পূর্বেই বলেছি,সরকান ৫৭ধারা নামক তথ্য প্রযুক্তি আইন করে আমাদের কন্ঠরোধের চেষ্টা করছেন।
যার শেষ শিকার উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ এর সম্পাদক ও প্রকাশক সাংবাদিক প্রবীর সিকদার।তার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে।তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসনের সুনাম ক্ষুন্ন করেছেন।
সাংবাদিক প্রবীব সিকদার সেই ব্যক্তি।যার পরিবারের ১৪জন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন।যিনি দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার সেই রাজাকার নামক কলামে তুলে আনেন।মুক্তিযুদ্ধে প্রিন্স মুসার বিতর্কিত কর্মকান্ড।যার বদৌলতে তাকে পা হারাতে হয়েছে।তিনি সেই সাহসী পুরুষ,যার কলমে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের কথা।
সেই সাহসী কলম যোদ্ধা আজ আটক তথ্য প্রযুক্তি নামক কালো আইনে।তিনি জীবনের শঙ্কা নিয়ে জিডি করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেননি।তাই তিনি বিচার চেয়েছেন জনতার আদালতে।বলেছেন,তার কিছু হলে কারা কারা দায়ী থাকবে।
আমরা দেখেছি পূর্বেও ৫৭ধারা আইনে কয়েকজন ফেসবুকার ও ব্লগারকে আটক করতে।
আমরা দেখেছি মৌলবাদীদের হামলায় মুক্তমনাদের মরতে।
অথচ,সরকার নিরাপত্তা তো দূরের কথা হত্যাকারীদের বিচারের কোন সুব্যবস্থা পর্যন্ত করেনি।
আমরা চাই যুদ্দাপরাধের বিচার।সরকার সে বিচার শুরু করার জন্য সরকার কে ধন্যবাদ জানাই।কিন্নু,স্বজন প্রীতি করার জন্য জানাই ধিক্কার।
সরকারের কাছে আজ জনতার দাবী।
১.৫৭ধারা নামক কালো আইন বাতিল করুন।
২.সাংবাদিক প্রবীর সিকদার সহ আটককৃত ফেসবুকার ও ব্লগারদের নিঃশর্তে মুক্তি দিন।
৩.ব্লগার হত্যার বিচার যত দ্রুত সম্ভব শুরু করুন।তদন্তের নামে দীর্ঘসূত্রীতার বাহানা বন্ধ করুন।
৪.মৌলবাদীদের হিট লিস্টের সকল ব্লগার,লেখক,সাংবাদিক,শিক্ষক,ছাত্র সহ সকল ব্লগারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
৫.স্বজন প্রীতি বর্জন করে যুদ্ধাপরাধের বিচার করুন এবং রায় কার্যকর করুন।
৬.মত প্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখুন।
৭.প্রশাসনকে জনগনের নিরাপত্তা দানে আন্তরিক করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১৩