#" আর কাঁদতে চাইনা; হাঁসতে চাই " ##
সাংবাদিক শফিক রেহমানের গ্রেফতারের খবর শোনে কিছু সংখ্যক লোকের যে সকল প্রকাশিত আকুতি তা হলঃ "কি এমন দরকার ছিল বৃদ্ধ লোকটাকে এভাবে রিমান্ড দিয়ে কষ্ট দেওয়ার??? কি তার অপরাধ??? আসলে ভিন্নমত পোষন কারিদের এ সরকার সহ্য করতে পারে না। কন্ঠ রোধের জন্যই রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে বয়োজ্যোষ্ঠ সাংবাদিকওগ্রেফতার ও নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছেনা । সেই প্রশ্নের জবাব দিবার জন্য কিছু একটা লিখব বলে ইচ্ছে পোষন করছিলাম। এরই মধ্যে বুড়ো সাংবাদিক সাহেবের না জানা অনেক গোপন রহস্য বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুক, অনলাইন পোর্টাল,গনমাধ্যম ও টকশোতে প্রকাশিত হয় তার কু-কৃত্তির কথা।
রসময় গুপ্তের রসের তলদেশে লুকিয়ে লুকিয়ে সমৃদ্ধতায় গড়ে উঠে এক কামুক গোলাপী পুরুষ, সমকামীতায় আসক্ত হওয়ার নজিরও স্থাপন করেন নিজের ডায়রিতে।তাছাড়া কর্মচারীদের বেতন-ভাতা না দিয়ে বিদেশে পলায়নের ঘটনাও কম বেশী সকলেরই জানা আছে। আরো জানা যায় বিদেশে অবস্থান কালে বিবিসিতে কাজ করার পাশাপাশি পর্নো ব্যবসায় নিজেকে যুক্ত করেন ও ভালবাসা দিবসকে বাংলাদেশে আমদানি করে বিএনপির শাসন আমলে তিনি হয়ে উঠলেন বেগম খালেদা জিয়ার সফর সঙ্গী অতপর উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা হওয়ার পর দীর্ঘদিন তাকে কোন প্রকার মন্তব্যও করতে দেখিনি, এমনকি রাজনৈতিক কোন বক্তব্যও তিনি রাখেননি শুধু দেখেছি লাল গোলাপ!এখন দেখতে পাচ্ছি সেই লাল গোলাপ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র আগামী বাংলাদেশের সাম্ভব্য প্রধান মন্ত্রী জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরনের নিমিত্তে হত্যা করার জন্যে সুদুর আমেরিকাতে গোল টেবিল বৈঠক করেন।গ্রেফতারের পর ৬৪ এ স্বীকার উক্তি মুলক বক্তব্যে পুলিশের কাছে স্বেচ্ছায় স্বীকার করেছেন। গনমাধ্যমে তার এ নিউজ দেখে হতবাক নতুন প্রজন্ম,অবাক তার দোসর বা দালালরা।রীতিমত অবাক সকল মহলের সহজ সরল মানুষেরাও। লাল গোলাপের ভিতরে যে মাকাল ফলের কাহিনি উন্মোচিত হবে কেহ কোন দিন ভাবতেও পারে নি।
অপহরনের অর্থদাতা ছিল যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতার পুত্র সিজার।তারা ভেবেছিল আগামীর সুন্দর সূর্য টাকে ম্রান করতে পারলেই বাজিমাত। পরিকল্পনা মতে নিযুক্ত করেন যুক্তরাষ্টের দুই কিলার বা অপহরনকারী।ঐ দালালদের পিছনে সিজার খরচ করেন হাজার হাজার ডলার।জয়ের অপহরনের বিষয়টি এফবিআাই এর নজরে পড়ার সুবাদে প্রানে বেচে গেল বাংলাদেল, রক্ষা পেল আওয়মীলীগ, রক্ষা পেল প্রিয় সূর্য খ্যাত জয়, জাতি পেল প্রিয় নেতার জীবন।
অপহরনের ভিশন সফল হলে ইতিহাসে যুক্ত হত কারবালার প্রান্তরে এজিদ কর্তৃক নিহত প্রিয় নবী (সঃ) নাতির মত,পলাশী যুদ্ধের মত,৭৫ এর ১৫ আগষ্টের মত, হৃদয় বিদারক মর্মান্তিক মৃত্যু আবারো আওয়ামীলীগ পরিবাকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা মিথ্যা মনগড়া ইতিহাস রচনা করে মেজর জিয়ার মত তার বিলেন পুত্র ইতিহাস বিকৃতির মহা উৎসবে মেতে উঠত। সৃষ্টি কর্তার অপার মহিমায় এফবিআই এর উছিলায় রক্ষা পেল বাংলাদেশ,রক্ষা পেল আওয়ামীলীগ পরিবার, রক্ষা পেল ডিজিটাল বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা আমাদের প্রিয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের জীবন।কৃতজ্ঞতা আল্লাহ'র দরবারে, অভিনন্দন এফবিআইকে।
অপহরনের মামলায় সিজারের সাজা হয় তিন বছর।আমেরিকার অপহরনকারী দু'জনের শাস্তি হচ্ছে ঐদেশের ক্রিমিনাল এ্যাক্ট অনুসারে। এফবিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী মাহমুদুর রহমান ও শফিক সাহেবের সম্পৃক্তা রয়েছে এমন আবাসের ভিক্তিতেই গোলাপি শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়।তাদের বিচার হবে বাংলাদেশের ক্রিমিনাল 'ল' অনুসারে। আমরাও চাই অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক,অনিয়ম দুর করা হোক,সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হোক, এটাই সকলের কাম্য।কিন্তুু নাগরিক মনের change of perception না আসলে প্রকৃত মুক্তি সম্ভব নয়।যদিও এ change of perception তৈরির কাজটি করতে হবে রাজনৈতিক নেতৃত্বে যারা আছেন বা সরাকারে যারা থাকেন।
বিএনপি ইমরান সরকার ও সুশীল নামক বক ধার্মিকরা বলছেন, ভিন্নমত পোষনকারী কেউ নিরাপদ নয়,তাহলে কমন প্রশ্নঃ রসময় গুপ্ত টক সো লাল গোলাপ এমন কি ভিন্নমত পোষন করল যে তাকে গ্রেফতার করতে হবে??? রিমান্ড দিতে হবে??? আসলে বিএনপি কাউকে অপরাধী হিসাকে দেখে না, দেখে কেবল পেশা হিবাবে যেমন দেখেছি যুদ্ধাপরাধী মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত কুলংঙ্গারদের বেলায়ও ।আসলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে পানি ঘোলা করা যায় না। যদি ঘোলা হত তিন মাসের আন্দোলনে খালেদার কথায় মানুষ রাজপথে নামতো।হেফাজতের পাশে দাড়াতো।
দালাল সুশীলদের কথার আলোকে বলছি শিক্ষকদের কিছু বলা যাবেনা কারন তারা জাতির বিবেক,মসজিদের ইমামকে কিছু বলা যাবে না কারন ইমাম সাহেব ইসলামের ধারক,সাংবাদিকদের কিছু বলা যাবে না কারন তারা বাক স্বাধীনতার বা মত প্রকাশের রক্ষা কবচ,আইনজীবিদের বলা যাবেনা তারা আইনজ্ঞ, রাজনীতিকদের বলা যাবে না তারা আইন প্রনেতা।এ ভাবে যদি সকল পেশার মানুষকে কিছু বলা না যায় রাষ্ট্র বা সরকার কি শুধু বেকার যুবক-যুবতীদের,ছাত্র-ছাত্রীদের এবং আমার কৃষকদের বিচার করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে?? সম্মান জনক পেশার মানুষ অবলিলায় অপরাধ করে পার পেয়ে যাবে?? এটা কি কোন সভ্য জগতে কাম্য হতে পারে?? উত্তরে হয়ত বলবেন অবশ্যই না, তা হলে কেন অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হলেই কিছু জ্ঞান পাপী বিদেশীদের স্বার্থ রক্ষাকারী দালাল ও বিএনপি কান্নাকাটি করে ভিন্নমত পোষনকারীদের এ সরকার সহ্য করতে পারে না।আমি তাদের ঐসব অপপ্রচার বন্ধ করে দলকে শক্তিশালি করার কাজে মননিবেশ করার বিনীত অনুরোধ করছি।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কাছে বিএনপিকে রাজনৈতিক বিষয়ে অধিকতর শিক্ষাগ্রহনের জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।কারন মুজিব আদর্শের প্রেমিকরা সুদীর্ঘ কাল কেদেছে , কাদতে কাদতে চোঁখ ঝাপসা করেছে, গৃহহারা হয়েছে, বছরের পর বছর কারাভোগ করেছে,ফাসিতে ঝুলিয়ে মেরেছে,দেশাস্তরিত হয়েছে,অনেকে অন্ধ অবস্থায় দিনাতি পাত করছে।
বাস্তবতার নিরিখে খুবই কাছে থেকে দেখেছি, পিতা হারানো বেদনায় আওয়ীলীগ পরিবার কতটা অসহায়ত্বের মাঝে সুদীর্ঘ কাল অতিবাহিত করতে হয়েছে।এক হাজার এক রাত কেটে যাবে তবুও সেই ভয়াল রাতে, কাক ডাকা ভোরে মুয়াজ্জিনের কন্ঠে আযানের ধ্বনী আর মেশিন গানের গুলির শব্দে প্রকম্পিত বাংলার আকাশে কালো মেঘের ছায়ায় সকালটা যেন অন্ধকারে দ্রুভূত।সেই শোতার্ত আর্তনাদের চিত্র মনের গহিনে যখন দোলা দেয় ইচ্ছে করে প্রতিশোধের আগুনে জ্বালিয়ে দেই গোটা দেশটাকে ।পুড়িয়ে দেই পাকিস্থান পন্থি রাজাকারের বংশধরদের। তারপরও সব ভুলে মাতৃভুমিকে মায়ের সম্মানে যখন উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত করতে যাচ্ছে তখন ৭৫ এর হুমকি,জয়কে অপহরন,শেখ হাসিনার জন্য কান্নার কেউ থাকেনা এ রকম স্টাইলের কথা শোনলে নিজেকে ঠিক রাখতে অনেক কষ্ঠ হয়। আজ নতুন ষড়যন্ত্রের আসামী গং কে শাস্তির লক্ষে গ্রেফতার করা হলে কিছু সুশীল নামের দালালেরা বলেন ভিন্নমতের জায়গা ক্রমশ সংকোচিত হচ্ছে।মনে করে দেখুন একসময় কোন মুজিব সৈনিক জয় বাংলার শ্লোগানও দিতে সাহস পায়নি। আজ তো গলা ফাটিয়ে মিডিয়ার সামনে , টক শোতে সরকারকে পদ্মা থেকে মেঘনায় ধৌত করে ছাড়েন।
প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি বিধানের জন্য যদিও দু'চার জনের বাকস্বাধীনতা খর্ব হয় অধিকাংশ লোক ঐ কাজকে সাধুবাদ জানাবে।বর্তমান সরকার সেই চেলেঞ্জ গ্রহন করে ধীরে ধীরে সকল চক্রান্তের টাওয়ার ভেঙ্গে ন্যয় প্রতিষ্ঠার টাওয়ার নির্মান করে বাংলাদেশের ভাব মূর্তি বিশ্ব দরবারে প্রশংসার দাবীদার।সে কারনে ষড়যন্ত্রও থেমে নেই।একের পর এক নিরন্তর চালিয়ে যাচ্ছে সরকার উৎখাতের গোপন ভিশন।সেই ভিশনের লক্ষবস্তুু শেখ হাসিনা ও জাতির জনকের দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। কিছু দিন আগেও তারেক রহমান বলেছেন শেখ হাসিনা মরলে কান্নার লোকও খুজে পাওয়া যাবে না। কতটা ঔদ্ধত্যপূর্ন না হলে এমন কথা বলতে পারে।তারেক রহমানের কথার রেস ধরে বলা যায় প্রধান মন্ত্রীর সুযোগ্য সন্তানের অপহরনের পরিকল্পনায় তার হাত রয়েছে। যেহেতু ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার সাথে তারেক রহমানগং রা জড়িত সেহেতু প্রতিয়মান হয় হত্যার রাজনীতি ধ্বংশের রাজনীতি তাদের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া।শেখ পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার হীন প্রবনতাকে ক্ষমা করা যায় না। বেড়া চুরির জন্য নয় ভবিষৎ এ যেন বেড়া আর চুরি না হয় সে জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি বিধান চাই।
শেখ হাসিনার মৃত্যু তো অবধারিত ছিল সেই রক্ত ঝড়া ৩২ নম্বরে ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ সালে।বোনাজ লাইফে শুধু চার ছক্কা পিটানোর কথা ছিল। কিন্তু প্রিয় নেত্রী তা না করে দুঃখ গুলো সব পাথর চাপা দিয়ে দক্ষতার সাথে বাংলাদেশের তরী আজ বিশ্ব সভায় এক উজ্জল দ্রুবতারা।ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি অনেক তো কেদেছি আর কান্না নয়। শক্তি সঞ্চয়ের মধ্যমে বিশ্বকে জানান দিতে প্রস্তুত থাক বাংলাদেশ। হাসতে হবে মাথা উচু করে বীরের বেশে, আনন্দ স্রোতে ভেসে যাবে ষড়যন্ত্রকারীদের সকল অপচেষ্টা।
মন্তব্যঃ বিশ্বের ইতিহাসে এত বেশী অশ্রু বিসর্জন কোন দল বা জাতির দিতে হয়েছে কি না জানা নেই। তাই তো আজ সময়ের দাবী 'আর কাঁদতে চাইনা হাঁসতে চাই।
লেখকঃ
এস.এম সারফুদ্দিন শাওন।