ঢুং ঢাং করে সামনে এঁগিয়ে আসছে ঈদের আনন্দ। আর সে আনন্দে শহর গ্রাম হাট বাজার সব স্থানেই প্রতি ইদের মত একদিকে দোকনগুলো ভরে উঠছে নতুন নতুন ঈদের পন্য দিয়ে, অন্যদিকে জমেছে ক্রেতাদেরও ভীড়। ঈদের কেনাকাটায় ব্যাস্ত সবাই। কাপড়,চোপড়, গয়না,গাটি, নিজের পছন্দের জিনিস কিনতে গিয়ে অনেক সময় নষ্ট ব্যায় ফেলি আমরা। ব্যাস্ত থাকি শুধু দামদর কষাকষি আর ভালো জিনিস পছন্দের দিকে। আর অন্যদিকে এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে দেন কিছু সুযোগসন্ধানীরাও । ক্রেতাদের ব্যাগ, মোবাইল, গহনা, দামি জিনিসের কোনো কিছু তাদের হাত থেকে রেহাই পায় না। শেষে এসে ক্রেতাগণের মাথায় হাত দেয়া ছাড়া আর কোন পথ খুঁজে পান না । হারিয়ে বসেছেন নিজের সঙ্গে থাকা টাকা পয়সা মোবাইল সহ অনেক কিছুই।
তাই আমাদের ঈদ শপিং এর পাশাপাশি যে বিষয়গুলো খুব মনযোগ সহকারে খেয়াল রাখতে হবেঃ
১। বাসা থেকে বের হবার আগে প্রথমেই ভাল করে দেখুন আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস সব নিয়েছেন কি না।
২। প্লীজ বাজারে যাবার সময় অবশ্যয়ই আপনার সঙ্গে থাকা স্বর্ণের অলংকার গুলো বাসায় খুলে রেখে যান।
৩।আপনা মোবাইলটি বেশি দামী হলে সেটি বাাসায় রেখে কম দামী একটি মোবাইল সঙ্গে নিন আর তা না হলেও আপনার দামী মোবাইলটি হাতে না রেখে ব্যাগে রাখুন।
৪। আপনার হাতের ছোট্ট ব্যাগটি অবশ্যই সাবধানে রাখবেন। হাতে থাকা বড় ব্যাগের মধ্যে রাখলেও ভালো করে চেইন লাগানো আছে কিনা সেটা খেয়াল করুন এবং শপিং মলে যাওয়ার পরেও কিছুক্ষন পর পর ব্যাগটির উপর নজর রাখুন।
৫।কেনাকাটায় যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন মূল্যবান জিনিসের দিকে বার বার লক্ষ্য রাখুন।
৬। একা কখনো শপিং করতে যাবেন না। কাউকে সঙ্গে নিয়ে যাবেন। একা থাকলে চোরদের নজর বেশি পড়ে। আর তারা সুযোগ মত কাজ সেরে পালিয়ে যাবে। আর তখন কিছুই করার থাকবেনা।
৭। আপনার হাতে থাকা জিনিসটি সব সময় খুব শক্ত করে ধরে রাখুন, যাতে কোনো ভাবেই চোর আপনার হাত থেকে ছিনিয়ে দৌড় দিতে না পারে।
৮। বেশি ভিড়ের ভিতর গেলে ব্যাগ এমনভাবে হাতে রাখতে হবে যেন কেউ তা থেকে কিছু নিতে না পারে।
৯।আপনি সন্দেহ ভাজন লোক দেখলে সেখান থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরে যাবেন।
১০।কোন সমস্যা হয়ে গেলে সাথে সাথে কর্তব্যরত পুলিশকে বিষয়টি জানান।
নিরাপদে ঈদের বাজার করুন, আনন্দের সাথে পরিবারের সকলকে সঙ্গে নিয়ে ঈদ আনন্দে মেতে থাকুন,সেই শুভকামনা রইল।
সকলকে পবিত্র ঈদুল আযাহের অগ্রীম শুভেচ্ছা ঈদ মুবারক ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:১২