ছবি: যদিও গুগল থেকে নেয়া হয়েছে, সত্যিকার অর্থে ছবিটা হৃদয়ের.........
উৎসর্গ: শ্রদ্ধেয় ব্লগার চাঁদগাজীকে।
রানার কাকুর সাইকেল বাজে রোজ এ বাড়ির পাশে,
প্রতিদিন শত বর্ণিল খাম রানারের হাতে আসে।
আসেনা কেবল তোমার চিঠিটা আমার জন্য লেখা,
কত মাস গেল আমাদের সাথে হয়নি তোমার দেখা!
সেই যে গেলে শেখ মুজিবের দূর্গ গড়ার ডাকে,
এতদিন গেল তবুও ফিরো না কিভাবে বুঝাই মাকে?
শত চিন্তায় বৃদ্ধ মায়ের অসুখটা যায় বেড়ে,
পাকি হায়েনার বুলেটে তোমার প্রাণ গেলো নাকি উড়ে!
হায়েনার দল বেঁধে রেখেছে কি জীবন সাথীকে আমার,
ভাবতেই চোখ ছলছল করে হৃদয়ে কষ্ট পাহাড়!
তোমার বোনটা রোজ রোজ এসে জিজ্ঞাসে ভাইয়ের খবর,
তোমার আম্মা বিছানাতে শুয়ে গুনছে তোমার প্রহর!
আমার কথাটা কি আর বলবো দু'চোখে শোকের জল,
ছেলেটার মুখে বাবা ডাক শুনে আঁখি দু'টি ছলছল!
যুদ্ধটা কবে শেষ হবে বলো কখন ফিরবে ঘরে,
বোনটাকে তোমার কিভাবে সামলাই মনেতে চিন্তা ধরে!
শেষ চিঠিখানা দিয়েছিলে তুমি যাবে নাকি ইন্ডিয়া,
সেই চিঠিখানি পড়িয়া আম্মা উঠেছিল কান্দিয়া!
কবে কোনদিন দেখা হবে তব কিভাবে বুঝাবো মন,
তোমার স্মৃতিখানি কোলে তোলে বাঁচি সেইতো বুকের ধন!
বোনটাকে তোমার দিতে নাহি পারি আমার কথায় বুঝ,
ফঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে শংকায় পাবে কি ভাইয়ের খোঁজ?
স্বাধীন দেশেতে সবে একসাথে কখনো কি বাঁচা হবে?
সেই শুভদিন কবে কোনদিন স্বাধীনতা আসবে কবে?
পঁচিশ মার্চের সার্চলাইটে কতজন দিল প্রাণ,
বৃথায় যাবে কি সকলের মরণ বোনেদের সম্মান?
এই ভেবে আমি সবাইকে বুঝাই বোন ছেলে আর মাকে,
তবুও যেন স্বাধীন পতাকা উড়ে বাংলার বুকে!
তবুও যেন আমার দেশটা হানাদার মুক্ত হয়,
তোমার লড়াই দেশের জন্য পেয়ো নাকো' তুমি ভয়!
চলবে....
কৃতজ্ঞতা: শ্রদ্ধেয় ব্লগার চাঁদগাজীর প্রতি। দাদী বলতো "বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠরা বটবৃক্ষের মতো"! সত্যিই তাই। শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজীর প্রতি কৃতজ্ঞতা না জানালে আমি অকৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হবো। গত কালকের দুইটা পোস্টে ওঁনার মন্তব্যে আমি সত্যিই বিস্মিত! "একদিনে কি হবে?" লেখায় মন্তব্যে বলেছেন, "সুরাহের অনুবাদ ও এই ধরণের কবিতা কিছুটা বিপরীতমুখী।" এবং "মহা সংকোচন" লেখায় মন্তব্যে বলেছেন, "আশাকরি, পরকালেও আপনি বাংলায়ই সনেট লেখার সুযোগ পাবেন।" এই দু'টি কথায় আমি সত্যিই বিস্মিত। অনেক অনেক কৃতজ্ঞ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৯