আঁধারগুলো কেমন বদলে যাচ্ছে আজকাল। আগের মত সেই ঘনত্ব আর নেই। নেই মোটা পর্দারমত কালো ভাজগুলোও। কষ্টগুলোকে লোকচক্ষুর অন্তরালে লুকানো যায়না এখানে এখন। অথচ জীবনের নানা না পাওয়াগুলোকে দিব্যি আঁধারের মাঝে ঝেড়ে ফেলে প্রশান্ত মন নিয়ে অনায়াসে আলোতে ফিরে আসা যেত দিনের পর দিন। হয়তো সেটা কয়েক ফোটা অশ্রুর বিনিময়ে কিংবা আরেকটা স্বপ্ন এঁকে তাকে বাস্তবে চিত্রায়িত করার দৃঢ় প্রত্যয় থাকতো সঙ্গে।
আঁধারগুলো কেমন ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। তাজা কষ্টগুলোকে লুকানো দুরে থাক, কোন কোন পুরোনো কষ্টগুলোও আঁধার ভেদ করে দুচোখে ভেসে ওঠে আজকাল। কোনটা ঝাপসা, কোনটা বুড়িয়ে গেছে, কোনটার রঙ চোটে বেহল দশা, কোনটা বা মৃত প্রায় শয্যাশায়ী। আবার কোন কোন কষ্টগুলো দিব্যি জোয়ান। কিছু কষ্টতো রিতীমত নিজেদেরকে নতুন রঙে রাঙিয়ে কেমন লালসার দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। আমার দুচোখও টলটল করে ওটে, শরিরের লোমকুপের গোড়াগুলোতে কেমন হিমেল ভাব ছড়াতে শুরু করে, চন্দ্রহীন মধ্যরজনিকেও তখব বড্ড আলোকিত মনে হয়, পালাতে ইচ্ছে করে কিন্তু পাদুটো ততক্ষনে শক্তিহীণ, মনে মনে গালি দিতে থাকি বদলে যাওয়া আঁধারকে আর ভাবি জীবনের সার্থকতা নিয়ে। কষ্ট, অসহ্য কষ্ট।
সে কষ্টগুলোর মাঝে তুমি আছো কিনা জানতে চাইছো? তুমি নামক কষ্টগুলোকে আমি আঁধারে ছেড়ে দেয়নি, সেগুলোকে কৃত্রিম দ্বীপে এরকম ৭ টা আঁধারের নিচে চাপা দিয়েছি। চারপাশে অশ্রু নদ। তুমি নেই, কোথাও নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:০২