হজ্জ। ইসলামের ৫টি স্তম্ভের ভেতর হজ্জ হলো ৫ম।হজ্জের মাধ্যমে মুসলিমরা আল্লাহর কাছে হাজিরা দেয়।লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক।ইসলাম ধর্ম হলো একটা সার্বজনীন জীবন ব্যবস্থা।আচ্ছা অনেক কিছু বলে ফেললাম,এইবার মূল প্রসঙ্গে আসি।এইবার হজ্জে যে মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটে গেলো এটা হজ্জের ইতিহাসে সবচাইতে মর্মান্তিক ঘটনা।আমরা মুসলমানরা ধর্ম নিয়ে একটু বেশি সচেতন।আমরা সাধারন মুসলমানরা ধর্ম মানি আর নাই মানি,একটা অন্যায় করতে গেলে আমরা মনে মনে আল্লাহকে একটু ভয় পাই।এখন মূল কথায় আসি।প্রথমেই বলি-এইবার হজ্জে পদদলিত হয়ে যতো সংখ্যক হাজী সাহেব মারা গেছেন আল্লাহ যেনো তাদের সবাইকে জান্নাত দান করেন।(আমীন)।হজ্জে অনেক লোকের সমাগম হয় আসলে এটাকে নিয়ন্ত্রন করাও একটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার।কিন্তু,সাথে যদি আল্লাহ থাকে তাহলে সব অসম্ভবই সম্ভব হয়ে যাই।কিন্তু যখন কোন দূর্ঘটনা মানুষের ভুলের কারনে হয় তাহলে এটা মানা সত্যিই অসম্ভব।আসলে আমরা মানুষ হিসাবে চাটুকারিতা করতে পছন্দ করি।আমাদের দেশে কোন খেলা সরাসরি সম্প্রচারের সময় যদি কোন স্বনাম ধন্য ব্যক্তি মাঠে খেলা দেখতে যান তখন ধারাভাষ্যকারররা তাদের সুনাম করতে করতে মুখ থেকে ফ্যানা বের করে ফেলে।এই চাটুকারিতা যে শুধু আমাদের দেশেই বিদ্যমান এটা ভাবলে ভুল হবে।এই বদ অভ্যাসটা পুরা পৃথিবীতেই বিদ্যমান।এইবার সৌদিআরবের হজ্জের ঘটনা তারই প্রমান।সৌদি প্রিন্স শয়তানকে পাথর মারার উদ্দেশ্যে মিনায় উপস্থিত হলে তাকে সম্মান দেয়ার জন্য এবং তাকে পাথর মারতে সুবিধা করে দেয়ার জন্য সেখান থেকে বের হওয়ার কয়একটি পথ বন্ধ করে দেয়া হয়,এতেই ভয়াবহ দূর্ঘটনাটা ঘটে।এখানে ধিক্কার করা ছাড়া আর কিছুই বলার নাই।কিন্তু সৌদিআরব এই ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করছে।আবার অন্যদিকে ইরান যেসব কথা বলছে তার অনেক কথা ভালো লাগলেও একটা কথা শুনে আমার কাছে মনে হলো যে তারা এই ব্যাপারটা নিয়েও রাজনীতি চালাচ্ছে।যেই ইরান তাদের পারমানবিক গবেষনা কেন্দ্র জাতিসংঘকে দেখাতে চায় না,তারাই এই হজ্জের ব্যাপারটা তদন্ত করার জন্য জাতিসংঘকে আহ্বান করছে।এইবার আমাদের দেশের সিম কোম্পানীতে আসি,গ্রামীনফোন এই ঘটনা ঘটার একদিন পরেই বিবৃতি দিলো যে তারা মিনার এই ঘটনাই আন্তরিকভাবে শোকাহত এবং সৌদিআরবে গ্রামীনফোন থেকে কথা বলা যাবে প্রতি মিনিট এক টাকা রেটে।মেয়াদ পরের দিন পর্যন্ত।তার কিছুক্ষন পর আর একটি সিম কোম্পানী রবি তারাও বললো মিনার এই ঘটনাতে আন্তরিকভাবে শোকাহত এবং সৌদিআরবেপুরা ফ্রিতে কথা বলা যাবে,এর মেয়াদও একদিন ছিলো।কী রকমের অসম প্রতিযোগীতা।
জন্ম,মৃত্যু আল্লাহর হাতে এটা আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি।কিন্তু একজন লোকের জন্য হাজার হাজার লোকের প্রাণহানী হবে এটা মেনে নেয়া যায় না।একজনকে সুবিধা করে দেয়ার জন্য হাজার হাজার লোক ইটের দেয়ালের মতো একে অপরের উপর চাপা পড়বে এটাও মেনে নেয়া যায় না।আবার এই ঘটনার সুযোগ নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে যারা প্রশ্ন তুলেন তারা আগে নিজেদের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১১