দয়াময় আল্লাহকে শুরুতেই স্মরি
বলো হে কাফেরগন (সত্য অস্বীকারী),
করি না আর্চনা কভু ইবাদত তার
সর্বদা তোমরা করো আরাধনা যার।
তোমাদের কেহ নাই উপাসনাকারী
সততই আমি যাঁর ইবাদত করি,
সদা সচেতন থাকো আর্চনাতে যার
প্রস্তুত নইতো আমি ইবাদতে তার।
তোমরা করোনা জানি আরাধনা তার
সর্বদাই আমি করি ইবাদত যাঁর,
(আমি বিশ্বাসী সতত আল্লাহকে মানি।
অতএব জেনে রাখো অবিশ্বাসী শুনো)
তোমাদের ধর্ম সব তোমাদের জানো,
আমার দীন-বিধান আমারই জানি।
...........................................।
শানে নুযূল:
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, ওলীদ ইবনে মুগীরা, আস ইবনে ওয়ায়েল, আসওয়াদ ইবনে আবুদল মোত্তালিব ও উমাইয়া ইবনে খলফ প্রমুখ মক্কার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কয়েকজন একবার রসূলুল্লাহ্ (সাঃ)- এর কাছে এসে বললঃ আসুন, আমরা পরস্পরের মধ্যে এই শান্তিচুক্তি করি যে, একবছর আপনি আমাদের উপাস্যদের ইবাদত করবেন এবং একবছর আমরা আপনার উপাস্যের ইবাদত করব।
তিবরানীর রেওয়ায়েতে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, কাফেররা প্রথমে পারস্পরিক শান্তির স্বার্থে রসূলুল্লাহ্ (সাঃ)- এর সামনে এই প্রস্তাব রাখল যে, আমরা আপনাকে বিপুল পরিমাণে ধনৈশ্বর্য দেব, ফলে আপনি মক্কার সর্বাধিক ধনাঢ্য ব্যক্তি হয়ে যাবেন। আপনি যে মহিলাকে ইচ্ছা বিবাহ করতে পারবেন। বিনিময়ে শুধু আমাদের উপাস্যদেরকে মন্দ বলবেন না। যদি আপনি এটাও মেনে না নেন, তবে একবছর আমরা আপনার উপাস্যের ইবাদত করব এবং একবছর আপনি মাদের উপাস্যদের ইবাদত করবেন।
আবু সালেহ্-এর রেওয়ায়েতে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ মক্কার কাফেররা পারস্পরিক শান্তির লহ্ম্যে এই প্রস্তাব দিল যে, আপনি আমাদের কোন প্রতিমার গায়ে কেবল হাত লাগিয়ে দিন, আমরা আপনাকে সত্য বলব। এর পরিপ্রেহ্মিতে জিবরাঈল সূরা কাফিরূন নিয়ে আগমন করলেন। এতে কাফেরদের ক্রিয়াকর্মের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ এবং আল্লাহ্ তা'আলার অকৃতিম ইবাদতের আদেশ আছে।
ছবি: গুগল+উইকি
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৭