আস্তাশীলদের নয়;আস্তাহীনতার জয়"
কিছু কিছু লোক বলেছিল বায়ো-মেট্রিক পদ্ধতিতে সিম-রীম নিবন্ধন সম্ভব হবে না।আদালতের রায় তাদের মুখে কুলুপ লেপন করেছিল ।আমরা খুশি হয়েছিলাম।তারপর ঐ লোকগুলো বলতে লগল "আমরা তরিগরি করে নিবন্ধন করতে রাজি না।যদি সরকার সিম বন্ধ করে দেয় তো দেউক।নতুন সিম কিনে নিব"।
সরকারের প্রজ্ঞাপনে আস্তা রেখে সিম রেজিষ্ট্রেশন করেছিল দেশের বেশীর ভাগ জনসাধারন,আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করছি যারা নির্দেশ পালন করতে গিয়ে সিম প্রতি নগদ ২০-২৫ টাকা মাশুল দিল তারাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে যেমন সরকারের কাছে তেমনি নির্দেশ অবজ্ঞাকারীদের কাছে সমপরিমানে ঘৃনার পাত্র,সর্বদাই অবহেলার পাত্র।
সরকারের ঘোষনায় আস্তা অর্জনের জন্য অনিবন্ধিত সকল সিম বন্ধ করা ছিল অপরিহার্য। কিন্তু বৃহত্তর জনগোষ্ঠির কল্যানের কথা ভেবে তাছাড়া অপার সম্ভবনাকে সামনে রেখে সরকার আরো একমাস সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করনে স্বাগতম দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী মহোদয়কে। কিন্তু সরকারের আস্তা অর্জনের জায়গা খানিকটা হল সংকোচিত।
আজকের রি- রেজিষ্ট্রেশন বায়ো-মেট্রিক পদ্ধতির সময় বৃদ্ধিতে আমার কোন অভিযোগ, রাগ কিংবা বিরাগে বসিভূত হয়ে এ লেখা নয়,এ লেখার মুল উদ্দেশ্য হল সময়ের কাজ সময়ে সম্পন্ন করনের অভ্যাস তৈরি করা।দায়িত্বে অবহেলা না করা।কারন আমরা যে জাতিতে বাঙ্গালী এরকম কটুক্তি বন্ধের জন্য,প্রগতিশীল মানসিকতা তৈরির জন্য,হেয়ালিপনায় শিক্ষা দেয়ার জন্য পরিবর্তন আশা করেছিলাম।মনে আশার সঞ্চার হয়েছিল, যে মন্ত্রী মহোদয় কোন এক ধনাঢ্য ব্যক্তিকে দেখে নির্ধারিত সভাস্থল ত্যাগ করতে পারে তার দ্বারা সময় বৃদ্ধির ঘটনা ঘটবে না।আজকের নিউজটা আমাকে অভাক করেছে,আমি বিস্মিত হয়েছি।
আমি হলফ করে বলতে পারি আমার দেশের সাধারন কোন নাগরিক সিম নিবন্ধনে অহেলা করেনি।অবহেলা করেছে দেশের উচ্চাসনে অধিষ্টিত রুই কাতলা খ্যাত রাগব বোয়ালরা।আইন লংগন তাদেরই মানায়।তারাই তাদের প্রয়োজনে আইনের রদবদল করে থাকেন। সিম বন্ধ রাখলে কি হত?তার উত্তর আপাত খুজবনা।শুধু বলব, সিম বন্ধ রাখলে পরবর্তিতে সরকারের যে কোন কাজে আস্তা বৃদ্ধি পেত রাষ্ট্র পরিচালনায় সহায়ক হত। বিশেষ করে সময় তো একেবারে কম দেয়নি যাতে সরকারের বদনাম হত।
পরিশেষে শুধু বলব, যারা সরকারের ঘোষনাকে শ্রদ্ধার সাথে গ্রহন করল তাদের মাশুল দিতে হল।যারা অবহেলা করল তারা পুরস্কার পেল। সিম নিবন্ধনে যে সকল এজেন্ট অতিরিক্ত টাকা গ্রহন করেছে তারা সরকারের ভাবমূর্তিকে খুন্ন করেছে এবং নিবন্ধন কাজে নিরুৎশাহী করনের অপরাধে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করছি।ভবিষৎ সকল নির্দেশনায় সাধারন মানুষের perception তৈরিতে সরকার মনযোগ দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৭