বাংলাদেশ, শ্রীলংকা,হাতুরুসিংহে,মুশফিক,রিয়াদ,তামিম,সাকিব!!!!!!!!!!!!!!!!! এক কথায় অনবদ্য। আজকে অনেকদিন পর গলা ফাটিয়ে চিৎকার করছি। আর চিৎকার করবোইনা ক্যানো? এরকম ম্যাচ তো আর প্রতিবছর একবার করে আসে না! এরকম ম্যাচের জন্য সাধনা করা লাগে। এরকম ম্যাচ ১০-২০ বছরে একবার করে আসে। ক্রিকেটে শ্রীলংকা ক্রিকেট টীমের সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো,আছে এবং থাকবে। তবে হাতুরু এখন শ্রীলংকা ক্রিকেট টীমের কোচ হওয়ায় খেলার মাঠে এমন চাপ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কে না চাই তার শিক্ষককে হারাতে। এই মূহুর্তে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের চাইতে বাংলাদেশ- শ্রীলংকা ম্যাচের উত্তেজনা একটু বেশিই। এই অবস্থা কলম্বোর প্রেমাদাশা মাঠে বাংলাদেশ- শ্রীলংকা দর্শকদের দিকে তাকালেই বুঝা যাই। নিদাহাস ট্রফির বাংলাদেশ শ্রীলংকার ১ম লেগের খেলায় বাংলাদেশের সমর্থক আর শ্রীলংকার সমর্থকদের মধ্যে মারামারি। ক্রিকেট মাঠে মুশফিকের নাগিন ড্যান্স। এবং পরবর্তীতে শ্রীলংকার সাথে বাংলাদেশের ২য় লেগের খেলায় মুশফিকের আউটের বিপরীতে শ্রীলংকান খেলোয়ারদের নাগিন ড্যান্স এবং মাঠে উপস্থিত শ্রীলংকান সমর্থকদের নাগিন ড্যান্স খেলার উত্তেজনা দ্বিগুণ করে দিয়াছে। পরবর্তীতে আমাদের সবার প্রিয় সাকিবের মাঠে এগ্রিসিভ ভূমিকা এবং খেলা বর্জনের হুমকি আমি মনে করি দূর্দান্ত ছিলো। অন্যায় আর মেনে নেবো না। তবে এমন অন্যায়ের প্রতিবাদ ভারত টীমের বিপক্ষে হলে আমি আরো বেশি খুশি হতাম। আবার মনে মনে একটা ভয়ও পাচ্ছিলাম বাংলাদেশ যদি খেলা বন্ধ করে দিতো তাহলে তো নিশ্চয়ই আইসিসি থেকে কিছু একটা হতো। যাই হোক যেটা হয় ভালোর জন্য হয়। আমি মনে করি গতকালকের ম্যাচে এমন পরিস্থিতি তৈরি না হলে ফলাফলটা অন্যরকম হতো। বাংলাদেশ টীমের জন্য সর্বদা শুভকামনা এবং অবশ্যই আমরা যেনো ফাইনালে কিছু একটা করতে পারি।
আর হ্যা,গোটা ক্রিকেট বিশ্ব অনেকদিন কথা বলার মতো একটা ম্যাচ পেয়ে গেলো!!!!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩৭