ছবি:গুগল থেকে....
তোমাকে নিয়ে লিখতে গিয়ে দেখি
চতুর্দশপদী কবিতারাও বেয়াড়া হয়ে যায়,
শব্দেরা আর অষ্টক-ষষ্টকে বাঁধা পড়তে চায় না।
অষ্টক ছাড়িয়ে যায় তার গন্ডি.....
ষষ্টকও মিশে যায় অষ্টকে!
চতুর্দশপদী কবিতা তখন খিলখিল করে হাসে,
আমিও হাসি তোমাকে পেয়ে
তোমার স্পর্শ উল্লাসে!
তুমি কাছে থাকলে যোজন যোজন দূরত্বের পথ
মিলি সেকেন্ডের মনে হয়....!
তাইতো সে মায়ার টানে বার বার ছুটে যাই।
বোনাস ভালবাসা:
একটি কেন হাজার লাইন যদি আমি লিখি,
প্রতি বর্ণে তুমি তবু অনেক কিছুই বাকি!
লিখতে গিয়ে শব্দ ফুরায় শেষ হয় না কথা,
প্রেম কাব্যের অসমাপ্তি বাড়ায় আকুলতা।
তোমার হাতের বর্ণনাতে মহাকাব্য হবে,
প্রতি ইঞ্চি জায়গাতে তার শব্দে না কুলাবে।
হিমালয় চূড়া লজ্জা পেল দেখে তোমার আঁখি,
কোন কবিতায় উপমা দেই কোন শব্দে লিখি?
তোমার নামে লিখতে গিয়ে কূলটা নাহি পাই,
অবশেষে তোমার বুকে লজ্জাতে লুকাই!
অতলন্তিক পংক্তিমালা কি আর হবে লিখে,
অব্যক্ত সব মনের কথা তবুও বাকি থাকে।
প্রতি নি:শ্বাসে তোমার পানে চুম্বক টানে ছুটি,
সুঘ্রাণে তার সত্তা জাগে পংক্তি হাজার কোটি!
ফুলবাগানে ফুলের সুবাসে মন চায় না যেতে,
ইচ্ছে করে তোমার নাকের সুবাস মাখা পেতে।
গুপ্ত প্রেমের পংক্তিমালা গোপনই থেকে যায়,
নাকের কাছে এসেই আমি তোমাতে হারাই!
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪০