!! হৃদপিন্ড ধার চেয়ে আবেদন !!
.
মন খারাপের সোডিয়াম তেজষ্ক্রিয়তায়
ছুটে আসছে আরও একটি রাত।
ছুটে আসছে সন্ধ্যা পরবর্তী সময়ে
মারিজুয়ানা কেন্দ্রিক বিষন্নতা।
আকাশের নিচে হেলুসিনেটিক
রেস্তোরা গুলো নিভে যাচ্ছে,
নিভে যাচ্ছে ডিজিটাল মক্তব-
দেশ উদ্ধার জাতীয় টক শো।
.
ভীত হয়ে পড়ছি নিজস্ব ছায়া দেখে
যেহেতু আমি জেনেছি
হলদে আলোর শহরে তুই নেই।
স্ব-নির্বাসনে তোর পাশ বালিশের ঘর।
যে মানুষ তোর ছায়ায় আড়াল খুজে
কাটিয়ে দেয় আন্ধকারাচ্ছন্ন ছয়টি বছর।
সে জানে আলো কতটা বিভৎষ হতে পারে।
.
ট্রফির প্রতিটি স্বর্ন কণা ঘরে তুলে,
বসন্তকালীন জুয়ায় এবারো হেরেছি।
বরাবরই হারি...
বি.বি.সি না জানুক তুই জানতি।
তোর কথা মত সাহেব সামলে টেক্কা খেলার বদলে,
এবারো বাজি ধরেছি হৃদপিন্ড।
এবারের হেরে যাওয়া বড় ভয়ানক ছিলো বিনায়ক।
তোর হৃদপিন্ডটা ধার দিবি?
.
কোমল বাসে বেগের সমানুপাতিক হারে
বেড়েই চলেছে অশ্রু-
বেদনার নিয়ম ভাঙ্গা আর্তনাদ।
অথচ এই পৃথিবীর বাতাসে
মাত্রাতিরিক্ত রুক্ষতা বুঝতে পেরে,
তোর শার্টেই প্রথম কেদেছিলাম
এবং সেটাই ছিলো শেষ।
সুতরাং একাকিত্ব নিয়ে আর ভাবছি না।
কিন্তু কি যে হয়; বিষাদের এলার্জি-
আক্রান্ত চোখ জ্বালা করে,
সবুজ টি-শার্টের একটি বৃক্ষের অভাবে।
.
কবিতার একেকটি শব্দে গলাটিপে ধরছিলাম
সাংবিধানিক সব জীবানুদের।
ইট ভাটার চিমনির মত আমার অঙ্গুল
উগড়ে দিচ্ছিলো বিদ্রোহ।
এখন রেডিওর একটি নবে
আটকে গ্যাছে আমার কবিতার কন্ঠস্বর।
যার প্রতিটি সুর আমাকে টেনেহিচড়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রচন্ড অর্থহীনতায়।
আমিও কি গাইতে চাইনি
একটি মেটালিক চিৎকার?
"রঞ্জনা আমি আর আসবনা" জাতীয় আশাবাদী প্রলাপ।
.
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি যেমন ঘৃনা করে
তাকে প্রশ্ন করা-
সে ইলিশ মাছ কিংবা ডিম ভর্তা দিয়ে খেতে চায় কিনা?
আমিও তেমনি এড়িয়ে যাচ্ছি,
তোর দ্বিধাগ্রস্থ ফুটপ্রিন্ট।
ভালোবাসা যেহেতু সব গিলে ফ্যালে
ব্ল্যাকহোলের পাশে দাঁড়িয়ে বলতে চেয়েছিলাম
চল বিনায়ক ঝাপ দেই।
.
ক্যাডমিয়াম দন্ডের অভাবে বিস্ফারিত চেরেনবিল- তুই নেই
.
আমি চলে যাচ্ছি প্রচন্ড অর্থহীনতায়- গাড়িদের গ্রাভইয়ার্ড
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১৫