আজ মনটা অতোটা খারাপ লাগছে না।কারণ আমি বুঝতে পারছি বাংলাদেশ ক্রিকেট টীম অনেক উচ্চতায় যাচ্ছে।যে দেশের মানুষ ক্রিকেটকে এতোটা ভালোবাসে তাদের এমন খেলায় বাঞ্ছনীয়।যখন লেখাটা লিখছি তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট টীম অলরেডি ইন্ডিয়ার কাছে হেরে গেছে।তবে খেলাটা অনেক উপভোগ্য ছিলো।চেয়েছিলাম বাংলাদেশের বিপক্ষে বাজি ধরবো,কিন্তু মনের সাথে হেরে গেলাম।হ্যা এই টী-২০ বিশ্বকাপে অনেক কিছু শিখছি।এক মাশরাফি কে নিয়ে কতো নাচানাচি,সেই মাশরাফিকে নিয়েই অনেক উল্টাপাল্টা কথা উঠছে যখন পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গেলো।কেও আবার বলে বসবেন না,আমি পাকিস্তানের নাম আগে লিখছি বলে পাকিস্তানের সাপোটার।আমি ধারাবাহিকতা মেইন্টেইন করছি।এই কথাটা বললাম বাস্তবতার প্রেক্ষিতে।আমি ভাই বাংলাদেশের ছেলে,আমার একটাই দল সেটা হলো বাংলাদেশ।একটা মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি।এই টী-২০ বিশ্বকাপ ২০১৬ তে ইন্ডিয়া বনাম পাকিস্তানের ম্যাচে ইন্ডিয়া জিতে যাই।হ্যা ইন্ডিয়া জিতুক বা হারুক অথবা পাকিস্তান জিতুক বা হারুক এটাতে আমাদের কোন যাবে আসবে না।কারন আমাদের নিজস্ব আন্তর্জাতিক সম্পদ আছে সেটা হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট টীম।এই কথাটা বলার কারন হলো-ইন্ডিয়া জিতার কারনে বাংলাদেশের অনেক সমর্থক খুশি হতে পারে নাই।ব্যাক্তিগত ভাবে আমি নিজেও খুশি হয় নাই।খুশি না হওয়ার অনেক কারন আছে তার মধ্যে অন্যতম কারন বাংলাদেশ ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর এখনো ভারতের মাটীতে যেয়ে টেস্ট খেলতে পারে নাই।আমাদের পরম বন্ধুদের সাথে আমাদের এটাই মধুর সম্পর্ক।এবার আসা যাক প্রাকৃতিক ভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে ভারতের ক্রিকেটের বৈরিতার সম্পর্ক।২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ বনাম ভারত ম্যাচে বাংলাদেশ ন্যাচারালি যে বঞ্চনার শিকার হলো সেটা বাংলাদেশের সমর্থকদের মেনে নেওয়া ছিলো অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার।বাংলাদেশের দর্শকরা মনের দিক থেকে এতোটাই আহত ছিলো যে তারা স্টেডিয়ামে বসে আইসিসির বিরুদ্ধে স্লোগাণ দিলো।আইসিসিকে তারা ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বলতেও ছারলো না।আমিও একমত গ্যালারিতে বসা ওইসব দর্শকদের সাথে।
আমার এইসব কথা শুনে অনেকে বলতে পারেন যে আমি আওয়ামীলীগ করি না এবং আমি পাকিস্তান ক্রিকেট টীমকে সমর্থন করি।তাহলে আমি বলবো আমি দুঃখিত,আমি আপনাদের ভালো করে বুঝাতে পারি নাই অথবা আপনারা আমার লেখা বুঝেন নাই।আপনারা বলবেন ভারত আমাদের বন্ধু,তারা ১৯৭১ সালে আমাদের সহোযোগীতা করছে।তাদের আমি বলবো ডিয়ার এখানে ক্রিকেট নিয়ে কথা হচ্ছে এখানে রাজনীতি নিয়ে কথা হচ্ছে না।ভারতের সাথে আমাদের রাজনৈতিক সম্পর্ক ওই ১৯৭১ সালেই ভালো ছিলো।তারপর থেকে এই পর্যন্ত ভারত আমাদের শোষণ করে যাচ্ছে।যারা ভারত ক্রিকেট টীমকে সমর্থন করেন তাদের একটাই যুক্তি ভারত বাংলাদেশকে যুদ্ধের সময় সাহায্য করেছিলো।আবার যারা বলে আমি ভারতকেও সাপোর্ট করি না এবং পাকিস্তানকেও সাপোর্ট করি না,শুধু বাংলাদেশকে সাপোর্ট করি তখন আপনারা(ভারতের সমর্থক) বলবেন যে আপনি(বাংলাদেশের সমর্থক)মনে মনে পাকিস্তানকে সাপোর্ট করেন।আপনাদের ভাবখানা এমন যে তারাই বাংলাদেশের রিয়াল সমর্থক যারা ভারতকে সমর্থন করেন।বাংলাদেশ এখন একাই ১০০।এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট টীম আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।আমি এটা মানি যে,আপনারা যারা ভারতকে সমর্থন করেন ঠিক আপনাদের মতোই তারাও পাকিস্তানকে সমর্থন করে ধর্মের কারনে।বলে পাকিস্তানও মুসলমান বাংলাদেশও মুসলমান এই কারনে পাকিস্তানকে সাপোর্ট করি।তাই বলে আপনারা(ভারতের সমরথক)আমাদেরকে(বাংলাদেশের সমরথক)এদের(পাকিস্তানের সমর্থক) কাতারে ফেলবেন না।আমরা সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশকে সমর্থন করি।আমরা তরুণ প্রজন্ম,আমরা জানি পাকিস্তান,ভারত দুই দেশই আমাদের শত্রু।কিন্তু,আমাদের নিজেদের স্বার্থে আমারা সবার সাথে মিলেমিশে থাকবো।একটা মজার কথা বলে লেখাটা শেষ করি- বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানের খেলা হলেই আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি মাঠে খেলা দেখতে যাবেন ই।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩