১.
যখন ঘুম ভেঙ্গে উঠি মধ্যাহ্নের শেষে
দৃষ্টি প্রসারিত বাতায়ন বেয়ে পশ্চিমাকাশে।
জীবনের অর্থ খুঁজি।
কে আমি?
কিসের প্রয়োজনে?
কেনইবা?
বেঁচে আছি অর্থহীন।
২.
বিদ্রোহী হয়ে ওঠে কবিতারা।
অলিগলি পেরিয়ে নগরীর গোলচত্ত্বর প্রকম্পিত।
কৃষ্ণচূড়া দ্রোহের ফুঁলকি ছড়িয়ে শানিত করছে জনসভা।
আবাবিল প্রস্তুত।অপেক্ষা ধ্বনির
বেঁজে উঠুক মহারণের বাদ্য।
৩.
প্রশমিত হতে থাকে মহাকালে বেদনা।
সপ্ত আসমান ফুঁড়ে নামে প্রলয়ের হুংকার।
কিংবদন্তীর কন্ঠে নেই কোন আহ্বান।
রুদ্ধ হতবাক মানব সমাজ।
অশরীর মিছিলে ভেসে যায় ভৌগলিক সীমারেখা।
এ কোন আতঙ্কিত অন্ধাকার।
৪.
আমাদের এ শহরে সুনসান নিরবে।
কত অজানা আত্মগ্লানি অনন্তবহে।
কত অভিশপ্ত আত্মার মিছিলে
শোক বহে নিভৃতে
আমাদের এ শহরে।
৫.
বর্ষার প্রথম কদমফুল মাড়িয়ে যায় ঈশ্বর।
উপকূল ধরে দূর্ভাগা পল্লীতে।
প্লাবন নেমে আসে আমাবস্যা হয়ে
দিনমজুরের সংসারে।
জরে ভাসে কলার ভেলা।
ঐ দূরে
উঁকি মারে ডিস্ট্রিবোর্ডের রাস্তা।
৬.
নব যৌবনার অঙ্গে লেগেছে ফাগুনের আগুন।
ঈশ্বর গড়েছেন কি নিজ হাতে?
আদিম মাদকতা ভাসে শরীরের ভাজে।
বক্ষ সুঢৌল স্পর্শের হাহাকার।
নাচে তা থৈ,তা থৈ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫