বিশ্ববিদ্যলয়কে বলা হয় যে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। জ্ঞান আহরণের বিশাল এক পরিবেশ, নিজেকে তুলে ধরার এক মাধ্যম বিশ্ববিদ্যলয়। দেশ বিদেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পদচারনায় মুখরিত থাকে বিশ্ববিদ্যলয় গুলো। চিন্তার ক্ষেত্র বিশাল হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে এখান থেকেই। যে মনোভাব, মূল্যবোধ আর সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে কর্মজীবনে। যেখানে বিশ্ববিদ্যলয় গুলো কাজ করে যাচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর হিসাবে আবার তারই বিপরীতে অশিক্ষার আস্তাকুরে নিপতিত হচ্ছে একটা শ্রেণী। তারা আর দুরের কেউ নয়, আমাদের আশপাশের কিছু শিশু কিশোর। যারা আমাদেরকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাদের বয়স কোন ভাবেই ১৬ এর বেশী নয়। বাংলাদেশের ৩৭ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয়ে শিশু শ্রমের চিত্র শংকাজনক। আমার ক্যাম্পাস খুলনা বিশ্ববিদ্যলয়ের কিছু ধারনা আমি তুলে ধরছি। খুলনা বিশ্ববিদ্যলয়ের খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ হল এর ডাইনিং এ ৩ জনের বয়স ১৬ এর নীচে তারা থাকা ও খাওয়া সহ দিনে ১২০ টাকা পারিশ্রমিকে কাজ করছে। ক্যান্টিনে হাসান, আবুবকর, ওসমান ,বাবলু, আব্দুল্লাহ, মুস্তাকিন,মাঝহারুল এরা ১৪৫ টাকা আবার কেউ ১৩০ টাকা পারিশ্রমিকে থাকা ও খাওয়া সহ কাজ করছে। এদের কারো বয়স ১৬ এর বেশী নয়। এই বয়সটা তাদের স্কুলে যাওয়ার, জ্ঞান অর্জন করার। সমাজের আর দশটা মানুষের মত নিজেকে উপস্থাপন করার সময়টাকে তারা নষ্ট করছে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে শিশু শ্রমিক হিসাবে । ঠিক এমনই অথবা এর চেয়ে ভয়াবহ চিত্র পাওয়া যাবে বিশ্ববিদ্যলয়ের খান জাহান আলী হল, ক্যাফেটেরিয়া, তপনের দোকান, মিজান এর দোকান, খালার দোকান সহ ক্যাম্পাসের অন্যান্য দোকান গুলোতে। এছাড়াও খান জাহান আলী হল ও খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ হলের সম্মুখে গড়ে ওঠা খাবারের দোকান গুলোতে ও শিশু শ্রমের অভিন্ন চিত্র বিদ্যমান। বিশ্ববিদ্যলয় অবদান রাখছে দেশ গড়ার প্রতিনিধি তৈরিতে আর অন্যদিকে তারই ছায়ায় অন্ধকারে পতিত হচ্ছে শিশুরা
বিঃদ্রঃ ছায়াবৃত্ত নামক একটি সেচ্ছাসেবী সঙ্ঘঠন কাজ করে যাচ্ছে এই সব কমল মতি শিশুদের নিয়ে। সঙ্ঘঠনের সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিদিন বিকালে খেলা ধুলা,বিনোদন আর শিক্ষা দিয়ে থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৫:৫৭