শুরুতে আরম্ভ করি নামেতে আল্লার
করুণা কৃপার যিনি অসীম আধার।
০১: সূরা মুতাফফিফিন (আয়াত: ১-১০)
বিষয়: মাপে কম দেয়ার পরিণাম এবং পাপীদের আত্মা রয়েছে সিজ্জিনে......
দূর্ভোগ তাদের যারা মাপে কম দেয়
যখন ওজন করে মানুষের থেকে
তখন আদায় করে পুরোপুরি নেয়
পরিমাপে কম দেয় নিজেরা অন্যকে।
এরা কি চিন্তা করে না? নিশ্চয় তাদের
সবাইকে একদিন আনা হবে তুলে
মহা দিবসের জন্য। সেদিন সকলে
বিশ্বপালকের কাছে দাঁড়াবে সম্মূখে।
জেনে রাখো, অবশ্যই পাপিষ্ঠ লোকের
কার্যনামা রাখা আছে (কঠিন) সিজ্জিনে
জানো কি সে সিজ্জিন কি? লিখিত কিতাব।
(লেখা আছে যাতে তার পাপের হিসাব)
সত্য অস্বীকারকারী আছে যত জনে
নিশ্চয় অবধারিত দূর্ভোগ তাদের।
০২: সূরা মুতাফফিফিন (আয়াত: ১১-১৭)
বিষয়: বিচারদিবস ও কোরআনকে মিথ্যা বলার পরিণাম......
বিচার দিনকে যারা অসত্য ভেবেছে
(তারা পাপিষ্ঠ, তাদের জীবনটা মিছে),
সীমালংঘনকারী পাপিষ্ঠ ব্যতিত
কাফের ছাড়া কেউই ভাবেনা অসত্য।
তার কাছ পাঠ হলে আমার এ বাণী
সে বলে " এ পূর্বতন লোকের কাহিনী"
কখনো নয়; বরং তাদের অন্তরে
মরিচা ফেলেছে তারা (গুমরাহী করে)।
সেদিন পাপীরা নিজ খোদার সদনে
অবশ্যই পারবেনা পৌঁছাতে সেখানে
পাপীরা নিশ্চয় যাবে দোযখ অগ্নিতে।
অত:পর তাদেরকে বলে দেয়া হবে
এ যে জাহান্নাম (এতে চিরদিন রবে)
একেই সতত মিথ্যা তোমরা বলতে।
০৩: সূরা মুতাফফিফিন (আয়াত: ১৮-২৬)
বিষয়: পূণ্যবানদের আত্মা রয়েছে ইল্লিয়্যিনে......
নেককার লোকদের কার্যনামা আছে
সুরক্ষিত ইল্লিয়্যিনে (মালিকের কাছে)
ইল্লিয়্যিন কাকে বলে তুমি কি জানতে?
উজ্জ্বল আমলনামা (রক্ষিত কিতাবে)।
আল্লার নিকটতম ফেরেশতাগণ
সকলেই করে এর রক্ষনাবেক্ষণ
নি:সন্দেহে পূণ্যাত্মারা মহা নেয়ামতে
সজ্জিত আসনে বসে প্রাচুর্য দেখবে।
তাদের মুখমন্ডলে সজীবতা দেখে
পূণ্যাত্মাদের সহজে চিনতে পারবে,
তাদেরকে ছিপি আঁটা পান পাত্র থেকে
বিশুদ্ধতম শরাব খেতে দেয়া হবে।
যার মুখে দেয়া আছে কস্তুরী সুগন্ধি
সুতরাং জয়ী হতে হও প্রতিযোগী।
০৪: সূরা মুতাফফিফিন (আয়াত: ২৭-৩৩)
বিষয়: পূণ্যবানদের নেয়ামত ও মু'মিনদেরকে নিয়ে কাফেরদের উপহাসের পরিনাম......
"তাসনীম" সুধা মিশে রয়েছে যেথায়
এ এক ঝর্ণারধারা (শোভিত সুঘ্রাণ)
নৈকট্যলাভকারীরা থাকবে সেথায়
(অমৃতের সুধা সেথা) করে তাঁরা পান।
অবশ্যই পাপী তারা দুনিয়া জীবনে
মু'মিনদেরকে যারা জ্বালিয়েছে খুব,
মু'মিনেরা পাশ দিয়ে গেলে, (মনে মনে)
চোখ টিপে ইশারায় করতো বিদ্রুপ।
যবে এরা ফিরে যেত স্বজনের কাছে
অনেক প্রফুল্ল হয়ে সেখানে পৌঁছাতো,
মু'মিনদের দেখলে কাফের বলতো:
"তাঁরা দেখি আসলেই ভ্রান্ত পথে আছে"।
মু'মিনদের ওপর কাফেরবাহিনী
তত্ত্বাবধায়ক করে পাঠানো হয়নি।
০৫: সূরা মুতাফফিফিন (আয়াত: ৩৪-৩৬)
বিষয়: পূণ্যবানদের সুদিন কাফেরদের দূর্দিন......
ঈমানদারেরা আজ বিচারের পরে
কাফেরদের ওপর বিদ্রুপ করবে,
(যেরূপ করেছে তারা দুনিয়ার 'পরে)
সজ্জিত আসনে বসে এসব দেখবে।
কাফেরেরা পাবেনা কি যথা প্রতিদান?
(তাদের সে কর্মফলে হারাবে সম্মান)।
অন্যান্য সূরা পড়তে চাইলে:
০১) সূরা ফিল: হস্তিবাহিনীর কাহিনী!
০২) সূরা যিলযাল: মহাকম্পন
০৩) সূরা ত্বীন: ডুমুরের শপথ
০৪) সূরা নাবা: মহা সংবাদ
০৫) সূরা আন-নাযিআত: ডুব দিয়ে টানে
০৬) সূরা আবাসা: ভ্রু-কুঞ্চনকারী
০৭) সূরা তাকভীর: মহা সংকোচন
০৮) সূরা ইনফিতার: মহাবিস্ফোরণ
০৯) সূরা ইনশিক্বাক্ব: মহা বিদারণ
১০) আয়াতুল কুরসি: আয়াতুল কুরসি
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৪