somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি সম্বোধনহীন ও ঠিকানাবিহীন চিঠি।

১৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ বিকেল বেলা আপনাকে দেখলাম। কালবিলম্ব না করেই, রিক্সা থেকে বাসার সামনে নেমে সোজা গেটের ভিতরে চলে গেলেন। দূর থেকে কয়েক সেকেন্ডের দেখাতেই আমি বলতে পারছি অনেক লক্ষণীয় পরিবর্তন আপনার মাঝে। এই যেমন চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল, স্বাস্থ্য টাও কেমন জানি শুকিয়ে গেছে। কেনো এমন হল শুনি?? আপনার কি এতোই পড়াশুনার চাপ?? নাকি রাতে ঠিক মত ঘুম হয় না আপনার??
মাথা উঁচু করলেই হয়তো আমাকে দেখতেন। আমি একটু দূরে আপনার সামনেই ছিলাম। জানেন আপনি আমাকে দেখেন নি বলে আমার খুবই মন খারাপ হয়েছিল। কি হতো একটু তাকালে। হয়তো এই যুবকের মনে শ্রাবণের ঝড় বয়ে যেতো, লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলতো কিংবা রচনা করে ফেলতো নতুন কোনো গানের লিরিক্স। আর সেই গান গেয়েই সারারাত পার করে দিতো ছেলেটা।
মজার কথাটা শুনুন এবার। গত কয়েক রাত থেকে আপনাকে স্বপ্নে দেখা হয়। আগেও দেখতাম। কিন্তু বিরতহীন ভাবে এতো দীর্ঘ সময়ের জন্য না। আপনার মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে, নীল শাড়ি পড়ে মাঝ কপালে ছোট্ট লাল টিপ দিয়ে ভালোবাসার ঝুম বৃষ্টিতে ভিজতে। আমিও ঠিক আপনাকে একই রূপে দেখি। পার্থক্য শুধুমাত্র ঐ লাল টিপে। আমি যে আপনার কপালে পর পর দুটো টিপ দেখতে পাই। কপালে দুটো টিপ দিলে কিন্তু আপনাকে দ্বিগুণ সুন্দর লাগে। কখনো ট্রাই করেন নি বুঝি...? একদিন অবশ্যই ট্রাই করবেন। শুনছেন, আমিও তখন ঘুমকে পাত্তা না দিয়ে লেগে পরি আপনাকে কাগজ পেন্সিলে আঁকতে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। তখন আরো মন খারাপ হয়ে যায়। কি দরকার স্বপ্নে আমার সাথে ছলনা করার। স্বপ্নে না এসে সরাসরি এলেই তো পারেন।
ভালো কথা। আপনার চশমা টা কোথায়?? অনেকদিন পড়তে দেখি না যে?? আপনি জানেন ঐ চশমা পড়া চোখ দুটি’র মায়াবী সৌন্দর্য আমার চারপাশ অন্ধকার করে দেয়। শুনেছি আপনাকে আপনার ভার্সিটি’র ফ্রেন্ডরা কি একটা অদ্ভুত নাম ধরে ডাকে। আমার কিন্তু এই নাম একদম ভালো লাগে না। ওদের কে না করে দিবেন ঐ নামে ডাকতে। আমি ওদের সাথে মারপিট করতে যেতে পারবো না। আমার বাংলা সিনেমার নায়কদের মত এতো শক্তি নেই। আপনার এতো সুন্দর একটা শব্দবহুল নাম থাকতে ওরা অন্য নামে ডাকতে পারবে না। আমার এক কথা আমি বলে দিলাম।
সবসময় চুলে খোপা করবেন। বেণী করলে আপনাকে একদমই ভালো লাগে না। তবে, হ্যাঁ। ভার্সিটিতে যেতে বেণী করে যাবেন। কারন, আমি চাই না অন্য কেউ আপনার খোপার দিকে তাকাক। আমিই শুধু চুপিসারে আপনার খোপাতে তেত্রিশ টি ঘাসফুল গুজে দেয়ার অধিকার রাখি। আর কেউ না।
আপনি এতো সকাল বাসা থেকে বের হন কেনো। ভার্সিটি বাসের জন্য সবার আগে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। কাক ডাকা ভোরে আপনাদের পাড়ার রাস্তাটা বেশি সুবিধার না। বখাটে ছেলেদের আস্তানা একটা। ১০ মিনিট লেট করে বের হবেন। একটু দেড়ী করে বের হলে খুব একটা অন্যায় হবে না।
ক্লাশ শেষ করে একা একা মন খারাপ করে বসে কাকে ভাবছিলেন ঐদিন?? আমাকে বুঝি?? আপনার মন খারাপের চেহারা আমি যেনো আর না দেখি। মন খারাপ করা আপনাকে মানায় না। আপনার হাসিমুখ দেখলে সবকিছুই আমার কাছে রঙিন মনে হয়। মনে হয় সাদাকালো দিনগুলো বুঝি শেষ হতে চলল।
আমাকে ছাড়া আপনার চলবে না, সে আমি জানি। হ্যাঁ, চিঠিটা পাওয়ার পর এই উদাস মনের পাগল ছেলেটাকে কষ্ট করে খুঁজে নিয়েন। নির্দিধায় শর্তবিহীন ধরা দিবো। ছেলেটি আপনার বুকে মাথা রেখে পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে চায়। ভিজতে চায় বর্ষার বৃষ্টিতে। দূর থেকে আর আপনাকে কেয়ার করতে পারবো না। ভালোবাসি বলে কি সব দায় আমারই।
ইতি,
বাউন্ডুলে ছেলেটা।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০৪
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁঠালের আমসত্ত্ব

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

কাঁঠালের কি আমসত্ত্ব হয় ? হয় ভাই এ দেশে সবই হয়। কুটিল বুদ্ধি , বাগ্মিতা আর কিছু জারি জুরি জানলে আপনি সহজেই কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানাতে পারবেন।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানানের জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। অ্যাকসিডেন্ট আরও বাড়বে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



এরকম সুন্দরী বালিকাকে ট্র্যাফিক দায়িত্বে দিলে চালকদের মাথা ঘুরে আরেক গাড়ির সাথে লাগিয়ে দিয়ে পুরো রাস্তাই বন্দ হয়ে যাবে ।
...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×