জনসাধারনের সাথে পুলিশের আচরন নিম্মরূপ হওয়া উচিতঃ
জনসাধারনের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও সহযোগিতা ছাড়া পুলিশ কখনো সফলভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেনা। সুতরাং সকল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের কর্তব্য পালনকালে জনগনের সাথে সৌজন্য, সহনশীলতা ও ভদ্র, সদয় ব্যবহার করা উচিত। উর্দ্ধতন অফিসারগন তাদের নিম্মপদস্থদেরকে বুঝাবেন। যতদুর সম্ভব কম বিবাদের সৃষ্টি সম্পর্কে। পিআরবি ৩৩(ক) বিধি]
জনসাধারনের সাথে রুঢ়তা, বদমেজাজ ও নিষ্ঠুরতা করা যাবে না। যদি কেহ এরূপ আচরন করে তাহলে উর্দ্ধতন অফিসার সাথে সাথে অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। [পিআরবি ৩৩(খ)বিধি]
জনসাধারনের যে কোন বিপদে পুলিশ পাশে দাড়াবে। মনে রাখতে সেবাই পুলিশের ধর্ম। পুলিশ একটি সেবা মূলক বাহিনী।
প্রত্যেক অফিসার হেডকোয়ার্টারে থাকা কালে কিংবা সফর করার সময় সকল শ্রেণীর লোকদের সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া। অবাধে মতবিনিময় করা বা তাদেরকে উৎসাহ দেওয়া। [পিআরবি ৩৩(গ) বিধি]
শিক্ষানবীশ সহকারী পুলিশ সুপার গনের প্রশিক্ষনের দায়িত্বরত অফিসারগন তাদেরকে সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের সহিত ভদ্রতা প্রদর্শনের জন্য গুরুত্বারোপ করবেন। [পিআরবি ৩৩(ঙ) বিধি]
সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করে প্রমান করতে হবে জনসাধারনের সার্বিক কল্যানে পুলিশ নিয়োজিত এবং জনসাধারনের অভিযোগ শুনে ততক্ষনাৎ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া।
থানায় আগত শিশুদের সাথে অভিভাবকমূলক ব্যবহার করা উচিত।
পুলিশের সঙ্গে জনসাধারনের সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য বেআইনি ও অনাবশ্যক গ্রেফতার, অহেতুক তল্লাশি এবং জনসাধারনকে হয়রানি করা যাবে না। জনসাধারনের সাথে পুলিশের সম্পর্ক নষ্ট হয় এমন আচরন করা যাবে না। [পিআরবি ৩৩,১১৮,২৬০,৩১৭(ক) বিধি, পুলিশ আইনের ২৩ ধারা]
তাছাড়া জনসাধারনের সঙ্গে পুলিশের আচরণ কেমন হবে সে সম্বন্ধে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঢাকার স্মারক নং এস/৪৬১/৪০৯৫(৫০) তারিখঃ ১০/১২/১৯৭৯ খ্রিঃ মূলে শিক্ষামূলক নির্দেশ দেওয়া আছে।
রাসত্মায় চলাচলকৃত পঙ্গু ও অসহায় লোকদেরকে সাহায্য করা। উম্মাদ নেশাগ্রস্থ যারা নিজেকে সামলাতে পারে না তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করা। [ডিএমপি অধ্যাদেশ ১৬(ক) উপধারা]
সর্বসাধারনের ব্যবহার্য স্থানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা। [ডিএমপি অধ্যাদেশ ১৭(ঘ) উপধারা, পিআরবি ১১৮ বিধি]
ইহা খেলাপের শাস্তি:- জনসাধারনের সহিত অহেতুক অন্যায় আচরন করলে পুলিশ আইনের ৭ ও ২৯ ধারা, পিআরবি ৪৩৪ ও ৮৫৭ বিধি অনুসারে বিভাগীয় শাসিত্ম হবে। যেমন- চাকরী হতে বরখাসত্ম, অপসারন, পদাবনতী, পদোন্নতী স্থগিতকরন, সতর্কীকরন বা তিরস্কার, পিডি, ইডি ইত্যাদি শাসিত্মর ব্যবস্থা আছে। [পুলিশ আইনের ৭ ও ২৯ ধারা, পিআরবি ৪৩৪ ও ৮৫৭ বিধি]
তাছাড়াও অপরাধ যদি বাঃদঃবিঃ আইনের আওতায় হয় সেক্ষেত্রে যথাযথ শাসিত্ম প্রদানের ব্যবস্থা আছে। বিচারের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট সোপর্দ করা যাবে। [পুলিশ আইনের ২৯ ধারা, পিআরবি ৪৩৪ বিধি]
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:১১