somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খাদ্য ও স্বাস্থ্য প্রযুক্তির আবিস্কার,সেক্স স্বাধীনতা এবং নিরপেক্ষ লৌকিক জ্ঞান পৃথিবীর দীর্ঘায়ূ ও মানব জীবন সুন্দর করতে পারে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



যেখানে যাচ্ছি-যার সাথে লেনদেন করছি-যার সাথে মিশতেছি সে ই যেন স্বাভাবিকভাবে ঠকাচ্ছে। তহলে প্রত্যেকেই কি প্রত্যেককে ঠকিয়ে টিকে থাকাটাই এখানে নিয়ম বা স্বাভাবিক! তাহলে আমাদের জ্ঞান কোথায় প্রকাশ পেল। নাকি জ্ঞানী অর্থ ঠকানোর নিত্য ফরমূলার সৃষ্টি?

আবার জগতের সবকিছুই আপেক্ষিক। ফলে ঠকানোর বিষয়টাও আপেক্ষিক। যেমন কেউ যদি মনে করে বা যুক্তি দিয়ে দেখায় যে সে ঠকেছে-সেটাও যেমন সঠিক হয়। তেমনি সে ঠকেনি ভাবলেও যুক্তি পায়। এভাবে নেগেটিভ ও পজেটিভ মিলিয়ে যেন জগৎ চলছে। প্রকৃতার্থে দেখাযায়-জগতের সকল কর্মই-একে অন্যকে ঠকিয়ে টিকে থাকারই প্রতিযোগিতা চলছে। আবার মানুশ তার নিজের আত্ত্বার আনলিমিটেড চাহিদা ও ইচ্ছাকে পূরণ করতে না পারার জন্যও-নিজের কাছে নিজেকেই যেন ঠকে যেতে হচ্ছে।

পূর্বের বিনিময় প্রথার সময় থেকে আজব্দি একে অন্যকে ঠকানের নিত্য নতুন,আপডেট ও উন্নত পদ্ধতিতে জ্ঞানকে এগিয়ে নিয়ে মগজধোলায়ের যে প্রতিযোগিতা চলছে,সেটার কি কোন পরিবর্তন হতে পারেনা? জ্ঞানকে কি অন্যদিকে ঘুরিয়ে এগিয়ে নেওয়া যেতে পারেনা? যেখানে এই গোটা মানব জাতি একে অন্যের সাথে সম্পর্কচ্যুত হবার মত কোন লেনদেন না করেও,ভালভাবে টিকে থাকতে পারে। যেমন-বিজ্ঞানীরা যদি-এমন ধরনের সফর্টওয়্যার বা প্রযুক্তি আবিস্কার করে এবং যেটা জ্বন্মের সাথে সাথে অটো চালু হয়ে যায়। বা বিনা খরচায় একবার ব্যবহারে ২০০ বছর মানুশ ন্যাচরালভাবে এবং সুস্থভাবে উপযুক্ত ক্যালোরি পেয়ে টিকে থাকতে পারে। তখন বেচে থাকার ও খাওয়ার জন্য কারো কোন ঠকানোর প্রয়োজন যখন পড়বেনা। হিংসা ও বিভেদের সৃষ্টি হবেনা এবং প্রতিশোধের আগুন পৃথিবীতে আর কোন ত্বিতীয় যুদ্ধের সুচনা ও ধংশ সৃষ্টি করতে পারবেনা।

হালহীন-পালহীন,কুল কিনারাহীন একটি ভাসমান তরীতে যেহেতু আছি মোরা গোটা মানবজাতী। সেহেতু আমরা যদি এখানে একে অন্যের সাথে এভাবে ঘৃণা,হিংসা ও প্রতিশোধে জ্বলে উঠি বা জ্বালাতে থাকি তাহলে পৃথিবীটাও যেমন তার খনিজ হারিয়ে দ্রুত ধংশ হবে। আবার এসবের প্রতিক্রিয়ায় আমরা মানবজাতীও দ্রুত ক্ষয় হয়ে ধংশ হয়ে যাব।

খাদ্যের মত,পিপাশার মত সেক্স চাহিদাটাও একটা প্রাকৃত্বিক ব্যপার। এটা মানুশের আবিস্কৃত কোন বস্তু নয় যেটা ইলেকট্রিক বাল্ব এর ন্যয় অফ-অন করা যায়। যে রাষ্ট্রে সেক্স বিষয়ে জ্ঞান বা স্বাধীনতা যত কম বা নিষেধ-সেখানেই একে অন্যের সম্পর্ক ততবেশি খারাপ। এর নিষেধাগ্গা নারী পুরুশ উভয়কে একটা অয়ৌক্তিক আবেগ ও গোড়ামীর ভাবনায় গড়ে তোলে এবং অন্ধের,আবেগের ও ভূল পথের দিকে নিয়ে যায়। ফলে সমাজে চরম ভূল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয় এবং একে অন্যের সাথে সম্পর্ক নষ্ট,ঘৃণা ও বিভেদ সৃষ্টি হয়ে থাকে। যদিও খাওয়া,ঘুম,ব্যয়াম বা সবকিছুর মত যৌনতারও একটা লিমিটেশান রাখতে হয়। ফলে একটা নির্দ্দিষ্ট বয়স থেকে নারী ও পুরুশকে একটা নিয়মের মধ্যে থেকে যৌন স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। তাছাড়া এপৃথিবীতে আমরা স্বাধীন। এখানে যত নিয়ম আমরা মানুষেরাই নিজ ইচ্ছায় সৃষ্টি,পরিবর্তন,সংশোধন,গ্রহন ও ত্যাগ করতে পারি।

এসব ব্যবস্থার নিরশন ঘটলে পৃথিবীটা অন্য কায়দায় চলবে বা পৃথিবীর মানুশগুলো তখন অন্য ভিন্ন ও সুন্দর জিবন যাপন উপলব্ধি বা উপভোগ করবে। ভেবে দেখুনতো নিরপেক্ষভাবে-খাদ্যাপর্যন,অর্থাপর্যন ও সেক্স নিয়ে যখন কোন মতভেদ ও ঠকানো কর্মের সৃষ্টি হবেনা পৃথিবীতে -তখন মানুশের লাইফটা কেমনভাবে চলতে পারে! তাছাড়া বিজ্ঞানীরা তো ভূতের গল্পোকেও হার মানায়-তারা ইচ্ছা করলে অনেক কিছু আশ্চর্য্ প্রযুক্তির উদ্ভব ঘটাতে পারে-যেগুলো সাধারনের ধারনার বাইরে থকাটা অস্বাভাবিক নয়।

পদার্থ ও যন্ত্রাংশ যেমন তার কার্য এ পৃথিবীতে প্রকাশ করে তেমনি একাক জন মানুশও একাক মানব ধাতুর ক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়ে গড়ে উঠে ও প্রকাশ করে থাকে তার ক্রিয়া-কর্ম। আবার এই মানুশ নিজ ইচ্ছা করলে ও সন্মোহন করলে নিজেকে সে প্রতিহত ও কন্ট্রোল করতে পারে তার জ্ঞান দিয়ে। ফলে নিজ ইচ্ছায় মানুষ যেকোন পথে ঢুকতে ও বেরিয়ে আসতে পারে। এটা মানব ধাতুর একটা অন্যতম গুন। অতএব ভিন্ন ভিন্ন ধাতু ও ভিন্ন ভিন্ন কোর্ড নাম্বারে মানুশগুলো গড়ে গেলেও,সকল মানুশকে রাষ্ট্রের কঠোরতায় আবার বশীভূত করা সম্ভব। মোটকথা আপন ধাতুকে অন্যের অমঙ্গল সৃষ্টির হাত থেকে মানুশ ইচ্ছা করলেই রক্ষা করতে পারে। ফলে গোটা মানব জাতী একই আত্নার আত্নীয় ভেবে-একে অন্যের সাথে সুসম্পর্ক রাখার জন্য,ত্যাগ করেই প্রকৃত্ব সুখ অনুভব করবে এবং তখন পরিস্থিতিই মানুশকে ত্যাগী করে তুলবে। কেননা তখন জগতের আনুসাঙ্গিক বহু নিয়ম,প্রযুক্তি,কেমিক্যল,পদার্থ,পারমানবিক অস্ত্র,গেমস,ব্যবসায়ীক ইন্টারনেট ,ফ্রিজ,এসি,কসমেটিক্স,ভেজাল খাদ্য, কোম্পানী,কাল্পনিক ও নগ্ন চিত্রের মগজধোলায় ব্যবসাগুলো অর্থহীন হয়ে পড়বে।

সুতরাং যেখানে এই বৃহৎ মহাশুন্যের কোন শেষ নেই-সেখানে মহাশুন্য জনিত আবিস্কারের ভাবনা অহেতুক ও অপচয়ের অর্থই হবে। আবার এদিকে পৃথিবীতে মানুশের মাঝে শ্বান্তি নেই। তাহলে নিশ্চই প্রথমত পৃথিবীতে শ্বান্তি নিয়ে আসার লক্ষেই যত অর্থ ব্যায় করা উচিত ও নতুন পদ্ধতির উদ্ভব ঘটানো উচিত। যেখানে আপন,আপোশ,ত্যাগী,নিরপেক্ষতা ও সমাঝোতা ছাড়া কোন যুদ্ধ ধংশ ও ক্ষয় ঘটবেনা। তবেই জগৎ দীর্ঘায়ু ও সুন্দর হতে পারে। কেননা পূর্বের নিয়মে যেভাবে পৃথিবীর মানুশ চলে আসছে সেখানে অশান্তির নিরশন না হয়ে বরং অশান্তি বিভিন্ন ক্যডাগরিতে ঘুরপাক খেলছে এবং দিনে দিনে আরো চরম ভয়ঙ্করের রুপ নিয়ে চলেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানালেন ড. ইউনূস

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১০





যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।শুভেচ্ছা বার্তায় ড. ইউনূস বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের জন্য আপনাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×