'পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ' পৃথিবীতে এর থেকে ভারী বোঝা দ্বিতীয়টি আছে বলে আমার জানা নেই। যে বোঝায় থাকে নির্মম, নিষ্ঠুরতার করুন ইতিহাস,থাকে হৃদয়ে লালিত হাজারো স্বপ্ন গলা টিপে হত্যা করার মত ইতিহাস সে বোঝা যে আরো কত বেদনার তা শুধু একজন আবরারের বাবার মত হতভাগা পিতাই জানেন। কোলে পিঠে করে বড় করা কলিজার টুকরো সন্তানের লাশ কবরে দাফন করা যে কতটা কষ্টের সে কষ্ট বুঝানোর জন্য উদাহরণ টানার মত অন্য কোন কষ্ট পৃথিবীতে নেই। হারানো বিচ্ছেদের যন্ত্রণা যে কতটা তীব্র সেই জানে যে হারায়। একদল হায়েনা হাত পা বাঁধা নিরুপায় একজন পিতার সামনে তাঁর কলিজার টুকরো জীবিত সন্তানকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাওয়ার ঘটনার মতই আবরারের মৃত্যুর ঘটনা। হে আল্লাহ, হে পরওয়ারদেগার, তোমার কাছে এই পাপীর আকুতি: আবরারের পিতার অসহায় মুখের মত মুখ আর যেন আমাদের দেখতে না হয়।
পুতুল নাচের রাজনীতি।
ছোট বেলায় মেলায় গিয়ে পুতুল নাচ দেখতাম। ছোট্ট দুটি চোখ দিয়ে শুধু সুতোয় বাঁধা পুতুলের নাচই দেখতে পেতাম। সুতো বা পর্দার অন্তরালের অদৃশ্য হাত দেখার মত চোখ যেমন ছিল না তেমনি ছিল না জ্ঞান বুদ্ধি। এখন আর মেলায় গিয়ে পুতুল নাচ দেখি না, দেখার প্রয়োজন বোধ করি না। এখন দেখি রাজনৈতিক মঞ্চের পুতুল নাচ।যে নাচের মঞ্চ যেমন একই দর্শক ও তেমনি একই। সময়ের তালে পাল্টে যায় শুধু পুতুল আর অন্তরালের অদৃশ্য হাত।
কোমলমতি দুটি সন্তান গ্রাম থেকে একসঙ্গে হাজারো স্বপ্ন নিয়ে শহরে আসে। যারা ছিল উভয় উভয়ের পড়ালেখা, খেলাধুলা, সুখ দুঃখের সাথী। রাজনীতির যাঁতাকলে তারাই হয়ে যায় একজন আরেকজনের ঘাতক। যে রাজনীতি বন্ধুত্বের ফাটল ধরায়, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ তৈরি করে, হিংসা শেখায়, বিদ্বেষ ছড়ায়, জাতিকে বিভক্ত করে, মানুষকে বানায় রক্ত পিপাসু সে রাজনীতি কিছু মানুষকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বানাতে সাহায্য করতে পারলে ও দেশের সাধারণ মানুষকে শান্তি দিতে পারেনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:০৮