প্রবন্ধ: এবার কিছু অপ্রিয় কথা হোক তবে ... ---(পদ্মপুকুর)
মূলকথা:
আমাদের সবার ভালবাসার প্লাটফর্ম সামহোয়্যারইন ব্লগের কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়ে এই প্রবন্ধ। লেখক যেসব সীমাবদ্ধতার কথা বলেছেন সেসব এক নজরে এ রকম:
(১) ব্লগে ব্লগারদের এক একটি ব্যাচ ২ বছরের বেশি স্থায়ী হয় না। অনেক গুণী ব্লগার অল্প ক'দিন ব্লগিং করার পর ব্লগে আর লিখেন না। সেসব গুণী ব্লগারদের ধরে রাখতে চোখে পরার মত কোন পদক্ষেপও কর্তৃপক্ষ নেননি।
(২) বিষয়ভিত্তিক ব্লগ পাতা নিয়মিত আপডেট করা হয় না। কয়েক বছর আগের পোস্ট এখনো যেখানে স্থান পেয়েছে সেখানে চলতি কোন ঘটনা বা পোস্ট নেই। উদাহরণ সরূপ লেখক সমসাময়িক ঘটনা পাতার কথা উল্লেখ করেছেন। যেখানে এখনো নেপালের ভূমিকম্প, গজারিয়া ফেরি দূর্ঘটনা, ২০১৪ বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো ঘটনা থাকলেও সমসাময়িক কিছুই নেই।
(৩) নটিফিকেশন সমস্যার কথা বলেছেন। যেখানে নামের পাশে দেখায় নটিফিকেশন আছে কিন্তু ক্লিক করলে শুন্য আসে।
(৪) কে কে পোস্টে লাইক করছেন সেটা দেখা গেলেও পোস্ট প্রিয়তে কারা নিলেন বুঝা যায় না।
চুম্বক অংশ:
(১) এই ব্লগ পারতো সম্ভাবনাময় প্রগতিশীল ব্লগারদের প্রতি আলাদা করে যত্ন নিতে। বৃশ্চিক নামে একজন ব্লগারের কথা এই মূহুর্তে আমার মনে পড়ছে। অসাধারণ গদ্য লেখক। ভাষার গাঁথুনি অনবদ্য। এ সময়ের কাউসার চৌধুরীর কথাও বলা যায়। অথবা রিফাত হাসান নামের জনৈক ব্লগার, যিনি সমসাময়িক বিষয়ে খুবই ভালো প্রবন্ধ লিখতেন। নিবিড় যোগাযোগ আর যত্নের মাধ্যমে এ রকম লেখকদেরকে সামহোয়্যারইন আলাদা এক্সপোজার দিলে তাঁরা ব্লগের সম্পদ হিসেবে থাকতে পারতো। অথচ এটা হয়নি। .......
লেখায় যেসব ব্লগারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে: বৃশ্চিক, রিফাত হাসান, ওমর আল জাবির মিশো, শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া), ব্রাত্য রাইসু।
প্রবন্ধ: বাংলা-ভাষা সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন হারানো চর্য্যাগীতির সন্ধানে------ (ড. এম এ আলী)
মূলকথা:
বাংলাভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ সম্পর্কে বিষদ ধারনা, চর্যাপদ হারিয়ে যাবার কারন, এর পদকর্তাদের সম্পর্কে দারুণ বর্ণনা ফুটে উঠেছে এই প্রবন্ধে। চর্যাপদের মতো কঠিন একটি বিষয়ের ব্যাখ্যা করেছেন অত্যন্ত সহজ করে। কয়েকটি পদ উল্লেখ করে সে সম্পর্কে সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন, যা অনেকেরই অজানা।
চুম্বক অংশ:
(১) নালন্দা হতে চীনে প্রত্যাবর্তনকালে হিউয়েন সাং হস্তি ও অশ্ব পৃষ্ঠে ৫২০টি পেটিকায় ৬৭৫টি গ্রন্থ সাথে করে নিয়ে যান। তিনি মূলত গৌতম বুদ্ধের নিদর্শন এবং স্মৃতিধন্য স্থান সমূহ পরিদর্শন এবং ভারতবর্ষ থেকে বুদ্ধ ও অন্যান্য বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের রচনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই ভ্রমন শুরু করেছিলেন। তাই ধারনা করা হয় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতো কোন গুণী পুঁথি সংগ্রাহক ও পাঠোদ্ধারকারী যদি সেখানকার সংগ্রহশালা কিংবা আর্কাইভ খোঁজ নেন তাহলে আরো অনেক প্রাচীন বাংলা-ভাষা সাহিত্যের মূল্যবান নিদর্শন খুঁজে পেতে পারেন ........
(২) প্রবন্ধে উল্লেখিত কিছু প্রবাদ বাক্য যা চর্যাপদ থেকে এসেছে:
-- দোহিত দুধ কি বাটে প্রবেশ করে!
-- দুষ্টগরুর চাইতে শুন্য গোয়াল ভাল!
-- হরিণের মাংসই হরিণের শত্রু!
-- হাতের কাকন দেখার জন্য দর্পনের প্রয়োজন নেই, প্রভৃতি।
প্রবন্ধ: সামহোয়্যারইন ব্লগ... বাঁধ ভাঙার আওয়াজ (কাজী তাহসিন আহমেদ)
মূলকথা:
পুরোটা প্রবন্ধই অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক লেগেছে আমার কাছে। এই প্রবন্ধে ব্লগের ব্লগারদের সম্পর্কে, কত শত পেশার মানুষ এখানে লিখছেন সে সম্পর্কে, কত সাধারন মানুষের ছোট্ট একটি বিষয়ও এখানে আকর্ষণীয় করে তোলার ক্ষমতা রাখেন সে সম্পর্কে বলা হয়েছে। কোন ব্লগার টাকা কিংবা স্বার্থের বিনিময়ে এখানে লিখেন না মনের তাগিদে ভালবাসা ছড়াতে। ব্লগারদের পরিশ্রমের কথা বলা হয়েছে, বলা হয়েছে ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের হয়েও ব্লগের মিলন মেলাতে কিভাবে ভালবাসার আবেশে দুজন ব্লগার একে অপরকে আন করতে পারে সে কথাও। এক কথায় বলা যায়, চমৎকার ব্লগ বন্ধনা।
চুম্বক অংশ:
(১) সামুতে ব্লগার সংখ্যা লক্ষাধিক। তাদের ৯৯.৯৯% ই সাধারন মানুষ। এই সাধারন মানুষ কারা জানেন? আপনার বাড়ির সামনে দিয়ে যে মধ্যবয়স্ক লোকটি প্রতিদিন কাঁধে টিফিন বক্স নিয়ে অফিসে নিচু মাথায় হেটে যান, সে। আর কে জানেন? আপনার বাসার নিচের ফ্ল্যাটে যে নারী তার শিক্ষা, ক্যারিয়ার, আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন সব নিজ সংসারের জন্য বিলিয়ে দিয়েছেন, সে। এখানে আরো আছে আপনার পাড়ার মেসের ছেলেটি, যে তার কষ্টের কথা কখনো মা বাবাকে বলে না, সে। আমেরিকায় থাকা ছাত্রটি টেলিফোনে বলে না সেখানকার বাঙ্গালি মধ্যবিত্ত ছাত্রের বাস্তবতা, কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমিকটি তার গ্রামে ফেলে আসা বউকে বলেনা তার হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমের কথা, সেও। তারা কোথায় কথা বলে জানেন? এই ব্লগে। এখানে কর্মজীবী সেই মানুষটি বাসায় ফিরে লুঙ্গি পড়ে ছোট্ট মেয়েটিকে কোলে নিয়েই ব্লগ লিখতে বসে যান ........
(২) ফ্ল্যাটের সেই নারীর ভিতরের মানুষ বেঁচে থাকে ব্লগে। এখানে তিনি সাধারন ডাল ভর্তার রেসিপি থেকে শুরু করে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে পর্যন্ত লিখে ফেলেন, আলোড়িত করে দেন সবাইকে।ব্লগে কোন নারী তার রুপ নিয়ে নয়, মনের আলো দিয়ে চারদিক আলোকিত করেন। এখানে চল্লিশোর্ধ নারীরও আপন দ্যুতিতে তরুণদের যে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা পান, তা দেখে যে কোন তরুণী মডেল হিংসায় জ্বলবে .........
(৩) তাদের লেখা পড়তে পড়তে একজন যুবক ভুলে যান সিগারেট ধরাবার কথা। সাইবার ক্যাফেতে পর্ণ দেখতে আসা কিশোরটি ব্লগে এসে হারিয়ে যায় জ্ঞানের রাজ্যে .........
এভাবে লিখলে পুরো প্রবন্ধটাই লিখা যাবে চুম্বক অংশ হিসেবে। এতাটাই ভাল লেগেছে আমার কাছে।
প্রবন্ধ: ভিলেজ পলিটিক্স বা গ্রাম্য রাজনীতি ---- (কাওসার চৌধুরী)
মূলকথা:
গ্রাম্যরাজনীতি ও তার স্বরূপ অত্যন্ত নিঁখুত ভাবে বর্ণিত হয়েছে এই প্রবন্ধে। মাতাব্বর নামধারী গ্রামের কতিপয় দুষ্ট লোকদের খপ্পরে পরে নিরীহ জনসাধারনের নাজেহাল অবস্থাও বাদ পরেনি। মাতাব্বরদের বৈশিষ্ট আলোচনা পূর্বক এর সমর্থকদেরও ভর্ৎসনা করা হয়েছে। এর থেকে বাঁচার উপায় এবং গ্রাম্য মাতাব্বরদের হুশিয়ার করে শেষ করা হয়েছে প্রবন্ধটি।
ভিলেজ পলিটিশিয়ানদের চরিত্র ও বৈশিষ্ট তুলে ধরা হয়েছে এভাবে:
(১) তারা সমাজের কাছে ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত হতে চায়।
(২) যে কোন উপায়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়।
(৩) এদের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান না থাকলেও টুপি-পাঞ্জাবী-আলখাল্লা পড়ে ঘুরে বেড়ায়।
(৪) এরা সভা সমিতিতে পৃষ্ঠপোষক ও অতিথি হয়।
(৫) আচার-আচরন রহস্যময়, সাধারণ মানুষ এদের ব্যাপারে আতঙ্কিত থাকে।
(৬) সাধারণ মানুষের মাঝে ঝগড়া বিবাদ লাগিয়ে নিজেরাই আবার বিচারের আয়োজন করে।
(৭) তাদের সমালোচনাকারীদের প্রতি তারা যে কোন আচরণ করতে দ্বিধা করে না।
একটি সুন্দর আহবান করা হয়েছে প্রবন্ধের শেষে:
আসুন সবাই মিলে ভিলেজ পলিটিক্সের দুষ্ট চক্র থেকে সমাজকে রক্ষা করি। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াই, অভয় দেই। যাতে তারা এই চক্রটি ভেদ করার সাহস পায়। সবাই মিলে চেষ্টা করলে সমাজ পরিবর্তন করা খুবই সম্ভবশুধু প্রয়োজন সৎ সাহস, দক্ষ নেতৃত্বগুণ আর একতাবদ্ধ সমাজ ব্যবস্থা।
প্রবন্ধ: আমার সোনার বাংলা -- (সালাহউদ্দিন শুভ)
মূলকথা:
বাংলাদেশের হাজারো সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে এই প্রবন্ধে। খুবই সাধারাণ একটি বিষয়ও জাতীয় ইস্যু হয়, আবার অনেক বড় বড় বিষয়ও আমাদের নজর এড়িয়ে যায়। ভাইরাল না হওয়া পর্যন্ত যেন কোন কিছুতেই আমাদের তেমন গুরুত্ব আসে না। সমস্যা সৃষ্টির আগ পর্যন্ত আমরা পদক্ষেপ নেবার কথা ভাবিনা। আমরা ভবিষ্যতের কথা না ভেবে, পরবর্তী প্রজন্মের কথা না ভেবে নিজেদের পরিবেশকে ধ্বংস করছি, আর ভাবছি আমরা ক'দিনই বা বাঁচবো! দুইটাকা নিয়ে হেল্পারের সাথে মারামারির দৃশ্য মনে করিয়ে দেয় আমরা কতটা ডিপ্রেশনে আছি। সোনার বাংলার মানুষ গুজবে বেশি কান দেয় আর সত্যিকারের থ্রেটগুলোকে আগে যাচাই বাছাই করে নেয়। যে দেশের মানুষ সম্পত্তির জন্য বাবা-মা, আপন ভাইকে হত্যা করতে পারে, সেই দেশের মানুষের কি আসে যায় ক্লাইমেট চেঞ্জ নিয়ে! বাংলাদেশের হাজারো সমস্যা আছে, কিন্তু আমরা সচেতন হলে, দায়িত্বশীল আচরণ করলে বেঁচে যেতে পারে পুরো সমাজ। নিরাপদ হতে পারে আগামীর বিশ্ব।
চুম্বক অংশ:
(১) একটি ওভার ব্রিজ তৈরি হওয়ার জন্য এক আবরারের জীবন উৎসর্গ করতে হয়েছে, আবার অন্যদিকে বুয়েটের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে এক আবরারকে শহীদ করা হয়েছে। এদিকে পদ্মা সেতুতে নাকি কতশত কল্লার প্রয়োজন ছিল তার অন্তনেই, তবে এক মাকে হত্যা করার দৃশ্যতো কারো এত তারাতারি ভুলে যাবার কথা নয়। বিল্ডিং এর নিরাপত্তার কথা ভাবার জন্য অবশ্যই অন্তত কয়েক দফা আগুন লাগতে হবে বেশ কিছু বহুতল ভবনে, এর আগে এ বিষয় নিয়ে ভাবা বারণ।
(২) বছরে কয়টা পোষাক কিনতেন আপনি? আপনার বাবা-মায়ের কয়টা পোষাক ছিল! আর এখন কয়টি পোষাক প্রয়োজন আপনার প্রতিমাসে? পুরনো পোষাকগুলো আপনি কি করেন? হয়ত ফেলে দেন কিংবা গরীবদের দান করেন। সর্বশেষ সেটা ব্যবহার করে গরীবরা ফেলে দেয়। আপনি কি জানেন আপনার পোষাকটি মাটিতে মিশতে এবং পচতে গিয়ে এই পৃথিবীকে ধ্বংস করছে ধীরে ধীরে ........
(৩) পৃথিবী যেন সবার ক্রয়কৃত সম্পত্তি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে একটা মানুষ সিগারেট টানতে পারলে একটা মানুষ রাস্তায় বসে প্রাকৃতিক কাজ সম্পন্ন করতে পারবে না কেন!প্রতিটি মানুষ তাদের নিজস্ব কন্ট্রিবিউশনের মাধ্যমে পৃথিবী ধ্বংসের মহোৎসব করছে যেন ........
প্রবন্ধ: ভক্তকুল, সমালোচনা-আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ? (আখতার আর হোসাইন)
মূলকথা:
একজন ভালো লেখকের জন্য তার ভক্তকুল এবং সমালোচকগন কখনো আশীর্বাদ আবার কখনো বা অভিশাপ! ভাল লিখিয়ে একজন হয়তো লেখালেখি জগতে এসে খুব ভালো একটি সাহিত্যকর্ম দিয়ে পাঠক হৃদয়ে স্থান করে নেন। পাঠককুলের ভালবাসায় লেখক উঠে যান অনন্য এক উচ্চতায়। কিন্তু পরবর্তী সাহিত্য কর্ম তেমন ভাল হয়না। সত্যি কথা বলতে লেখকও প্রথম কর্মের মত পরবর্তীগুলোতে তেমন শ্রম দেন না। আবার সমালোচকবৃন্দ শুধু মারহাবা, দারুণ, অসাধারণ ......... বলে বলে লেখকের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। তাই ভালো লিখতে গেলে প্রয়োজন অধ্যবসায়, শ্রম, প্রতিভা। শ্রম ছাড়া প্রতিভা বিকশিত হয় না, আবার প্রতিভা ছাড়া শ্রমও নিস্ফল হয়ে যায়। লেখক হলো কাঁচের মতো। যে কাঁচের উপর ধুলোবালির আস্তরণ জমে যায়। আবার সমালোচনা হলো সেই মেডিসিন যা কাঁচের ময়লাকে দূর করে কাঁচকে পরিষ্কার করে তুলে। ভক্তকুল হলো বর্শার মতো, যার ফলা কাঁচের উপর পড়লে তা ভেঙে খান খান হয়ে যায় নিমিশেই।
চুম্বক অংশ:
(১) হরিশংকর জলদাস কি জানতেন তার লেখার প্রতিভা বা শক্তি আছে? তিনি তার প্রথম বই লিখেন পঞ্চাশ বছর বয়সে। এমন বয়সে আসলেও পরিশ্রম আর অধ্যবসায় তাকে নিয়ে গেছে অন্য এক উচ্চতায়। কথা সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ২০১২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরষ্কারে ভূষিত হন।
(২) নতুন লেখকদের জন্য আরেকজন অনুসরনীয় লেখক হলেন হেলাল হাফিজ। কবি হেলাল হাফিজ সতেরো বছর লিখে তিনশটি কবিতা লেখেন। সেখান থেকে ৫৬ টি কবিতা বাছাই করেন আরো ছয়মাস লাগিয়ে। অত:পর সেই ৫৬ টি কবিতা নিয়ে ১৯৮৬ সালে প্রকাশ করেন "যে জলে আগুন জ্বলে" কাব্যগ্রন্থ। আর এই একটি কবিতা দিয়েই এদেশের পাঠক মনে বিশেষ স্থান করে নিয়েছেন।তার ২য় গ্রন্থ "বেদনাকে বলেছি কেঁদো না" এবছর প্রকাশ হবার কথা রয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ৩৩ বছর পর!
ভাল লেখক হবার উপায় নিয়ে বলেছেন দুটি কথা:
-- কোন ঘটনাকে ভালভাবে ব্যাখ্যা করতে জানতে হবে।
-- ধৈর্য, পরিশ্রম অধ্যবসায় ছাড়া ভাল লেখক হওয়া সম্ভব নয়।
লেখক এখানে যেসকল বইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন:
-- নন্দিত নরকে
-- শঙ্খনীল কারাগার
-- যে জলে আগুন জ্বলে
-- বেদনাকে বলেছি কেঁদো না
-- দহনকাল
লেখকের একটি নিজস্ব মতামত, যার সাথে কতজন একমত হবেন জানি না:
-- হুমায়ূন আহমেদ এর নন্দিত নরকে এবং শঙ্খনীল কারাগার বই পড়লে খুব বেশিই অবাক হতে হয়। কেননা তার পরবর্তী বইগুলো প্রথম দিককার প্রকাশিত বই অনুসারে ভাল হয়নি তেমন, অন্তত আমার কাছে এমনি মনে হয়েছে।
প্রবন্ধ: শিবের গীত: বাংলাদেশের এ অবস্থা কেমন করে হলো? (গেম চেঞ্জার)
মূলকথা:
কেউ ভাবছেন বাংলাদেশের ভেতরকার অবস্থা খুবই শোচনীয়। যে যেভাবে পারছে লুটেপুটে খাচ্ছে। সরকে কোন নিরাপত্তা নেই, পরিবহনখাত মাফিয়াদের হাতে জিম্মি, বিচার ব্যাবস্থা কচ্ছপের গতির, অপরাধ হরিণের গতির। বিরোধী দলবিহীন দেশে জবাবদিহিতার বালাই নেই। মন্ত্রী পর্যায়ের লোকেরা নিত্য নতুন তালে মাথা খারাপ করা বক্তব্য দিচ্ছে।
আবার কেউ ভাবছেন বাংলাদেশ এখন স্বর্ণযুগ অতিক্রম করছে। সবার ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে, বেড়েছে জিডিপি এবং মাথাপিছু আয়। বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, পাতাল রেল, ফ্লাইওভার, ইকোনোমিক জোন নির্মানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হতে আর বেশি দেরি নেই।
চুম্বক অংশ:
(১)আম পাবলিকের মধ্যে একদল লোক কৃতজ্ঞতায় গদগদ হয়ে তখন বলে- আহ: বেশ বেশ, এই তো দেশ বেঁচে গেছে। আমাদের সরকারের মধ্যে কিছুটা সভ্যতা এখনো আছে। গভর্মেন্ট ঠিক কাজ করছে ..........
(২) মনে হচ্ছে লর্ড ক্লাইভ এই কারণেই বলে গেছেন- " আমরা যখন পলাশী থেকে ফিরছিলাম তখন রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা লোকেরা একটা করে ঢিল ছুড়তো তাও আমাদের বেঁচে ফেরার উপায় ছিল না।
(এই পর্বে প্রবন্ধ সমাপ্ত। বাকী লেখাগুলো দিয়ে দেব শীগ্রই। প্রথম পর্বের লিঙ্ক: "ব্লগ দিবসের বিশেষ ম্যাগাজিন: বাঁধ ভাঙার আওয়াজ" পাঠ প্রতিক্রিয়া-- ০১)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৯