শুরুতে স্মরণ করি আল্লাহর নাম
রহমানের দয়াতে এই ধরাধাম।
সনেট-০১: সূরা আন-না'যিআত (আয়াত:০১-০৯)
বিষয়: কেয়ামত দিবসের অবস্থা....
সাক্ষী ফেরেশতাকূল রুক্ষভাবে যারা
পাপীদের আত্মা টেনে বের করে আনে,
পূণ্যাত্মাকে ডেকে আনে মৃদু আহবানে
(চুপিচুপি যেন কথা বলে কানে কানে)।
অতি দ্রুত চলে যারা বেড়ায় সাঁতরে
ভালোভাবে সব কাজ সমাধান করে,
বিষম ঝাঁকুনি দিবে মহা ভূকম্পনে
রোজ কেয়ামত হবে (সেই মহা ক্ষণে)।
সাথে সাথে আরেকটি কঠিন ধাক্কাতে
পুন:রায় তোলা হবে গোরদেশ হতে
মানুষের হৃদপিন্ড কম্পমান হবে।
সবার দৃষ্টি সেদিন নিম্নগামী রবে
সকলে উলঙ্গ তবু লজ্জা নাহি পাবে
ভীত-সন্ত্রস্ত সেদিন সব লোক রবে।
সনেট-০২: সূরা আন-না'যিআত (আয়াত:১০-১৯)
বিষয়: কেয়ামত দিবস নিয়ে কাফেরদের ভাবনা এবং মূসা নবীর সাথে ফেরাউনের কথোপকথন
সত্যই কি আমাদের আনা হবে তুলে?
পূর্ব অবস্থাতে হবে পূনরুজ্জীবন?
জীর্ণ অস্থিতে যখন যাবো পঁচে গলে!
তারা ক'বে, ''সর্বনাশা এ প্রত্যবর্তন''।
আসলে এতো শুধুই বিকট গর্জন
অত:পর ময়দানে সমবেত হবে,
(সবকিছু দেখবে যা করেছো অর্জন
সেদিনের কান্না হবে অরন্যে রোদন।
মূসার বৃত্তান্ত সব পৌঁছেছে তোমাতে?
তাঁর মালিক যখন ডেকেছিলো তাকে
তোয়ার উপত্যকায় পবিত্র ভূমিতে।
বিদ্রোহী ফেরাউনের নিকটেতে যাও
বলো, ''পবিত্রতা চাও মালিকের পথে''?
খোদাভীরু হতে পারো হয়তো বা এতে।
সনেট-০৩: সূরা আন-না'যিআত (আয়াত:২০-২৬)
বিষয়: ফেরাউনের খোদা দাবী এবং মুত্তাকীদের শিক্ষা
অত:পর দেখলো সে মহা নিদর্শন
অমান্য মিথ্যা সাব্যস্থ করলো যখন
অত:পর ফিরে গেল নিজের পিছন
নিজেকেই দাবী করে খোদার আসন।
সমবেত করে সব মানুষ স্বজন
সজোড়ে সবাইকে সে করে আহবান,
''তোমাদের করি আমি সু-প্রতিপালন
আমাতে ঈমান আনো,'' বলে ফেরাউন।
অত:পর আল্লা তাকে পাকড়াও করে
দুনিয়া ও আখেরাতে কঠিন আজাবে
অবশ্যই জ্ঞানী লোক শিক্ষা এতে পাবে।
খোদাভীরু লোক যে তাকে ভয় করে
(সদা ঈমানে যে জন আল্লাহকে স্মরে
সে জন ধন্য হবে মহা শিক্ষা লাভে)।
সনেট-০৪: সূরা আন-না'যিআত (আয়াত:২৭-৩৩)
বিষয়: আল্লাহর অসীম ক্ষমতা ও নিদর্শন
মানুষকে পুনরায় সৃষ্টি কি কঠিন?
আকাশের চেয়ে বেশি? যা বানিয়েছেন
শুন্য মাঝে নভোলোক, উঁচু রেখেছেন
সুবিন্যস্ত (সাত আকাশ) তিঁনি গড়েছেন।
রাতকে ঢেকেছেন তিঁনি (আঁধার চাদরে)
তা থেকে দিনকে আনেন (প্রভাত প্রহরে),
যমীনকে বানালেন বিছানার মতো
পানি ও উদ্ভিদরাজি তা থেকে আনেন।
গেড়ে দিয়েছেন তিনি পর্বতমালাকে
জমিনের গায়ে সব কঠিন পেরেকে
(পৃথিবীটা যেন তার ভারসাম্য রাখে)।
তোমাদের জন্য সব চতুষ্পদ প্রাণি
(কোথায় কি প্রয়োজন অবগত তিনি
আল্লাতে ঈমান আনে সব জ্ঞানী গুণী)।
সনেট-০৫: সূরা আন-না'যিআত (আয়াত:৩৪-৪১)
বিষয়: নাফরমানী করার পরিনতি এবং কাফের ও মুত্তাকীদের স্থান
অত:পর মহাক্ষণ আসবে যখন
প্রত্যেকেই কৃতকর্ম করবে স্মরণ,
দোজখের দ্বারগুলো প্রকাশিত হবে
লেলিহান বহ্নিশিখা চোখের সম্মুখে।
বাড়াবাড়ি যে করেছে পার্থিব জীবনে
অগ্রাধিকার দিয়েছে লোভ-লালসাকে
নরকাগ্নিতে রবে সে স্থায়ী আবাসনে
(পাপকাজ যে করবে অস্থায়ী দূলোকে)।
খোদার অগ্রে দাঁড়াতে ভয় যে করেছে
আত্মাকে কামনা থেকে বিরত রেখেছে
বেহেশতে স্থান তার সুখের আসনে।
(কেয়ামত দিবসকে যে রাখে ঈমানে
আল্লাহর ভয়ে তাঁকে সততই মানে
ভয় নেই মুমিনের সেই মহা ক্ষণে)।
সনেট-০৬: সূরা আন-না'যিআত (আয়াত:৪২-৪৫)
বিষয়: রাসুল (স.) কে কেয়ামত সম্পর্কে প্রশ্ন এবং কেয়ামতে কাফেরের মনের অবস্থা
(হে নবী) ওরা তোমাকে জিজ্ঞাসে সতত
''কেয়ামত কবে হবে কোথা সেই ক্ষণ''?
বলো, ''এ পরমজ্ঞান মালিকের তরে''
মুত্তাকীর তরে যাও সাবধান করে।
যেদিন দেখতে পাবে কেয়ামত ওরা
সেদিন মনে হবে দুনিয়াতে তারা
কাটিয়েছে এক সন্ধ্যা অথবা বিকেল
(কত লজ্জিত হবে সে কঠিন হাশরে।
নিদর্শন লও সদা তাঁর সৃষ্টি হতে
ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কত পৃথিবীতে
নইলে হতেই পারে বিপরীত হীতে।
তোমরা মানুষ সব এই দুনিয়াতে
সৃষ্ট হয়েছো সতত তাঁর ইবাদতে
মুত্তাকীর তরে নাই ভয় কেয়ামতে)।
সরল অনুবাদ ও বিষয়বস্তু: বিস্তারিত দেখুন এখানে
ছবি: গুগল থেকে.....
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮