষার বুক ভেদ করে ৩০ এপ্রিল বের হয়ে আসে ৬ টি লাশ, আর পরদিন আরও একটি ।অত্যন্ত সুনিপুণভাবে সম্পন্ন করা হয়েছিল হত্যাকাণ্ডগুলো। ১ম ধাপে ৭ জনকেই বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করা হয়। এরপর পলিথিন পেচিয়ে তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। তারপর প্রতিটি লাশের সাথে ১ বস্তা করে ইট বেধে দেযা হয়। এরপর লাশের নাভী ছিদ্র করে দেয়া হয় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে। দেশ রক্ষা আর জনগনের জানমালের নিরাপত্তা যাদের হাতে তাদের দ্বারাই রচিত হলো এক ঘৃণ্য ইতিহাস।তবে আশার কথা হলো দেশ থেকে আইন আদালত আর সত্যের শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায়নি। অপরাধীরা আজ আইনের আওতায এসেছে। নারায়নগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন আজ ১৬ জানুয়ারি এই চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও মাসুদ রানাসহ ২৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয় । আমাদের প্রত্যাশা দণ্ডিতদের দণ্ড অচিরেই কার্যকর করা হবে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২২