কালের স্রোতে সমাজতান্ত্রিকতা মতাদর্শ একসময় পরাজিত হয়।জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ কে সরিয়ে এনেছিলেন সেই ব্লক থেকে, এখানে উনার দূরদর্শিতার পরিচয় পাওয়া যায়। বাংলাদেশের কূটনীতির জন্য আরও একটি বড় প্রশ্ন ছিল চিনের সাথে সম্পর্ক। চিন সমাজতান্ত্রিক হওয়ার ফলেও সুসম্পর্কের কোন ঘাটতি দেখা দেই নাই। তারপর ও চিন এর সাথে আর্থিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠে।
Buddho দর্শন আমাদের দেশ থেকেই চিন এ পৌছায়।সব কিছু বিচারে চিনের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক খুব ই প্রয়োজন ছিল। চিনের সাথে সুসম্পর্কের জন্য জিয়াউর রাহমান সাফল্যর পরিচয় দিয়েছেন। জিয়াউর রহমান এর ঐতিহাসিক খাল খননের বুদ্ধি আসে চিন সফর করে। চিনের সাথে সুসম্পর্কের সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে জিয়াউর রহমান। পরবর্তী কালে এই সুসম্পর্ক চলমান থাকে। ১৯৭৭ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর জাপানি Airlines ছিনতাই হয়ে অবতরণ করে ঢাকা তেজগাঁও এয়ারপোর্ট এ। তখন সারা world চেয়েছিল বাংলাদেশের দিকে। অবশেষে জিয়াউর রহমান এই সন্ত্রাসিদের প্রতিহত করতে পারেন। ঠিক এই সুযোগে জিয়াউর রহমান জাপানের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন , যার সুফল আজও আমরা পেয়ে আসছি। ১৯৭৭ সালে ২৭ অক্টোবর জাপান সরকারের বিশেষ দূত হিসেবে Taksi Hayakawya চারবারের মতো বাংলাদেশ সফর করেন এবং সেই বছর ১৬ ডিসেম্বর জাপান বাংলাদেশকে বইং ৭৭৭ উপহার দেয়। ১৯৭৮ সালে জাপান সরকার বিমান উদ্ধার উপলক্ষে এক বিশেষ আয়োজন তৈরি করেন। সেই সময় জাপান Airlines হাইজ্যাক হওয়া বিমানের যাত্রী ও পরিবার জিয়াউর রাহমান কে কৃতজ্ঞতা জানায়। জিয়াউর রহমান দুইবার ( ১৯৭৮, ১৯৮০ ) জাপান সফর করেন। ১৯৮১ সালে জাপান ও বাংলাদেশের সহজগিতায় প্রথম পাঁচটারা হোটেল Pan Pacefic Sonargoan এর উদ্ভধন হয়। এখানে আরও উল্লেখ্য এই যে সেই সময় এশিয়ার সবচেয়ে শিল্প উন্নত ও শক্তিশালী দেশ জাপানের সঙ্গে প্রতিদন্তিতা করে বাংলাদেশ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এর সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল, তবে তার ফলে জাপান এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ভারতের মতো বার্মা ও আমাদের প্রতিবেশী। তাই রাজনৈতিক কারনে বার্মার সাথে আমাদের সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বার্মার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষে ১৯৭৭ সালে ২১ জুলাই জিয়াউর রাহমান বার্মায় যান। চারদিন সফরে তারা বাণিজ্য, সংস্কৃতি বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ গোড়ে তোলার জন্য সমঝোতায় পৌঁছান। পরবর্তীতে বার্মার President ১৯৭৯, ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সফর করেন। তারপর ১৯৮০ সালে দুই লক্ষ বার্মা বিতারিত হয়ে জিয়াউর রহমান এর কাছে আশ্রয় চাইলে পরে তিনি আশ্রয় দেন।
Collected by my favourite Dr. Ramit Azad Sir.