আমি খুবই সাধারণ একজন মানুষ। সব-সময় নিজেকে নিয়ে ভাবতে একটু বেশি ভালোবাসি, এটার মানে আমাকে স্বার্থপর ভাববেন না। কারন,নিজেকে নিয়ে ভাবার পাশাপাশি আমি মানুষকে সাহায্য করতেও অনেক পছন্দ করি। এটা সবসময় আমাকে ভালো থাকতে সাহায্য করে। কিন্তু,লোকলজ্জার ভয়ে মানুষকে সাহায্য করতে আমি একটু পিছপা হয়। আমি সবসময় নীরবে থাকতে পছন্দ করি। আমি চাইনা আমাকে নিয়ে কেউ আলোচনা করুক। এটার জন্য আমাকে দেমাগী ভাবার দরকার নাই কারন আমাকে নিয়ে কেউ আলোচনা করলে আমার খুব লজ্জা লাগে। দেখেনতো কি একটা অবস্থা।
তো যাই হোক,আমি ছোটকাল থেকেই একটু দূরন্ত-প্রকৃতির ছিলাম এবং একটু নাছোড়বান্দাও ছিলাম বটে। তবে একটু উৎসবমূখর ছিলাম। কিন্তু, সবার হাসিখুশি আবার পছন্দ হতো না। এই যেমন ধরেন, ঈদের সময় তো সবাই আনন্দ করবে কিন্তু তখন আমার আনন্দ করতে ভালো লাগতো না। কারন, এখন তো সবাই আনন্দ করছে আমি আনন্দ না করলে কারোর কোনো যাবে-আসবে না। আবার কোথাও গানের কনসার্ট হলে সবাই তো যেয়ে লাফালাফি করবে,হৈ-হুল্লোড় করবে এটা আমার মোটেও পছন্দ হয় না। আমি মনে মনে তখন নিজেকে খুব ধার্মিক ভাবতে শুরু করি। মনে মনে ভাবতাম, আমার ধর্মে তো এই উচ্ছৃঙ্খলার জায়গা নাই তো আমি ঠিকই আছি।আর আল্লাহ এদের হেদায়েত দিক। এর জন্য বর্তমান সমাজ আমাকে অসামাজিক ভাবতে পারে। তাহলে হ্যা আমি অসামাজিক। আমি কেমন অসামাজিক আপনাদের একটু ধারণা দিই। মনে করেন,আমাদের বাসায় যদি নতুন মেহমান আসে তখন আমার যে কি লজ্জা লাগে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমি মনে মনে বলি বাসায় মেহমান না আসলে ভালোই হতো। এই যে মনে করেন,নতুন বা পুরাতন কোনো মেহমান বাসায় আসলে তাদের সাথে আমাদের প্রথম কথোপকথন কী হবে, ‘এই যে ওমক কেমন আছেন?’ আবার মেহমান বাসা থেকে চলে যাওয়ার সময় একটা সাধারণ কথা বলতে হয়,’আবার আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেন ।‘ এই কথাগুলা বলা যেনো বাধ্যতমূলক। এটার জন্য আমার লজ্জাই মুখ লাল হয়ে যাওয়ার উপক্রম।
ব্লগ লিংকঃ
view this link
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৪