চিঠিটা পড়লেই আমার কান্না আসতো। এখনো মনে পড়লে কান্না আসে, খুব খারাপ লাগে, চারদিকে অন্ধকার মনে হয়। জানিনা কি যেন মায়া আছে সেই চিঠিতে।
১)সন্তানের ভালোবাসা টাও এখন রেজাল্ট নির্ভর হয়ে গেছে, ♣♣ পিতা মাতা এখন কি বুঝে আমি জানিনা। আমি তাদের ভাবনাকে অসম্মান করছিনা। বলবোনা তারা খারাপ করছে। তবে এতো ভালোও তারা করছেনা ।
২)ভালো রেজাল্ট না করলে মান সম্মান থাকেনা। অনেক পরিবারে এমন এ প্লাস কেন পেলো? গোল্ডেন কেন পেলোনা? রোল ৩কেন? ১ কেন নয়? আর কত লিলা খেলা।।
৩)অনেক লোক আছে সন্তানকে হালের গরুর মতো মারে। ষাড় গরুকে যেমন মারে তেমন মারে। হায় মানুষ সন্তান যেন মানুষ না। নিজের সখ আহ্লাদ পুরন করার মেশিন ।
৪)অনেক পিতা মাতা মারেনা। হাত তুলবেনা, তবে তারা সেই আচরণ করে। যে আচরণ টর্চার রুমে গোয়েন্দা বাহিনী খুনীর সাথে করে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় কথা শিকার করাতে যে মানসিক অত্যাচার করে। এই পিতা মাতা তার সন্তানের সাথে এরকম আচরণ করে। পড়া লেখার জন্য ভারত বাংলাদেশ দুই দেশে অনেক ছাত্র আত্মহত্যা করে। ভারতে বা উন্নত দেশে এসব নজরে আসে। পুলিশ তদন্ত করলে পিতা মাতাকেও সন্দেহ করে। বাংলাদেশে এসব চোখে সামনে আসেনা। আড়ালে থেকে যায়। কোন লোক পিতা মাতাকে হত্যার প্ররোচনাকারী হিসেবে মেনে নিবেনা। অথচ এমটা হয়। কেউ মরার আগে চিঠিতে মিথ্যা লিখে যাবে কেন?
অরিত্রীরা বেচে গেছে, মরে গিয়ে বেচে গেছে। আমরা জেলে বন্দি।।।
আমার আগের লেখা
আজকের আধুনিক সমাজ, বাবা মা সন্তানের মানসিক ক্ষমতা দেখে না। তারা মান সম্মান বাচাতে, একটা সুপার কম্পিউটার চায়,। আলট্রা মেমরি যুক্ত সুপার কম্পিউটার
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৪