পাঠ প্রতিক্রিয়া: "বহতা নদীর মতো সতত বহমান"
আমি যখন নিজের দোষ বুঝতে পেরে
লজ্জিত হই,
অনুতপ্ত হই,
ক্ষমাপ্রার্থী হই,
কিন্তু মুখে ক্ষমা চাইতে পারি না,
তখন খুব করে চাই,
কেউ আমার চোখ দুটো দেখে পড়ে নিক
আমার নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দরখাস্তটা।
কোন কথা যখন মনের সাথে মিলে যায়, তার ভাব তখন অন্তরকে স্পর্শ করে। বার বার পড়তে ইচ্ছে করে সেই লেখাগুলি। মনে হয়, আহা..... আমারই তো কথা। আমিও তো এরকম করেই ভাবতে পছন্দ করি।
বলছিলাম "বহতা নদীর মতো সতত বহমান" কাব্যগ্রন্থ থেকে। প্রতিটি কবিতা পড়ি আর ভাবি। ভাবতে শিখি নতুন করে। কখনো কোন কবিতা পড়ে শিহরিত হই। এভাবেও ভাবা যায়? লেখা যায় মনের কথা? "কৃতজ্ঞতা হৃদয়ের গভীরে" কবিতাটি পড়লে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কবির ভালোবাসা টের পাওয়া যাবে সহজেই।
"প্রভু, তোমার দয়ার কথা ভেবে হই নতশির
নি:শ্বাসে প্রশ্বাসে তোমার নাম হৃদয়ে গভীর"
"বৃক্ষ হবো" কবিতায় কবি হতে চেয়েছেন বৃক্ষের মতো। কবি বলেছেন,
"তুমি যদি চাও,
বৃক্ষের মত দাঁড়িয়ে কাটাবো আমার বাকীটা জীবন
চুপিচুপি শুষে নেব তোমার সব অঙ্গারায়িত প্রশ্বাস,
আর তোমার বুকে ছড়িয়ে আসবো আমার অক্সিজেন।"
খায়রুল আহসান ভায়ের কবিতা পড়লে বুঝা যায় কতটা বাস্তবমুখী তাঁর কবিতা। প্রতিটি পংক্তি যেন একেক ফোঁটা মৌ, যা হাজারটা ফুল ঘুরে ঘুরে মৌমাছিরা সংগ্রহ করে।
"একদিন শুধু ছবি হয়ে যেতে হবে" কবিতায় বিদায়ের কথা মনে করিয়ে দিতে চাইছেন কবি। যত রকম বাস্তব উপমা আছে সব এনেছেন, এক্কেবারে হৃদয় নিংড়ে। ভালো লাগার মতো করেই লিখেছেন ভালো না লেগে কোথায় যাবে? অবশ্যই মুগ্ধ হবেন কবিতাটি পড়ে। আমিও হয়েছি। কবি খায়রুল আহসান ভাই এই কবিতার একটি জায়গায় বলেছেন,
"শীতল হয়ে যাবে একদিন চেনা বিছানার ওম,
নিরর্থক হবে সব আদর সোহাগ আর বকেয়া চুম্বন।
সকাতর কোন আঁখি হয়তো কাঁদবে গোপনে নিরবে,
একটি নির্বাক ছবির দিকে তাকিয়ে, জানিনা কোথা কবে!"
এভাবেই মনের ভাব বর্ণনা করেছেন কবি খায়রুল আহসান। ব্লগে যার কবিতা মানেই হিট। তার কাব্যগ্রন্থও সবার মনে জায়গা করে নিবে এমনই প্রত্যাশা আমার, আমাদের সবার।
"কিছু চাওয়া" কবিতার দু'টি লাইন আমাকে ভীষণ ভাবে টেনেছে,
"তারাদের ঝিকিমিকি আলো আসবে নিত্য নয়নে,
চাঁদের স্নিগ্ধ আলো আমায় চুম দিয়ে যাবে শয়ানে!"
কাঠগড়ায়: "বহতা নদীর মতো সতত বহমান"
১) বইটির অধিকাংশ অক্ষরের নিচে যেখানে উ-কার আছে তা সঠিক স্থানে কেন বসেনি বুঝতে পারলাম না।
২) ৭০ নম্বর কবিতার নামের বানানটা ভুল ছিলো বেখেয়ালে হয়তো। বানানটি লেখা আছে এইভাবে " দুটোতেই কবুিা"
৩) ৮ম কবিতায় "দু'পায়ে" লেখা আছে। অর্থাৎ দু এর পর একটা বিলুপ্তি সূচক চিহ্ন আছে। কারন শব্দটা আসলে দুই এর সংক্ষেপিত রূপ। কিন্তু ৭০ নম্বর কবিতা সহ বেশ কয়েকটি কবিতায় এমন অক্ষরের ক্ষেত্রে বিলুপ্তি চিহ্ন ব্যবহার করা হয়নি।
৪) অদৃশ্য প্রয়াতের প্রতি ভালোবাসার বার্তা কবিতায় কবি বলেছেন,
"এখানে কোন সাবমেরিন কেবল নেই,
কোন ওয়াইফাই সংযোগও নেই,
ইথারে কোন কন্ঠ ভেসে আসবে না-
বার্তা বিনিময়ের কোন সুযোগ নেই।
তবে আছে বার্তা প্রেরণের একমুখী পথ,
প্রেরক থাকবে দাঁড়িয়ে, আনত আননে।"
"আনত আননে" হবে নাকি "আনত নয়নে" হবে? বুঝলাম না! যদি "আননে" হয় তাহলে "আনন" মানে কি?
সব মিলে সত্যিই অসাধারণ কিছু কবিতার সমাবেশে এই বইটি সমৃদ্ধ। বইটির জন্য শুভকামনা।
পাঠ প্রতিক্রিয়া: রঞ্জনের প্রেমিকারা
--আসসালামু আলাইকুম। আপু, "রঞ্জনের প্রেমিকারা" বইটা দেন তো।
: "রঞ্জনের প্রেমিকারা!" "রঞ্জনের প্রেমিকারা!" ....... "এই বই কি আমাদের? এই বই তো নাই!"
কয়েকবার মাথা চুলকাতে চুলকাতে পার্ল পাবলিকেশন্সে দাঁড়িয়ে থাকা এক বিক্রয় কর্মী জবাব দিলো।
--অনলাইনে তো তাই দেখলাম। লিখেছেন শিখা রহমান। "না, আমাদের কাছে নাই! আপনি অন্য কোথাও খুঁজেন।"
উত্তর শুনে হতাশ হয়ে ফিরছিলাম। প্যান্টের পকেটে ডান হাত ঢুকিয়ে মোবাইল ফোন বের করে সময় দেখে নিচ্ছিলাম। অন্যপাশ থেকে আরেকজন ডাক দিয়ে বললো, " স্যার! কি বই চাইলেন?" "রঞ্জনের প্রেমিকারা?" আছে তো, দাঁড়ান, এখনি দিচ্ছি। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখোঁজি করার পর বললেন, "স্যরি স্যার! বইটি আসে নাই হয়তো এখনো!"
আচ্ছা মুশকিল তো, আমি কি ভুল করছি? পার্ল পাবলিকেশন্সই তো দেখলাম লেখা। ভুল হবার কথা নয়...... মনে মনে রাগ হচ্ছিলো খুব। স্টল থেকে বের হচ্ছিলাম সেই সময় প্রথম বিক্রয়কর্মী ঠিক সামনে থাকা বইটি দেখিয়ে বললো, "এইতো বইটা! নিন।"
যাক পেলাম অবশেষে। "বইটার প্রচ্ছদ যেন কেমন!" হাতে দিতে দিতে মেয়ে বিক্রয়কর্মী বলছিলো! "কেমন?" প্রশ্ন করতেই তার সোজা উত্তর "এমন ডিজাইন করেছে যে সামনেই সাজানো তাও দেখায় যায় না......."
বলছিলাম রঞ্জনের প্রেমিকারা বইটি কেনার সময়কার ঘটনা। বইটা হাতে পেয়েই দেরী না করে কিনে আনলাম। বাসে আসতে আসতে পড়ছিলাম...... "বাতাসে নষ্ট গন্ধ, গতকাল বড়ো ছেলেবেলা ছিলো, রঞ্জনের প্রেমিকারা, দু:খ পোষা মেয়ে, বেলীফুলের চেয়ে সাদা ভাতই বেশি সুন্দর, একটি চেনাচেনা গল্প, পাথুরে লাবণ্য, মুখোশের আড়ালে, জোছনার দেবশিশু, একছড়া তেতুল বা একটি হরিণের কাহিনী, স্বামী এবং ভক্ত, উদাসীন সঙ্গম, গল্পটা অন্যরকম হতে পারতো, ভালোবাসার জাল বুনেছি।" বাহ..... সুন্দর সুন্দর সব গল্প!
"রাহাতের সাথে বিকেলটা খারাপ কাটছে না। যদিও অরনীর একদমই আসতে ইচ্ছে করছিলো না কিন্তু অনেক দিন পরে বাসা থেকে বেরিয়ে ভালো লাগছে। ধানমন্ডি সাতাশ নম্বরে রেষ্টুরেন্টে খেতে খেতে গল্প করার সময় ওর মনে হচ্ছিলো সব আগের মতোই আছে, কিচ্ছু বদলায়নি। সন্ধ্যা নামি নামি করছে; মরা বিকেলের বাদামী কমলা আলোতে অন্য অনেক দিনের মতোই ওরা দুজনে রিক্সায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ঘুরতে বেরুলো।
রিক্সায় এলোমেলো কথা বলতে বলতে রাহাত অরনীর পিঠের পেছনে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরলো। অরনী অস্ফুট চীৎকার করে উঠলো; রাহাত কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধাক্কা দিয়ে হাত সরিয়ে রিক্সা থামাতে বললো। অরনী নেমে হনহন করে ফুটপাতে হাঁটছে। বিস্ময়াভূত রাহাত রিক্সা ছেড়ে ওকে ধরার জন্য পিছু ছুটলো।
“অরু!!! কি হয়েছে? একটু থামো না...বুঝতে পারছি না কি হলো!!!” রাহাত ওর হাত ধরে থামাতেই “তোমরা সব পুরুষরা একই রকম। গায়ে হাত দেয়ার সুযোগ খোঁজো...হাত ছাড়ো...খবরদার গায়ে হাত দেবে না!!!” অরনী এত্তো চীৎকার করছে যে পরোপকারী পথচারীরা জড়ো হয়ে গেলো।
“আফা!!! এই লোক কি আপনারে বিরক্ত করতেছে?” কিছু লোকের চোখে মুখে রসালো গল্পের আশায় আনন্দিত আভা। “গায়ে হাত দিছে নাকি? কি করছে ডিটেইলসে বলেন...” লোকজনের চেঁচামেচিতে অরনীর সম্বিৎ ফিরলো “ও আমার বয়ফ্রেন্ড...সব ঠিক আছে...আপনারা যান!!!” লোকজন পরোপকার করতে না পেরে যারপনাই বিরক্ত “রাস্তায় এই সব লদকালদকি ক্যান?? হোটেল ভাড়া নিয়া মিটমাট কইরা লন...যত্তোসব টাইম নষ্ট!!!”
বলছিলাম রঞ্জনের প্রেমিকারা বই থেকে। "বাতাসে নষ্ট গন্ধ" ছোট গল্পের কিছু অংশ। স্বার্থক ছোট গল্প। এক্কেবারে বাস্তবতার নিরিখে লেখা। অরনী কোথাও জব করতো। সেখানে এক বসের নষ্ট মানসিকতার শিকার অরনী। অবশেষে প্রেগন্যান্ট! চারপাশের মানুষগুলোও কেমন যেন আচরণ করে অরনীর সাথে। অরনীর বয় ফ্রেন্ডও ওর শরীরের দিকে লোভ বেশি। নাহ, এসব পুরুষদের আর ভালো লাগে না...... অবশেষে একদিন সিদ্ধান্ত নেয়। আইনের আশ্রয় নিবে। তাতেও কি লাভ হবে? হয়তো এর চেয়ে আরো ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে!
শিখা রহমান আপু! যেমন তার গল্পের ধরন তেমনি কবিতার। কোনটাতেই কম যান না। সমান তালে চলে কিবোর্ড। লিখলেই মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় স্বার্থক কোন গল্প বা কবিতা।
কাঠগড়ায় রঞ্জনের প্রেমিকারা
১) প্রচ্ছদটা আরো ভালো করা যেত। বিশেষ করে প্রচ্ছদের উপরে বইয়ের নাম লেখার স্টাইল ভালো লাগেনি আমার কাছে।
২) প্রচ্ছদের নিচে বইটি সম্পর্কে কিছু কথা লেখা আছে। "সুক্ষ্ম", "গল্পবলার গুণে" শব্দ দুটি "সূক্ষ্ম", "গল্প বলার গুণে" হবে মনে হয়। আরেকটি শব্দ, শব্দটি "ঘূর্ণীবর্ত" না "ঘূর্ণাবর্ত" হবে? আসলে আছে "ঘূর্ণীবর্ত"
৩) বইয়ের নাম আমার কাছে ভালো লাগেনি।
৪) বইয়ের ভূমিকায় লেখিকা নিজেই তাঁর প্রশংসা করেছেন এইভাবে: "এইটুকু নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি যে আমার গল্পগুলো শব্দের ঝংকারে ছুঁয়ে যাবে, লেখনীর গুণে আপ্লুত করবে ও ভাবাবে। আমার গল্পেরা ঠিক এমনটাই ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য।" যা আমার কাছে ভালো লাগেনি। আসলে লেখার মান বা গুণ বিচার করবেন পাঠকেরা।
৫) বইটা হাতে নিয়েই "ঘামের টকটক গন্ধ" কথাগুলো কেমন যেন লাগছে। গল্পটি পরেও দেয়া যেত। এই গল্পের চার নম্বর লাইনের বাক্য এরকম লেখা: " আনকোরা খবরের কাগজের নিউজপ্রিন্টের গন্ধ.....।" বাক্য গঠন মনে হচ্ছে ঠিক হয়নি
৬) "রঞ্জনের প্রেমিকারা" গল্পে দেখানো হয়েছে রঞ্জন ছবি আঁকতে পছন্দ করতো বলে তিনজন মেয়ে তাঁকে পছন্দ করে। রঞ্জন এখন মৃত। আজ রঞ্জনের জন্য মিলাদ হবে। কিন্তু সেই মৃত রঞ্জনের মিলাদে যাওয়া নিয়ে কথা বলার ছলে তিন মেয়ে বন্ধু তাদের সাথে রঞ্জনের অন্তরঙ্গ মূহুর্তের বর্ণনা দিচ্ছে। এমন বর্ণনা মৃত মানুষের জন্য না দিলেও হতো। গল্পটির বর্ণনা ভঙ্গি ভালো ছিলো কিন্তু লেখার বিষয় পছন্দ হয়নি আমার কাছে।
৭) "উদাসীন সঙ্গম" গল্পের বর্ণনায় দেখানো হয়েছে একজন নারীকে তার স্বামী মারদোর করে। আর সে বসে বসে মার খায়। হাসে! আবার রাতে মহিলার স্বামী তাঁর সাথে শারিরিক সম্পর্ক করে। যা নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে। এই জন্য গল্পের নাম "উদাসীন সঙ্গম।" কিন্তু কেন মারদোর করছে বা কেউ মার খেলে যেভাবে প্রতিক্রিয়া থাকার কথা তেমনটি গল্পে অনুপস্থিত।
সতর্কতা: "বাতাসে নষ্ট গন্ধ" গল্পটি প্রথম আলোর ইউরোপ সংখ্যায় অপূর্ব আহমেদ জুয়েল নামে লেখা দেখলাম। লেখাটি কেউ কি চুরি করলো?
পাঠ প্রতিক্রিয়া: "ছহি রকেট সায়েন্স শিক্ষা"
বইটি কেনার কোন ইচ্ছাই ছিলো না। ভাবছিলাম হাসান মাহবুব ভায়ের একটা উপন্যাস কিনবো। কিন্তু উপন্যাস না কিনে রকেট শিক্ষার সুফল পেতে মনটা আকুপাকু করলো বইটা হাতে নিয়েই। সেই আকুপাকুর বিশালতা টের পেলাম বইটির সূচিপত্র পড়ার পর। সূচিপত্রের সূত্র ধরে এগুলাম সামনের দিকে। না, আর থামতে ইচ্ছা করছিলো না। মনে হলো রকেটের সাথে সাথে আমিও .......
কি জাদরেল লেখনি রে বাবা! এভাবেও যে লেখা যায় তা হয়তো হাসান মাহবুবের লেখা না পড়লে বুঝতামই না। এমনভাবে প্রত্যেকটা অধ্যায় লেখা যাতে করে যে কেউ বইটি হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ পড়লেই কেনার আগ্রহ প্রকাশ করবে। হতাশার কথা হলো, বইটির দাম একটু বেশি!
বইটিতে আপনি রকেট শিক্ষার মতো কিছুই পাবেন না। পাবেন নৈতিকতার শিক্ষা। ইসলামের সুমহান দর্শন পেলেও অবাক হবার কিছুই নেই। লেখক নিজের জীবন থেকেই সবটা লিখেছেন বলেই হয়তো এতোটা ভালো লেগেছে। রকেট চালানোর ইচ্ছা নিয়ে বইটি কিনতে চাইলে আগেই সাবধান করে দিচ্ছি, কোন লাভ হবে না। আকাশে উঠার রকেট চালানোর কোন জ্ঞান লাভ না হলেও জীবনের রকেট চালানোর জ্ঞান আপনার আয়ত্ত্বে আসবেই। এখানেই বইটির স্বার্থকতা।
লেখক কখনো কথা বলেছেন নিজের সাথে কখনো বা কথা বলেছেন কাল্পনিক এলিয়েনের সাথে। নিজের জীবন দিয়ে এক্সপ্রিমেন্ট করা পরীক্ষণ থেকে কোনটা ক্ষতিকর উড্ডয়ন আর কোনটাতে সফলতা তা খুব ভালোভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন। আর্লি ম্যারেজ ক্যাম্পেইন কিংবা নারী স্বাধীনতার কুফল লেখা পড়ে লেখককে নারী বিদ্বেষী বলতে পারেন যে কেউ। কিন্তু ঠান্ডা মাথায় ভাবলেই বুঝবেন লেখক শুধু সত্য বলেন নি, আসলেই সত্য বলেছেন।
কাঠগড়ায় "ছহি রকেট সায়েন্স শিক্ষা"
"নারী স্বাধীনতার কুফল" নামে যে লেখাটি আছে তাতে বলা হয়েছে: "দেখেন, আমেরিকা-সুইডেনের মতো উন্নত দেশগুলোতে, ফ্রি মিক্সিংয়ের দেশগুলোতে দর্শনের হার সবচেয়ে বেশি। মুসলিম দেশ সৌদি আরবে দর্শন কম। বাংলাদেশে ধর্ষণ বাড়তেছে ইদানিং, তবে এসবের জন্য মেয়েদের উলঙ্গপনাই দায়ী। ছিলা কলায় তো মাছি বসবেই। কী বললেন? সৌদি আরবে সব রেপ রিপোর্ট হয়না দেখে স্ট্যাটিসটিকসে আসে না? আরে অদ্ভুত! মেয়েরা রেপড হবার পর কী ধেই ধেই করে নেচে গেয়ে বলবে যে আমি রেপ হইছি? এই শিক্ষা দিছে আপনার পরিবার?" উক্তিটির সাথে আমার মতো অনেকেই একমত হবেন না।
শুভকামনা সকল বইয়ের জন্য। ছহি রকেট সায়েন্স শিক্ষা করে বহতা নদীর মতো সতত ভালো থাকুক রঞ্জনের প্রেমিকারা।
সহজ স্বীকারোক্তি: বইগুলো কেনার পর বাসে আসতে আসতে যতটুকু পড়া হয়েছে তার উপরই প্রতিক্রিয়া জানালাম। ভুল মার্জনীয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৬