হে ক্ষণস্থায়ী যাদুর নাট্যমঞ্চের মালিক
কতশত রকম যুক্তি,জ্ঞান,অনুভূতি,কল্পনা ও আবেগ দিয়ে
তুমি মানুষগুলোর সময় করছ পার
এগুলো কখনও বাস্তবের মত নয়-যেনো সবই স্বপ্নের মতো
তবু বাস্তবের ন্যায় বুঝিয়ে নিয়ে চলেছ তুমি সকলকে
হে ক্ষণস্থায়ী যাদুর নাট্যমঞ্চের মালিক
তোমার এ জগতের শুরু আর শেষ মানুষের জ্ঞানের বাইরে
যেটুকু জ্ঞান দিয়েছ,সেগুলো দিনে দিনে ভূল বের হতে হতে
একসময় অযৌক্তিক ও বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়
হে ক্ষণস্থায়ী যাদুর নাট্যমঞ্চের মালিক
এখানে তুমি প্রত্যেকের অনুভূতি,অভিনয় ও জ্ঞান আলাদা করেছ
প্রত্যেকের চোখে তুমি রঙিন চশমার আলাদা কারিগরি দেখিয়েছ
আবার দিনে দিনে সেইসব রঙগুলোকে শোষন করে নিরস,ঝাপসা
ও কাঠখোট্টা করে-একসময় জীবনের সকল আলো নিভিয়ে দিয়েছ
হে ক্ষণস্থায়ী যাদুর নাট্যমঞ্চের মালিক
আমাদের দেহের ভেতর প্রানবায়ু ঢুকিয়ে তারসাথে মস্তিস্কের সেন্সর সিস্টেম করেছ
যেখানে একে অন্যকে ছেড়ে যেতে চায়না আবার ধরে রাখার ক্ষমতাও কারো থাকেনা
সৌরজগতের মধ্যে,উদ্ভিদ ও প্রানীর শরিরের মধ্যে ও একে অন্যের আত্নার সাথে
ইত্যদী সকল ক্ষেত্রই টিকিয়ে রাখার জন্য তুমি নেগেটিভ ও পজেটিভের ব্যবহার রেখেছ
তোমার এ রহস্যময় জগতে মানুষের মাঝে জটিলতা সৃষ্টি ও তার সমাধান চলে
পরবর্তিতে আবার সবই আপেক্ষিক হয়ে ভূল হয়ে যায়
আবার নতুন ঘটনা নতুন রুপে ঘটে এবং নতুন নতুন সমাধান চলে
এভাবেই যেন উদ্যম সকলের ভেতর আসা যাওয়ার খেলা করেই অভিনয় ও মঞ্চ নাটক চলে
সময়ের তালে
হে ক্ষণস্থায়ী যাদুর নাট্যমঞ্চের মালিক
জগতে এসব সিস্টেমের সেটআপ ও আপডেট করে
তুমি আমাদেরকে দিয়ে নিশ্চয় কোন না কোন কর্ম সাধন করে নিয়ে চলেছ
হয়ত গিভ এন্ড টেক এর মতো কোন ব্যপার
যেটা আমাদেরকে বোঝানোর কোন সুত্র সৃষ্টির প্রয়জন মনে করোনি
অথবা আমরাই তোমার সিস্টেম চালনার মধ্যে-জ্বন্মানোর উপযোগী হয়ে জ্বন্মে গেছি
ফলে তোমার কিছু করার নেই-এমন
তোমার ভূগর্ভস্ত পদার্থের ব্যবহার ও বিবর্তন ঘটিয়ে-গোলযোগ করে পৃথিবীর ক্ষতি করছি
এবং প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছি
তার প্রভাবে নিজেরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ছুটে চলেছি
এবং দ্রুত বিলুপ্তপ্রায় হয়ে ধংশ হয়ে যাচ্ছি
তবু তোমার কিছু করার নেই-এমন!!!
যদি বল জ্ঞান বিবেক দিয়েছ-তবে সেটা কাজে না লাগার অর্থটা কেমন হতে পারে!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৭