১ম পর্ব
ধর্ম:আদিম সমাজের 'নিয়ানডারথাল' মানুষ থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত ধর্ম সর্বত্র একটি অন্যতম মৌল সামাজিকক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার অস্তিত্ব বজায় রেখে চলছে।সাধারণ অর্থে ধর্ম মানব সমাজে প্রবাহিত হচ্ছে ব্যক্তি ও সমাজের শান্তি এবং সংহতির বাহক হিসেবে।ধর্মের কাজ সত্য ও সুন্দরকে নিয়ে,ধর্মবোধ মানুকেরর নীতিবোধ উন্নত করে।আবার নীতিবোধ ধর্মবোধকে অগ্রগতিতে সহায়তা করে।প্রকৃতপক্ষে,ধর্ম কোন আচার-অনুষ্ঠান নয়।ধর্ম হচ্ছে এক ধরণের বিশ্বাস।যে বিশ্বাস গড়ে ওঠে ন্যায় ও নীতির উপর।যে বিশ্বাসে রয়েছে শান্তির বার্তা,রয়েছে মূল্যবোধের স্তম্ভ।
এই বিশ্বাস,এই ধর্মের ইংরেজী প্রতিশব্দ Religion.Religion শব্দটি ল্যাটিন শব্দহতে আগত,যা ব্যক্তি জীবনে কিংবা জাতীয় জীবনে সমর্থ সংহতি আনে।অন্যদিকে,ধর্ম শব্দটি সংস্কৃত 'ধৃ' ধাতুর সাথে 'মন' প্রত্যয় যোগে উৎপত্তি হয়েছে।যার অর্থ ধারণা।অর্থাৎ শব্দগত অর্থে জীবনকে যা ধারণ করে তাই ধর্ম।
তাই বলা যায় যে,ধর্ম হচ্ছে এমন একটি বিশ্বাস।যা আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্কযুক্ত।এবং তা মানব জীবনে প্রভাব বিস্তার করে।
সৃষ্টির আদিলগ্ন হতে আজ অবধি পৃথিবীতে অসংখ্য ধর্মের আর্বিভাব ঘটেছে।যাদের অধিকাংশের আগমন মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতবর্ষে।
সেইসব ধর্মগুলোর মধ্যে মানব সমাজে প্রভাব বিস্তার করেছে যে সব ধর্ম।তাদের অধিকাংশ একেশ্বরবাদী।অর্থাৎ একজন ঈশ্বর কিংবা স্রষ্টার উপর বিশ্বাসের ভিত্তিতে গড়া।একেশ্বরবাদী ধর্মগুলোর মধ্যে রয়েছে।ইসলম ধর্ম,খ্রিষ্টধর্ম,ইহুদী ধর্ম,দ্রুজ ধর্ম(মূলত এটির ভিত্তিমূল ইসলাম।এটি শিয়া ইসলামের একটি শাখা)।শিখ ধর্ম,বাহাই ধর্ম ইত্যাদি।একেশ্বরবাদী ধর্মগুলো ছাড়াও রয়েছে হিন্দুধর্ম,জৈনধর্ম,শাক্তধর্ম(হিন্দুধর্মের একটি শাখা সম্প্রদায়),জরথুস্ত্র,কনফুসীয়,শিন্তো,ক্যাওদাই ইত্যাদি ধর্ম।
একেশ্বরবাদী কিংবা বহুঈশ্বরবাদী অথবা মতবাদের উপর ভিত্তি কররে গড়ে ওঠা সমস্ত ধর্মেই শান্তির বাণী প্রচার করছে।ইসলাম,বৌদ্ধ,খ্রিষ্ট,হিন্দু সকল ধর্মে মানব জাতির কল্যানের অঙ্গীকার করা হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫