শুকনো খড়ের ঘ্রাণ
শুকনো খড়ের ঘ্রাণে অল্প এলো ঘুম
মাথার উপর বড় জোৎস্না গলা রাত!
দু'য়ে মিলে মহানন্দে বাহিরে এলুম
খড়ের মাঝেই শুয়ে দেখি মিষ্টি চাঁদ।
চাঁদটি খানিক বাদে মেঘে দিল ডুব
অল্প যদি বড় হতো তারা ভরা রাত!
আরেকটা চাঁদ দেখে লজ্জা পেলো খুব
স্বল্প সেথা পাতা যেত ভালবাসা ফাঁদ।
ঘরে থেকে হিচা মেরে মা ফেললো জল
পানি খেয়ে মাটি দেখি খুশিতে উচ্ছল
ভেজা মাটি ম'ম' করে ঘ্রাণে চতুর্পাশে।
জোনাকিরা ছুটে আসে ফুল বাগানে মৌ
ফুল কই? সে তো প্রিয়া! নব সাজে বৌ
কথা গানে গল্প করে রাত্রি কাটে শেষে।
................................................
জন্মদিনের উপহার
প্রিয় আরোগ্য আসিয়া রাত দুপুরের ক্ষণে,
জন্ম দিনের কথা আমায় করে দিল মনে।
সবার আগে সুজন ভাইয়া শুভেচ্ছা জানায়,
আমি নাকি সরল সোজা বলে গেলো তাই ।
একটু পরে ব্লগ বাড়িতে অগ্নি সারথি,
জন্মদিন বলে গেলো না নিভিয়া বাতি।
সনজিতদা প্রিয় বলে আনন্দ যে দিলো!
Sujon Mahmud সেওতো দেখি শুভেচ্ছা জানালো।
মাঈদুল ভাইয়া দিল একটা সুসজ্জিত ডিম,
৮ নাকি হবে আমার সৌভাগ্য প্রতিম!
জুনায়েদ ভাইয়া এসে জানায় শুভকামনা,
কি দেব তার আপ্যাায়নে করতেছি সেই ভাবনা।
নকিব ভাইয়া অল্প কথায় মহাবার্তা দিলে,
তাতেই জেন হৃদয় আকুল মনটা কেড়ে নিলে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন ভা'য়া আমার প্রতিবেশি,
তার কাব্যে ভালো লাগা খুশি অনেক বেশি।
বিজন অধিকারী দেখি বলে আমায় দাদা,
জন্মদিনের শুভেচ্ছাতে ভরলো হৃদয় খাতা।
আর্কিওপটেরিক্স দলবল নিয়ে,
জন্মদিনের সুন্দর একটা ছবি গেল দিয়ে।
একটু পরেই দেখি তিনি ব্লগ বাড়িতে আমার,
দোয়া করে এমন জেন দিনটা আসে হাজার ।
পদাতিক ভাইয়া বলে শুভেচ্ছা অফুরান,
তাইতো তাকে জিজ্ঞেস করি ''কেক নাকি মিষ্টি খান''?
কবির ভাইয়া দু'হাত ভরে রসগোল্লা দিলে,
বিনিময়ে টাঙ্গাইলের চমচমটা নিলে।
চাঁদগাজিদা ট্রাক চালিয়ে ব্লগ বাড়িতে এসে,
শুভেচ্ছাতে প্রীত হলাম হৃদয় গেল ভেসে।
হাসান জাকির জন্ম দিনের শুভকামনাতে,
ছোট্ট একটা কেক দিয়েছি অনেক খুশি তাতে।
শ্রদ্ধাভাজন খাইরুল ভাই আটকাহনে এসে,
নকিব ভাইয়ের মন্তব্যটা উল্লেখ করে শেষে।
আবার দেখি আরোগ্যদা কি এক কাব্য করে,
তাতেই দেখি সবাই হাসে আমিও হাসি জোরে।
তাজুল ভাইয়া জন্মদিনে খেয়েধেয়ে খুব,
জন্মদিনের কেকটা মজার অল্প ছিলো লোভ।
করুনাধারাও জন্মদিনে জানায় শুভকামনা,
সনেট কবি সনেট লিখে এমনতো আর পাবো না!
তারেক ফাহিম প্রিয় ভাইটি এসেছিলো দেড়িতে,
ততক্ষনে গ্রামে আমি আমার নিজের বাড়িতে।
ফেইরি টেলার জন্মদিনে অনেক গোলাপ দিয়ে,
বিশাল বড় কেকটা আমায় দিল সে বানিয়ে।
সাত সাগরের মাঝি আমায় বলে জন্ম দিন,
উত্তরে তার কি আর বলি ভালবাসা নিন।
রাজিব ভাইয়ে জন্মদিনে ভাল থাকার দোআয়,
আল্লাহ যেন রাখে ভালো ভালোবাসার ছোঁয়ায়।
ফাতেমা আপু জন্মদিনে আমার বাড়ি এলো,
সুন্দর হোক জীবন আমার দোআ করে গেলো।
বাংলার মেয়ে মুনিরাপু বলে লেখা চমৎকার,
অনেক অনেক প্রীত হলাম আগমনে তার।
কেকটা নাকি বড় ছিলো বললো তাজুল ভাই,
অফিস স্টাফ মিলেও নাকি খেতে পারে নাই।
কি করি আজ ভেবে না পাই এলো অবশেষে,
ততক্ষণে পৌঁছে গেছি আমার প্রিয়ার কাছে।
নীল আকাশ, অপু দ্যা গ্রেট, জাহিদ অনিক ভাই,
ক্ষমা করবেন ঠিক সময়ে উত্তর দেই নাই।
বিদ্রোহীদা এসেছিলো রাত দশটা বাজে,
তখন আমি ব্যস্ত ছিলাম তারা দেখার কাজে।
রম্য রসিক আখেনাটেন কি যেন কি খায়,
কত সুন্দর বার্থডে বলে উইশ করে যায়।
প্রামানিকদাও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়!
মঈনুদ্দিন ভাইয়া দেখি বিশাল কাব্য করে
বাংলা হিন্দি ইংরেজিতে ভালবাসা দেয়,
জন্মদিনের শুভেচ্ছাতে দিল রস মালাই।
শঙ্খচিল, লতিফ (ল) ভাইয়া প্রিয় চাঙ্কু এসে,
জন্মদিনের শুভেচ্ছাটা জানায় হেসে হেসে।
বিশেষ উপহার:
১) প্রিয় সনেট কবির পক্ষ থেকে: শুভ জন্মদিনে হাবিব স্যার
২) প্রিয় আরোগ্য ভাইয়ার পক্ষ থেকে: শুভ জন্মদিন হাবিব স্যার
৩) প্রিয় প্রতিবেশি আবদুল্লাহ আল মামুন ভাইয়ের পক্ষ থেকে: শুভ জন্মদিন হাবিব স্যার
৪) মু. মঈনুদ্দিন ভাইয়ের ভালবাসার কাব্য: আমার এই পোস্টের ৪০ নাম্বার মন্তব্যে।
স্পেশাল উপহার:
১) জন্মদিনটা ছুটির দিনে তাই, তাঁহার সাথে দেখা করতে জলদি ছুটে যাই।
একটু রম্য:
১) আমার বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার হেঁটে এসে বাসে চড়তে হয়। তো দু'জনে হাঁটতেছি রাস্তায় কিছু দূর আসার পর আমি গান ধরলাম-
আমি: এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো তুমি বলো তো......
তিনি: তুমিই বলো...
আমি: তবে অনেক ক্লান্তি হতো.....
তিনি: ......... (তার হাসি যেন আর থামেই না....)
২) আমি তাহাকে খুশি করার জন্য বললাম (এমনিতেই সুন্দর তিনি .... )......
আমি: তুমি কত্তো সুন্দর আর আমি কত্তো কালো......
তিনি: তুমি তো কালো না... চকলেট কালার...
আমি: ........(আমার হাসি যেন আর থামেই না)
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৫