ফিরে যাবার আগে শেকড়ে ঢুকে পড়ি।
দেখি, শেকড় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ফড়িং ওড়া শৈশব।
শৈশব হেঁটে যায় সম্ভ্রান্ত আয়ুপথ ধরে।
শেষপ্রান্তে খুঁজে পাই কবর আর কান্নারত মা।
সময় শুকিয়ে গেলে আমি উইপোকা হয়ে যাই।
কফিনের কপাট খুলে আর বেরিয়ে আসতে পারি না।
কবরের মতো দেখতে পৃথিবীর জরায়ু মুখে দাঁড়িয়ে মা আঁচলে চোখ মুছেন।
পৃথিবীর সমস্ত মধ্যবিত্ত বিষাদ মেঘফুলের মতো ঝরে পড়ে ঈশ্বরের দরবারে।
আমি ঈশ্বরের সাথে লিপ্ত হই বিতর্কিত আলোচনায়।
পৃথিবীর আয়ুরেখা থেকে তখন ঝরে যাচ্ছিল-
রুপালি শৈশব, সূতোয় বাঁধা ফড়িং, অবাধ্য গ্যাস বেলুন,
আর জাফরিনের মুখে রঙিন লজেন্স!
'উইপোকা কথন' | © আবুল হাসনাত বাঁধন
(২১/১০/২০১৯)
পটিয়া, চট্টগ্রাম।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫২